সম্প্রতি ফেসবুকে রংপুরের লোহানি পাড়া নগরের মোঃ হামিদ মিয়ার মেয়ে “তাসনিয়া আক্তার আয়েশা” নামের এক শিশুর জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন করে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, শিশুটির আসল নাম আলভিনা এবং তার মায়ের নাম উমরাজ ফাতিমা। তারা ভারতের নাগরিক।
ভাইরাল হওয়া ফেসবুক পোস্টে ব্যবহৃত ছবিগুলো গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, শিশুটির আসল নাম আলভিনা এবং তার মায়ের নাম উমরাজ ফাতিমা। তারা ভারতের নাগরিক।
ছয় বছর বয়সী আলভিনার এইচএলএইচ (হেমোফ্যাগোসাইটিক লিম্ফো-হিস্টিওসাইটোসিস) ধরা পড়েছে। এটি একটি অত্যন্ত বিরল রোগ যেখানে একজনের ইমিউন সিস্টেম অভ্যন্তরীণ টিস্যু এবং অঙ্গগুলিকে রক্ষা করার পরিবর্তে আক্রমণ করতে শুরু করে। ২৯ অক্টোবর ২০২১ তারিখে রোগটি ধরা পড়ার পর থেকে তাকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
আলভিনার চিকিৎসার জন্য সাহায্য চেয়ে ফেসবুক, ওয়েবসাইট এবং টুইটারে ছবি পোস্ট করেছে ভারতের Ketto নামের একটি তহবিল সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের টুইট এবং ওয়েবসাইটে আলভিনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে, এখানে, এবং এখানে।
অথচ সম্প্রতি ভাইরাল ফেসবুক পোস্টগুলোতে ভারতের নাগরিক আলভিনাকে বাংলাদেশের রংপুরের লোহানি পাড়া নগরের মোঃ হামিদ মিয়ার মেয়ে “তাসনিয়া আক্তার আয়েশা” বলে প্রচার করা হচ্ছে।
টাকা দিয়ে সাহায্য করতে না পারলেও শেয়ার করে বিভিন্ন গ্রুপে ছড়িয়ে দেন যেন বিত্তবান দের নজরে আসে।
রংপুরের শিশু হসপিটালে আয়েশাকে নেওয়া হলে ডক্টর পরিক্ষা নিরিক্ষা করে জানায় আয়েশার ফুসফুসে ছিদ্র ও কিডনির প্রায় ৯০% ড্যামেজ হয়ে গেছে। এখুনি চিকিৎসাশুরুকরাতেনাপারলেমেয়েটিকেবাচানোসম্ভবনা।
ডাক্তার এর হিসেব মতে চিকিৎসারজন্যআরোপ্রায়৩লক্ষটাকারপ্রয়োজন।
এত টাকা আয়েশার অটো রিকশা চালক বাবার পক্ষে যোগাড় করা সম্ভব না। যার কারনে আয়েশার চিকিৎসাঠিকভাবেকরাতেপারছেননা।সময়দ্রুতফুরিয়েআসছে।টাকারঅভাবেযেনএইবোনটিরচিকিৎসাবন্ধনাহয়।
বর্তমানে আয়েশা ভর্তি আছে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায়। চাইলে সরাসরি মেয়েটিকে দেখে এসে তাদের কাছে সাহায্য দিয়ে আসতে পারেন।
১০০/৫০০/১০০০ টাকা যে যা পারবেন তাই দিয়ে সাহায্য করুন বাচ্চাটার চিকিৎসারজন্য।
মহান আল্লাহ তায়ালার উপর ভরসা রেখে আমরা যে যা পারি তাই দানের নিয়তে দিয়ে বাচ্চাটার পাশে দাড়াই, কারন কেয়ামত এর দিন এই সামান্য দান আমাদের নাজাতের উছিলাও হয়ে যেতে পারে ইনশাআল্লাহ।
প্রবাসী ভাইয়েরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন প্লিজ।
সাহায্যের আবেদনকৃত ফেসবুক পোস্টটিতে উল্লেখিত বিকাশ, নগদ এবং রকেট নম্বরে যোগাযোগ করে ফ্যাক্টওয়াচ টিম। কিন্তু কেউ ফোন ধরেনি।
আবার পোস্টের শুরুতেই বলা হচ্ছে,
“1 Like = ২ টাকা ।
1 Comment = ৫ টাকা ।
1 Share = ১০ টাকা ।
1 Group Share = ২০ টাকা ।“
যদিও বাস্তবে এগুলোর মাধ্যমে কোনো আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায় না ফেসবুক থেকে। সম্ভবত একটি চক্র প্রতারণার উদ্দেশ্যে এমনটি করেছে যাতে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ারের মাধ্যমে এই সাহায্যের আবেদনটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।
উপরোক্ত তথ্যপ্রমাণ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট যে, উক্ত ফেসবুক পোস্টগুলোতে উল্লেখিত ছবির শিশুর আসল পরিচয় আলভিনা যিনি ভারতের নাগরিক। আর্থিক সাহায্যের নামে প্রতারণার উদ্দেশ্য বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এটিকে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?