এলাকাবাসীর উদ্যোগে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বেশ কয়েকটি পাহাড়ী গ্রামে তৈরি হচ্ছে ২৫টি হোম কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত পাহাড়ি ছাত্র ও গার্মেন্টস কর্মীদের ১৪-১৬ দিনের জন্য এই চালাঘরগুলোতে রাখার পর নিজের পাড়ায় ঢোকার অনুমতি দেয়া হবে।
রাঙামাটি ভিত্তিক সাংবাদিক হিমেল চাকমার মাধ্যমে জানা যায়, ঘরগুলো মূলত গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে জনমানবহীন স্থানেই গড়ে তোলা হচ্ছে যাতে বহিরাগতদের সংস্পর্শে আসতে না হয় অন্যান্যদের। কিন্তু তাদের রান্না কিংবা প্রতিদিনের চা, ডাল, সবজি সরবরাহ করার দায়িত্বে থাকবে এলাকাবাসীরাই।
প্রকৃতির মাঝে কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষগুলোর যেন কোন দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেদিকে সর্বদা খেয়াল রাখছে একটি যুব স্বেচ্ছাসেবক দল। বৃষ্টি এড়াতেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে পাশ্ববর্তী এক কিয়াং কুটির। “সাময়িক অবস্থা মোকাবিলা করতে আমরা সবাই একত্রে কাজ করছি”, বলেন স্বেচ্ছাসেবী পরেশ চাকমা।
করোনা আতঙ্কে ঘরে ফিরছে শত শত পাহাড়ি নারীপুরুষ যাদেরকে সরাসরি পাড়ায় প্রবেশ করতে দিলে বড় হুমকির মধ্যে পড়তে পারে পুরো গ্রাম। তাই এমন সচেতন উদ্যোগে সাজেক ইউপি চেয়ারম্যান নেলসন চাকমা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাজেক ইউনিয়নের ভাইবাছড়া, হাজাছড়া, রামছড়া, নাঙ্গলমারা, উলুছড়া, নন্দরাম, ডিপুপাড়া, শুকনোছড়া, করল্ল্যাছড়ি এগুচ্ছাছড়ি-এ সমস্ত পাহাড়ি গ্রামে নির্মিত হচ্ছে চালাঘর। স্থানীয় যুব সমাজ নিজ অর্থায়ন ও পরিশ্রমে এসব ঘর তৈরি করেছে।
এধরণের উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে বাঘাইছড়ির এলাকাবাসী দেখিয়ে দিলেন, সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেও সামাজিকতা এবং মানবিকতা অটুট থাকতে পারে। আমরা এই জন-উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।