সম্প্রতি ভারতে মসজিদ ভাঙা হচ্ছে দাবিতে একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক্সকাভেটর দিয়ে মসজিদ সদৃশ একটি স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল ভিডিওটি ভারতের কোনো মসজিদের নয়, এটি ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় অবস্থিত হিবিস্ক ফ্যান্টাসি পুঞ্চাক নামে একটি পার্কের স্থাপনা।
ভিডিওটি নিয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চে শর্টভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে খুঁজে পাওয়া যায়। স্যায়ার কানালা (Syrkanala) নামের অ্যাকাউন্টটিতে গত ৮ মার্চ ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয় ”পুঞ্চাক, বোগোরে হিবিস্ক পর্যটনকেন্দ্র উচ্ছেদের দ্বিতীয় দিন।” হিবিস্ক পুঞ্চাক বোগোর ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় অবস্থিত।
একই ঘটনার ভিন্ন একটি ভিডিও পাওয়া যায় কম্পাস ডটকম নামে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে। চ্যানেলটিতে ভিডিওটি গত ৮ মার্চ পোস্ট করা হয়। এর সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওটিতে থাকা স্থাপনার মিল দেখা যায়। পোস্টের ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এটি ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভার বোগোরের পুঞ্চাক এলাকায় অবস্থিত হিবিস্ক ফ্যান্টাসি পর্যটনকেন্দ্র থেকে ধারণ করা।
এই সূত্র ধরে পুনরায় অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের ইন্দোনেশীয় সংস্করণে এই ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেখানেও একই স্থাপনার দেখা মিলে। গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, হিবিস্ক ফ্যান্টাসি পুঞ্চাক পার্কের এই স্থাপনাটি অবৈধভাবে নির্মিত এবং অঞ্চলটিতে বন্যার জন্য দায়ী।
এ ছাড়া হিবিস্ক ফ্যান্টাসি পুঞ্চাক পার্কের ভেরিফায়েড ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত একটি ভিডিওতেও মসজিদ দাবিতে ভাইরাল স্থাপনাটির দেখা মিলে।
সার্বিক বিবেচনায় এটি স্পষ্ট যে, ভাইরাল ভিডিওতে থাকা স্থাপনাটি ভারতের কোনো মসজিদের নয়।এটি ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ জাভায় অবস্থিত হিবিস্ক ফ্যান্টাসি পুঞ্চাক পার্কের একটি স্থাপনা, যা পরিবেশগত উদ্যোগের অংশ হিসেবে উচ্ছেদ করা হয়। তাই ফ্যাক্টওয়াচ দাবিটিকে মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করছে।
Claim: সম্প্রতি ভারতে মসজিদ ভাঙা হচ্ছে দাবিতে একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক্সকাভেটর দিয়ে মসজিদ সদৃশ একটি স্থাপনা ভেঙে ফেলা হচ্ছে।
Claimed By: Facebook Users
Rating: False
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh