রাজধানীর ধানমণ্ডি সাতমসজিদ রোডে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ক্যাম্পাসে এপ্রিলের ৫ তারিখে হয়ে গেলো ফ্যাক্ট-চেকিং সংক্রান্ত একটি কর্মশালা। বিশ্ববিদ্যালয়টির মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের অধীনে পরিচালিত “ফ্যাক্টওয়াচ” প্রকল্পের অংশ হিসাবে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালাটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের অধ্যাপক এবং ফ্যাকাল্টি রিসার্চের প্রধান সুমন রহমান। কর্মশালায় বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগের শিক্ষক কাশফিয়া আরিফ আহমেদ, ফ্যাক্টওয়াচের সম্পাদক এসএম রেজাউল করিম এবং জাইমা ইসলাম। ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের গুরুত্ব এবং সঠিকভাবে কোনপ্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়াই কোনো সংবাদ প্রকাশ করা হলে তার ফলাফল কেমন হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। কর্মশালায় উপস্থিত সবাইকে কোনোপ্রকার সাংগঠনিক সাহায্য ছাড়াই সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে কীভাবে তথ্য যাচাই করা যায় সেটি শেখানো হয়। তথ্যের পাশাপাশি ভুয়া ছবি যাচাইয়ের প্রক্রিয়াও শেখানো হয় এই কর্মশালায়।
উপস্থিত বক্তাদের ভেতর শুরুতেই কাশফিয়া আরিফ আহমেদ আলোচনা করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্যাক্ট-চেকিং ওয়েবসাইটের উৎপত্তি এবং ফ্যাক্ট-চেকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থা সম্পর্কে। তথ্য যাচাইয়ের পুরো প্রক্রিয়াটি কোন কোন দিক থেকে একটি সাধারণ নিউজরুমের কর্মকাণ্ডের চেয়ে ভিন্ন সে বিষয়েও আলোচনা করেন তিনি।
এরপর ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষক এসএম রেজাউল করিম কথা বলেন ভুয়া সংবাদের ইতিহাস নিয়ে। তার মতে, আসল সংবাদের সাথে তুলনা করলে ভুয়া সংবাদগুলি বিশ্বাস করাটা বেশিরভাগ সময়ই একটু কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। স্বচ্ছতার অভাবকেই সংবাদ ভাইরাল হবার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি।
ফ্যাক্ট-চেকিং সংক্রান্ত এই কর্মশালার একেবারে শেষ ধাপটি পরিচালনা করেন জাইমা ইসলাম। তিনি অংশগ্রহণকারীদেরকে কীভাবে ভুয়া সংবাদ, ছবি এবং ভিডিও যাচাই করা যায় সেটি হাতে কলমে শেখান। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের অনলাইনে থাকা বিভিন্ন ফ্যাক্ট-চেকিং টুলসের সাথে পরিচিত করিয়ে দেন জাইমা ইসলাম। এছাড়াও মুছে ফেলা বা সম্পাদনা করা ওয়েব পাতা খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া এবং স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহার করে তথ্য ও ছবির উৎস খুঁজে বের করার ব্যাপারেও আলোচনা করেন তিনি।
কর্মশালায় ইউল্যাব ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ছাড়াও বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।