উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় কি বাংলাদেশ?

14
উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় কি বাংলাদেশ? উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় কি বাংলাদেশ?

 

উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম উঠেছে বাংলাদেশের নাকি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠতে প্রাথমিক ধাপ পার করেছে বাংলাদেশ এই নিয়ে সম্প্রতি দেশের গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে আলোচনা সমালোচনা।

‘উন্নয়নশীল দেশ হলো বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি জাতিসংঘের’ এই সব শিরোনামে বেশ কিছু পত্রিকার অনলাইন পোটালগুলো সংবাদ প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ্য করা হয় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের তালিকায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই নিয়ে চলছে নানান বিতর্ক। বিভিন্ন মতামত রয়েছে মানুষের মাঝে। রয়েছে বেশ কিছু সমালোচনার প্রসঙ্গ।

কিন্তু, প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে প্রাথমিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠতে যে শর্ত দরকার, তা পূরণ করায় আবেদন করার যোগ্য হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বাংলাদশের প্রোফাইলে এখন বলা আছে, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা এই মার্চেই অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ জাতিসংঘের নজরদারিতে রয়েছে। আয়, মানব সম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচক (ইভিআই) এই তিন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে তবেই, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে এমনটাই জানিয়েছেন জাতিসংঘ। এই নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে জাতীয় ইংরেজী দৈনিক দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্ট

পরিশেষে প্রসঙ্গ এই যে, মাথাপিছু জাতীয় আয় ১ হাজার ২৫ ডলারের নিচে থাকলে সে দেশ এলডিসিভুক্ত হয়, এই আয় ১২৩০ ডলার অতিক্রম করলে ধাপ উন্নয়নের যোগ্যতা অর্জন হয়। বাংলাদেশের এখন ১ হাজার ২৭৪ ডলার। মানব সম্পদ সূচকে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ৭২। এক্ষেত্রে ৬২ পর্যন্ত দেশগুলো এলডিসিভুক্ত, ৬৪ ছাড়ালে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জিত হয়।অর্থনৈতিক ঝুঁকির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ২৫ দশমিক ২। এই পয়েন্ট ৩৬ এর বেশি হলে এলডিসিভুক্ত হয়, ৩২ এ আনার পর উন্নয়নশীল দেশে যোগ্যতা অর্জন হয়।

গ্র্যাজুয়েশন করার জন্য বিবেচনা করা যেতে পারে এমন তিনটি মানদণ্ডের দুইটি প্রান্তিক মান অতিক্রম করতে হবে’। বাংলাদেশ তিনটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে প্রথম এলডিসি হতে স্নাতক হওয়ার সম্ভাবনা দেখিয়েছে। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি  (সিডিপি’র )তথ্য মতে, নেপাল ও তিমুর-লেস্টেও মানদণ্ড পূরণ করেছে কিন্তু তাদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের কারণে এই সময়ে স্নাতকদের জন্য সুপারিশ করা হয়নি।

তাই, বাংলাদেশেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নিজের মর্যাদা পাকাপোক্ত করতে পার করতে হবে দ্বিতীয় ধাপ।

No Factcheck schema data available.