সম্প্রতি ফেসবুকে “বাংলাদেশে ৫০ টাকার কয়েনের যাত্রা শুরু।” ক্যাপশনে একটি রৌপ্য মুদ্রার ছবি ভাইরাল হয়েছে। মূলত এটি একটি স্মারক মুদ্রা যা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক তৈরি করছে। ৩০ গ্রাম ওজনের এই মুদ্রা কিনতে গুনতে হবে ৪ হাজার টাকা। এই রৌপ্যমুদ্রার পাশাপাশি ৫০ টাকা মূল্যমানের দুটি স্মারক নোটও ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক যার মধ্যে একটি প্রচলনযোগ্য ব্যাংকনোট, অপরটি শুধু স্মারক নোট। ৫০ টাকা কয়েনের ছবি যুক্ত পোস্টের ক্যাপশনে “স্মারক মুদ্রা” উল্লেখ্য না থাকায় এটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে বিবেচনায়, ফ্যাক্টওয়াচ এটিকে “বিভ্রান্তিকর” সাব্যস্ত করেছে।
সম্প্রতি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজ থেকে শেয়ার হওয়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এবং এখানে।
গত বছরের ২৩ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, ২৮ মার্চ ২০২১ তারিখে থেকে রুপার ৫০ টাকা কয়েন এবং ৫০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ব্যাংক নোট ও স্মারক নোট বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে পাওয়া যাচ্ছে।
রৌপ্য স্মারক মুদ্রাটি ৫০ টাকা অভিহিত মূল্যের ৩৮ মিলিমিটার ব্যাসবিশিষ্ট ও ৯২৫ ফাইন সিলভার দ্বারা নির্মিত এবং এর ওজন ৩০ গ্রাম। মুদ্রার পেছন ভাগে ইংরেজিতে ‘৫০’ এবং ‘০’ এর মাঝখানে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম’-এর নিচে ‘১৯৭১-২০২১’ মুদ্রিত।
এছাড়াও, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ৫০ টাকা মূল্যমানের স্মারক স্বর্ণমুদ্রা আনছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৫০ টাকা মূল্যমানের স্মারক স্বর্ণমুদ্রাটি ২৫ মিলিমিটার ঢেউখেলানো নকশায় তৈরি। ২২ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি স্মারক মুদ্রাটির ওজন হবে ১০ গ্রাম যার মূল্য স্মারক বাক্সসহ ৬৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাধারণত কোনো কিছুর স্মরণে স্মারক মুদ্রা/নোট মুদ্রণ করা হয়। এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো ২০০ টাকা মূল্যমানের নোট বাজারে ছাড়া হয়। যদিও এটি স্মারক ব্যাংক নোট নামে বাজারে ছাড়া হয়েছে তবে প্রচলিত নোটের মতোই লেনদেন করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বর্তমান বাজারে প্রচলিত নোট এবং কয়েনের তালিকা দেখুন এখানে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?