ওষুধ সরবরাহকারী গাড়িতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের ৩ হাজার কোটি টাকার চেক পাওয়া যায় নি

73
ওষুধ সরবরাহকারী গাড়িতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের ৩ হাজার কোটি টাকার চেক পাওয়া যায় নি
ওষুধ সরবরাহকারী গাড়িতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেলের ৩ হাজার কোটি টাকার চেক পাওয়া যায় নি

Published on: [post_published]

সড়কে ট্রাফিক সামলানোর সময় একটি ওষুধ সরবরাহকারী গাড়ি থেকে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের বিভিন্ন মালামাল ও নথির সাথে ৩ হাজার কোটি টাকার একটি ব্যাংক চেক পাওয়ার খবর ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, ব্যাংক চেক নয়, বরং অ্যাটর্নি জেনারেলের একটি ক্রেডিট কার্ড-বিবরণীতে ব্যাংকের বকেয়া পাওনা ৩০০০ টাকা জমাকৃত বোঝাতে CR (credit) শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছিলো যাকে শিক্ষার্থীরা Crore ভেবে ভুল করেছে। ফলশ্রুতিতে সামাজিক গণমাধ্যমে উক্ত বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে।

বিভ্রান্তির উৎস

৯ আগস্ট সড়কে শিক্ষার্থীদের হাতে ওষুধ সরবরাহকারী গাড়িটি ধরা পড়ার পর থেকে ফেসবুকে ৩ হাজার কোটি টাকার চেক পাওয়ার খবর ভাইরাল হয়ে যায়। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে


ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান

বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের ১০ আগস্টের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের উদ্ধারকৃত ‘চেক’-এর ছবি পেয়েছে বিডিনিউজ কর্তৃপক্ষ। ছবি থেকে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে যে, সেটি কোনো ব্যাংক চেক নয়, বরং সিটি ব্যাংকের একটি ক্রেডিট কার্ডের বিবরণী। এ কার্ডের মালিকের নাম লেখা রয়েছে আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন। কার্ডের বকেয়া তিন হাজার টাকা পরিশোধের জন্য নভেম্বর ৩ হাজার টাকা জমা করা হয়। বিবরণীতে একে লেখা হয়েছে 3000.00 CR হিসেবে। CR শব্দটিকে Crore বা কোটি ভেবে শিক্ষার্থীরা ৩ হাজার কোটি টাকা ধরে নেন। কার্ডের নতুন ব্যালেন্সে শূন্য লেখা থাকায় শিক্ষার্থীরা ভেবেছেন এ পরিমাণ টাকা চেকের মালিক তুলে নিয়েছেন।

বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম থেকে পাওয়া কথিত চেকের ছবি

 

বাহাউদ্দিন ইমরান নামক একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ঘটনার দিন ফেসবুকে কথিত চেকের একই ছবি শেয়ার করে বলেছেন – “ওটা ৩ হাজার কোটি টাকা না, মাত্র ৩ হাজার টাকার ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধের স্লিপ”।

উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক বিভ্রান্তির সৃষ্টি হওয়ায় সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।

 

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.