সম্প্রতি “টিপকান্ডে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হলো কেন?” এমন শিরোনামে প্রায় ৫ টি দাবিসম্পন্ন একটি পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে মূল দাবিটি হচ্ছে যে, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য নাজমুল তারেকের গর্ভবতী স্ত্রী তার বাইকের পিছনের আসনে বসা ছিলেন। কিন্তু অনুসন্ধানে এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি উক্ত দাবির সাথে যে ছবিটি ব্যবহার করা হচ্ছে সেখানেও তার বাইকের পিছনে কাউকে সনাক্ত করা যায়নি। মূলধারার গণমাধ্যমে থাকা ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজের ছবিতে উক্ত ব্যক্তির বাইকের পিছনে কাউকে দেখতে পাওয়া যায়নি। বরং সাংবাদিক হারুন-উর-রশিদের ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে পাওয়া একটি সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জানা যায় সেসময় অভিযুক্ত ব্যক্তিটি বাইকে একাই ছিলেন। বাংলা ট্রিবিউন ও একাত্তর টিভিও জানায় তার বাইকের পিছনে সেসময় কেউ ছিলেন না। তাই মূলধারার গণমাধ্যমে থাকা ছবি এবং ভিডিওর উপর ভিত্তি করে ফ্যাক্টওয়াচ দাবিটিকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করছে।
উপরোক্তচিহ্নিতজায়গাটিকে “স্পষ্টতই” অভিযুক্তব্যক্তিরস্ত্রীরশরীরেরঅংশবলেদাবিকরাহচ্ছে।কিন্তুছবিটিভালোভাবেলক্ষ্যকরলেএকটিহলুদঅংশবিশেষছাড়াঅন্যকিছুইদেখতেপাওয়াযায় না।এইহলুদঅংশবিশেষটিকিআসলেইঅভিযুক্তব্যক্তিরস্ত্রীরদেহেরঅংশকিনাতাসম্পর্কেকোনোধারণাকরাযায় না।
ভিডিওতেথাকাব্যক্তিএবংমূলধারারগণমাধ্যমেপাওয়ানাজমুলতারেকেরঅবয়বেরমধ্যেযথেষ্টমিলও খুঁজেপাওয়াযায়।ভিডিও থেকে পাওয়া ছবি থেকে বুঝা যায় যে, উক্ত বাইকে নাজমুল তারেক একাই ছিলেন। পিছনের হলুদ অংশটি তার ব্যাগ বলেই মনে হচ্ছে। অন্তত কোনো মানুষ যে সেখানে নেই এটা শতভাগ নিশ্চিত। তবেহারুন উর রশিদের পেজেভিডিওটিরমূল সূত্রকোথাওউল্লেখকরাহয়নি।
অন্যদিকে, ঢাকা ট্রিবিউনের একটি প্রতিবেদনে নাজমুল তারেকের পিছনে তার স্ত্রী ছিলেন এমন দাবিকে মিথ্যা বলা হয়। সেখানে বলা হয়,”সময়ের আলো জানায়, তদন্ত সংশ্লিষ্টরা নাজমুলের বাসা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত প্রত্যেকটি সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করেন। এতে দেখা যায়, মোটরসাইকেলে নাজমুলের স্ত্রী ছিলেন না। এতে প্রমাণিত হয়, কনস্টেবল নাজমুল সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন।”
একই দাবি করছে একাত্তর টিভিও। একটি ভিডিও প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
মোবাইল ফোনের অবস্থানের ভিত্তিতে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, ঘটনার সময় নাজমুলের স্ত্রীর অবস্থান ছিল বাসায়।