সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে যে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিনকে রংপুরে বদলি করা হচ্ছে। তবে, বাংলাদেশের বিভিন্ন মূলধারার সংবাদমাধ্যম ডিএমপি মিডিয়া এবং পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো: ফারুক হোসেন এর বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে, এডিসি সানজিদা আফরিনকে এখন পর্যন্ত (১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার) কোথাও বদলির আদেশ জারি করা হয়নি এবং তাকে রংপুরে বদলি করা হয়েছে বলে সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত পোস্টগুলোর দাবিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
ডিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সানজিদা আফরিনকে রংপুরে বদলি করা হচ্ছে – শীর্ষক যে দাবিটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে তার যথাযথতা যাচাই করতে প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগল সার্চ করে আমরা বাংলাদেশের মূলধারার বেশকিছু সংবাদমাধ্যমের সংবাদ খুঁজে পেয়েছি। এসকল সংবাদগুলোতে ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: ফারুক হোসেনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সানজিদা আফরিনকে বদলি করার বিষয়ে কোন আদেশের কপি তিনি পাননি এবং এখন পর্যন্ত (১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার) এমন কোন অর্ডারও হয়নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, এডিসি সানজিদা আফরিনকে রংপুরে বদলি করা হচ্ছে বলে যে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে তা সঠিক নয়। পড়ুন ঢাকা ট্রিবিউন, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর, এবং যমুনা টেলিভিশন এর সংবাদ। তাছাড়া, কালের কন্ঠ, আরটিভি নিউজ, দেশ রূপান্তর প্রভৃতি সংবাদমাধ্যমগুলোতে এডিসি সানজিদাকে বদলির চিন্তা চলছে বা রংপুরে বদলির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে – শীর্ষক শিরোনাম ব্যবহার করা হলেও মূল সংবাদে ডিএমপি মিডিয়া এবং পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: ফারুক হোসন এর প্রদত্ত বিবৃতিটি ব্যবহার করা হয়েছে।
Image: Excerpt from the Dhaka Tribune Bangla
উল্লেখ্য, গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ ঢাকাট শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত ডিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশীদকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত একটি প্রজ্ঞাপনের বলে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি এর কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। দেখুন এখানে।
অতএব, এই বিষয়টি স্পষ্ট যে, এডিসি সানজিদা আফরিনকে রংপুরে বদলি করা হচ্ছে বলে যে তথ্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে সেটা সঠিক নয় এবং তার বদলি বিষয়ক কোন আদেশ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে আসেনি।
সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত পোস্টগুলোর দাবিকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।