প্রশ্নফাঁসের সাথে জড়িত বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক ড্রাইভার সৈয়দ আবেদ আলী ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা – এমন সংবাদসম্বলিত ডেইলি স্টারের আদলে বানানো একটি ফটোকার্ড গত ১০ জুলাই থেকে ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ডেইলি স্টার এমন কোনো সংবাদ বা ফটোকার্ড প্রকাশ করে নি। Rumour Spreader নামক একটি ব্যঙ্গাত্মক ফেসবুক পেইজ থেকে সর্বপ্রথম এই বানানো ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়, যারা নিয়মিতই বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার আদলে বানানো ব্যঙ্গাত্মক ফটোকার্ড শেয়ার করে থাকে। তাই বানোয়াট এই ফটোকার্ডকে ফ্যাক্টওয়াচ “স্যাটায়ার” আখ্যা দিচ্ছে।
গুজবের উৎস
এ মাসের ১০ জুলাই থেকে পোস্টটি ফেসবুকে শেয়ার হতে থাকে। ফটোকার্ডটির মূল উৎস সন্ধান করে Rumour Spreader নামক একটি ফেসবুক পেইজ পাওয়া যাচ্ছে, যে পেইজ থেকে ১০ জুলাই সর্বপ্রথম ফটোকার্ডটি পোস্ট করা হয়েছিলো।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
পেজটি পর্যালোচনা করে জানা যাচ্ছে এটি একটি ব্যঙ্গধর্মী পেজ। এখান থেকে নিয়মিতই দেশের খবর নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট এবং বিভিন্ন বানানো ফটোকার্ড শেয়ার করা হয়ে থাকে।
ডেইলি স্টার ইতোমধ্যে তাদের ফেসবুক পেইজ থেকে জানিয়েছে এই ছবি ও সংবাদ ভুয়া, এবং তাদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয় নি।
পিএসসির প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার ড্রাইভার আবেদ আলীকে নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে তার অবৈধ সম্পদ ও অপরাধের বিবরণী পাওয়া গেলেও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কোনোভাবে জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া যায় নি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের নামের সাথে ড্রাইভার আবেদ আলীর নামের মিল থাকায় স্পষ্টতই স্যাটায়ার হিসেবে ফটোকার্ডটি বানানো হয়েছে।
সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে স্যাটায়ার সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।