২০ মে ২০২২ তারিখে “১১৬ জন আলেমের তালিকা নিয়ে সংসদ গরম” – ক্যাপশনে একটি ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার হয়েছে। মূলত ভিডিওটি ১২ মার্চ ২০১৯ তারিখে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যের। অন্যদিকে, ১১ মে ২০২২ তারিখে ‘মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত গণকমিশন’ নামের একটি সংগঠন ১১৬ ধর্মীয় বক্তার একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দেয়। উক্ত ঘটনার সাথে ২০১৯ সালের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের কোনো প্রাসঙ্গিকতা না থাকায় ফ্যাক্টওয়াচ এটিকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।
বিভিন্ন কী-ওয়ার্ডের মাধ্যমে ইউটিউবে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, মূল ভিডিওটি ১২ মার্চ ২০১৯ তারিখে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাপনী বক্তব্যের। উক্ত অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাদ্রাসাশিক্ষার মাধ্যমে থেকে এই ভূখণ্ডে মুসলমানদের শিক্ষা শুরু হয়েছিল। চার থেকে পাঁচটা বোর্ড কওমি মাদ্রাসার ছেলেমেয়েদের পড়াত। প্রায় ২০ লাখ ছেলেমেয়ে সেখানে পড়াশোনা করে। মাদ্রাসা আছে বলেই যাদের মা–বাবা নেই, তারা সেখানে স্থান পাচ্ছে। খাওয়াদাওয়া পাচ্ছে। কাজেই তাদের অস্বীকার করতে পারি না।“
উক্ত ক্যাপশনে প্রকাশিত ভিডিওটি চালিয়ে দেখা যায়, একই ভিডিও ক্লিপ পর পর জোড়া লাগিয়ে দীর্ঘায়িত করা হয়েছে। ১২ মার্চ ২০১৯ তারিখে ইউটিউবে প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের দুটি ভিডিও দেখুন এখানে এবং এখানে।
উক্ত অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য নিয়ে প্রথম আলোর একটি প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি ১১ মে ২০২২ তারিখে ‘মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গঠিত গণকমিশন’ নামের একটি সংগঠন ১১৬ ধর্মীয় বক্তার একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে। সংবাদ সূত্রে জানা যায়, তালিকায় স্থান পাওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জঙ্গি অর্থায়ন এবং ওয়াজের মাধ্যমে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট’ করার অভিযোগও এনেছে গণকমিশন।
উপরোক্ত তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিষয়টি স্পষ্ট, গণকমিশনের জমাকৃত ধর্মীয় বক্তাদের তালিকার সাথে উক্ত ভাইরাল ভিডিওটির কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ৩ বছরের পুরনো ভিডিও সম্প্রতি ভিন্ন ইস্যুতে ব্যবহারের কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এটিকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?