ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য দাবিতে ইত্তেফাকের নামে ভুয়া ফটোকার্ড

65
ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য দাবিতে ইত্তেফাকের নামে ভুয়া ফটোকার্ড
ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্য দাবিতে ইত্তেফাকের নামে ভুয়া ফটোকার্ড

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকাররের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের নামে দৈনিক ইত্তেফাকের আদলে বানানো একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে উপদেষ্টার উক্তি দাবিতে উল্লেখ করা হচ্ছে, "রাষ্ট্রের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি হিসেবে ড. ইউনুসের এখন দাড়ি রাখা উচিত।"। কিন্তু, ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, দৈনিক ইত্তেফাকের নামে প্রচারিত এই ফটোকার্ডটি ভুয়া। সংবাদমাধ্যমটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত একটি ফটোকার্ডের টেক্সট পরিবর্তন করে এটি বানানো হয়েছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় ভাইরাল পোষ্টগুলো বিকৃত।

ভাইরাল ফটোকার্ডে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের যেই ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে ইত্তেফাকের ফেসবুক পেজে সেই ছবিটি ব্যবহার করে ভিন্ন একটি ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায়। ফটোকার্ডটি ১১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে ধর্ম উপদেষ্টার উক্তি দাবিতে উল্লেখ করা হয় “দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় থাকবে আকাশে হেলিকপ্টার, পানিতে ডুবুরি”। এই ফটোকার্ডটি সম্পাদনা করে এর টেক্সট পরিবর্তন করে ভাইরাল ফটোকার্ডটি বানানো হয়েছে। এছাড়াও, ধর্ম উপদেষ্টা এবং তার পেছনে থাকা ব্যাকগ্রাউন্ডের সাথে ভাইরাল ফটোকার্ডের হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। দুই স্থানেই ধর্ম উপদেষ্টার পেছনে ব্যাকগ্রাউন্ডে পূজামণ্ডপের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।

পরবর্তীতে, ইত্তেফাকের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি পোস্টে তাদের নামে ছড়িয়ে পড়া এই ফটোকার্ডটিকে ভুয়া বলে শনাক্ত করেছে। এর ক্যাপশনে উল্লেখ করা হয়  “প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে জড়িয়ে ধর্ম উপদেষ্টার বরাত দিয়ে ইত্তেফাকের সূত্র উল্লেখ করে একটি ভুল তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে”। ইত্তেফাকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটেও এ সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। 

অন্যদিকে, ইত্তেফাক বা নির্ভরযোগ্য অন্য কোনো মাধ্যম থেকে প্রধান উপদেষ্টা এবং ধর্ম উপদেষ্টাকে নিয়ে এমন কোনো সংবাদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল পোষ্টগুলোকে বিকৃত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। 

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোষ্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে। 

ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে

এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh