কোটা সংস্কার আন্দোলন চালাকালীন ছাত্রলীগ কর্মী কি একজন আন্দোলনকারীর পায়ের রগ কেটেছিলো?

17
কোটা সংস্কার আন্দোলন চালাকালীন ছাত্রলীগ কর্মী কি একজন আন্দোলনকারীর পায়ের রগ কেটেছিলো? কোটা সংস্কার আন্দোলন চালাকালীন ছাত্রলীগ কর্মী কি একজন আন্দোলনকারীর পায়ের রগ কেটেছিলো?

বেশ কয়েকটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিলো যে ছাত্রলীগ কর্মী ইফফাত জাহান, মোরশেদা নামের একজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। “ঢাবি হলে আন্দোলনকারী ছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেয়ার অভিযোগ (ভিডিও)” শিরোণামে এটি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে জনপ্রিয় অনলাইনভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম পরিবর্তন ডট কম

সেদিন রাতেই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগান শোনা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলের ভেতর থেকে। হল ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ইফফাত জাহান কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাওয়া শিক্ষার্থীদেরকে গায়ে হাত তুলেছে বলে ক্ষুব্ধ ছিলো তারা। রাত বাড়তে থাকলে হল ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ইফফাত জাহানকে বিতাড়িত করার দাবি নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী সুফিয়া কামাল হলের ভেতরে এবং বাইরে অবস্থান নেয়।

কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জানা যায়, ইফফাত জাহান বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে হলের একটি রুমে আজকে নির্যাতন চালায়। মোরশেদা খানমও সেই রুমে ছিলো। তবে কোন অবস্থায় ছিলো সেটি পুরোপুরি পরিষ্কার নয়।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বলছে পায়ের রগ কেটে নেবার উদ্দেশ্যে মোরশেদার পায়ে আঘাত করে ইফফাত।

shorturl.at/oNPS2

shorturl.at/oyCNR

আবার আরেকদল শিক্ষার্থী বলছে একদম ভিন্ন কথা। তাদের মতামত অনুযায়ী মোরশেদা কাঁচের জানালায় লাথি মারলে তার পা কেঁটে যায়। তবে সে কেন এটা করেছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায় নি।

shorturl.at/lvBI3

মোরশেদের আপলোড করা একটি ভিডিও ছড়িয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেখানে তিনি হল ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট ইফফাত জাহান কোটা সংস্কারের পক্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর যে নির্যাতন চালাচ্ছে তার বর্ণনা দেন তিনি।

ঘটনার পরপরই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় ইফফাত জাহানকে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট সাইফুর রহমান এবং জেনারেল সেক্রেটারি এস.এম. জাকির হোসেইন।

 

No Factcheck schema data available.