২৩ এপ্রিল ২০২১ তারিখে ‘অবশেষে খুলে দেয়া হলো গণপরিবহনও!’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করেছে anondobarta.com এবং shahidajannat.news সহ আরও বেশ কিছু ওয়েব পোর্টাল। কিন্তু খবরের বিস্তারিত অংশে এমন কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। এটি একটি ভুয়া খবর। বাস্তবে সরকার থেকে এখনও এমন কোনো ঘোষণা আসেনি। কবে নাগাদ সকল গণপরিবহন চালু হতে পারে সেবিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, “গণপরিবহন চালুর বিষয়টি নিয়ে ২৮ এপ্রিল আলোচনা হবে।“
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, উক্ত শিরোনামের খবরটি ফেইসবুকে প্রচুর শেয়ার হয়েছে যা মূলত জাগো নিউজের একটি প্রতিবেদন থেকে হুবহু কপি করা। ২৩ এপ্রিল ২০২১ তারিখে ‘২৯ এপ্রিল থেকে বাস চালাতে চান মালিকরা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাগো নিউজ যেখানে তারা বলেছে, “লকডাউনের বর্ধিত মেয়াদ শেষে আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে বাস চালাতে চান পরিবহন মালিকরা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জারি করা কঠোর লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৮ এপ্রিল মধ্যরাতে। তবে মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার অনুমতি দিয়েছে সরকার।“
জাগো নিউজের প্রতিবেদটির প্রথম লাইন বাদে প্রতিবেদনের বাকি অংশটুকু হুবহু মিলে যাচ্ছে ভুল শিরোনামে শেয়ার হওয়া খবরগুলোতে। কিন্তু ঠিক কবে নাগাদ দেশের সকল গণপরিবহণ চালু হবে তার কোনো তথ্য দেয়া নেই সেখানে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেছেন, তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করেছেন। ২৮ এপ্রিলের আগে গণপরিবহন চালুর কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। তবে ২৯ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন যাতে চালু করা যায়, সে বিষয়ে তাঁরা জোর দাবি জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেছেন, “মানুষের জীবন ও জীবিকা দুটোই সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে কাজ করছে সরকার। এ ক্ষেত্রে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’-এর ওপর বেশি জোর দেওয়া হবে। গণপরিবহন চালুর বিষয়টি নিয়ে ২৮ এপ্রিল আলোচনা হবে। গণপরিবহন চালু হলে কতটা আসন ফাঁকা রাখা হবে, সে বিষয়টিও আলোচনায় আসবে। ওই বৈঠকেই সবকিছু চূড়ান্ত হবে।“