নওগাঁয় হিজাব পরার অপরাধে ছাত্রীদের মারধর করার খবরটি ভূয়া

15
নওগাঁয় হিজাব পরার অপরাধে ছাত্রীদের মারধর করার খবরটি ভূয়া
নওগাঁয় হিজাব পরার অপরাধে ছাত্রীদের মারধর করার খবরটি ভূয়া

Published on: [post_published]

‘মহাদেবপুরে হিজাব পরার অপরাধে ১৮ ছাত্রীকে পেটালেন হিন্দু শিক্ষিকা আমোদিনী পাল’- এমন দাবি করে ফেসবুকে বেশ কিছুদিন ধরে অনেক পোস্ট, ছবি,ভিডিও এবং পোস্টার শেয়ার করা হচ্ছে।  তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদনে  জানাচ্ছে যে হিজাব নয়, বরং স্কুল ইউনিফর্ম না পরার কারনেই শিক্ষাকে আমোদিনী পাল ছাত্রীদের শাস্তি দিয়েছিলেন। একাধিক সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনেও এই তথ্যই উঠে এসেছে।

গুজবের উৎস

গত ৭ই এপ্রিল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই গুজবটি ভাইরাল হতে দেখা যায় । এমন কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে

এম এইচ শরীফ নামের এই ব্যক্তি লিখেছেন

নওগাঁয় হিজাব পরার কারণে ১৮ ছাত্রীকে পেটালেন এক হিন্দু শিক্ষিকা😡😡

একই ঘটনার পোস্ট শেয়ার হয় ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নামে চালানো পেইজ থেকেও

এই পোস্টটিতে ১৩ হাজার রিয়েকশন, ৫৮৩ কমেন্ট এবং ১ হাজার শেয়ার রয়েছে।

ইনকিলাব , নয়া দিগন্ত , নয়া শতাব্দী, খোলা কাগজ সহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেখা যায় ।

যেমন -নয়া দিগন্ত তাদের শিরোনামে লিখেছে, মহাদেবপুরে হিজাব পরার কারণে ২০ ছাত্রীকে পেটালেন শিক্ষিকা ।

খোলা কাগজ শিরোনাম এ বলছে, হিজাব পরায় ২০ শিক্ষার্থীকে পেটালো শিক্ষিকা আমোদিনি পাল।


ইনকিলাব এ প্রকাশিত খবরে বলা হয়,  নওগাঁর মহাদেবপুরে হিজাব পরে স্কুলে আসার অপরাধে ১৮ ছাত্রীকে লাঠি দিয়ে পিটালেন শিক্ষিকা আমোদিনি পাল। বুধবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার দাউল বারবারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের জানালে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। অভিভাবকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

এর জের ধরে অভিভাবকরা বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে ওই স্কুলে গিয়ে এর প্রতিবাদ জানান। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে না পেয়ে তারা স্কুলের আসবাবপত্র ভাংচুর করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের দুটি ভ্যান ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

নির্যাতনের শিকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আফরিন অভিযোগ করে জানান, বুধবার দুপুরে জাতীয় সঙ্গীতের পর লাইনে দাঁড়ানো অবস্থায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনি পাল কেন হিজার পড়ে স্কুলে এসেছে এ কথা জিজ্ঞাসা করে ইউক্যালিপটাস গাছের ডাল দিয়ে তাদেরকে প্রহার করেন। শিক্ষিকা তাদেরকে জানিয়ে দেন যে ‘স্কুলে কোন পর্দা চলবে না। ঢং করে আসচো। বাসায় গিয়ে বোরখা পড়ে থাকো। যখন তোমরা মহাদেবপুর বাজারে যাবে তখন পর্দা করবে। স্কুলে আসলে মাথার কাপড় ফেলে আসবে।’

অনুসন্ধান

৬ই এপ্রিল আলোচিত এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়েছিল। এরপর গত শুক্রবার (৮ এপ্রিল) উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল মালেককে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

গতকাল ,১১ই এপ্রিল রাত ৮ টায় তদন্ত কমিটি তদন্ত কমিটির তিন সদস্য নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মিজানুর রহমান এর কাছে চার পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও মিজানুর রহমান বলেন, ‌‘তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্তে হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, স্কুলড্রেস না পরায় গত ৬ এপ্রিল বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল ও শরীরচর্চার শিক্ষক বদিউল আলম কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন।  তাদের মধ্যে হিন্দু ছাত্রী ও ছেলে শিক্ষার্থীও ছিল। হিজাব পরার কারণে শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে, এমন তথ্য তদন্ত প্রতিবেদনে পাওয়া যায়নি।  বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে ফাঁসানোর জন্য ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা হয়েছে। যারা এই গুজব ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। ‘

তিনি আরও বলেন, ‘স্কুলড্রেস না পরায় শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও আরেক শিক্ষক বদিউল আলম শিক্ষার্থীদের মারধর করেছেন। অথচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ শুধুমাত্র আমোদিনী পালকে শোকজ করেছেন। এই ঘটনা তদন্ত কমিটির কাছে উদ্দেশ্যমূলক মনে হয়েছে। শুধু শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে শোকজ করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।’

তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এবং ইউএনও’র বক্তব্য কে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা ইউ এন বি , ভয়েস অফ আমেরিকাদৈনিক প্রথম আলো, ইত্তেফাক , বাংলা ট্রিবিউন , কালের কণ্ঠ  সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

-আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম এই ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। যেমন, ৯ই এপ্রিল নিউজবাংলা টুয়েন্টি ফোর ডট কম এ ‘নওগাঁর স্কুলে হিজাব বিতর্কের পেছনে কি?’ শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পাঠকদের সুবিধার্থে রিপোর্টের চুম্বকাংশ তুলে ধরা হল।

বিষয়টির সত্যতা জানতে শুক্রবার দিনভর দাউল বারবাকপুর গ্রামে অনুসন্ধান চালিয়েছে নিউজবাংলা। স্কুলটির শিক্ষার্থী, শিক্ষক, এলাকাবাসী এবং প্রশাসনের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। ঘটনার সময় উপস্থিত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে জানায়, হিজাবের কারণে কাউকে সেদিন মারা হয়নি। স্কুলের নির্ধারিত পোশাক না পরার কারণে দুই শিক্ষক বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করেন। তাদের মধ্যে হিন্দু ছাত্রী ও ছেলে শিক্ষার্থীও ছিল।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্কুলড্রেস না পরার কারণে সেদিন মেয়েদের বেত্রাঘাত করেন আমোদিনী পাল, আর ছেলেদের একই শাস্তি দেন বদিউল আলম। তবে কেবল আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভাইরাল হয়।


আল মোক্তাদির নামে এক শিক্ষার্থী নিউজবাংলাকে বলে, ‘আমি শুরু থেকে ছিলাম, জাতীয় সংগীতের সময় স্কুলের ড্রেস না পরা কিছু ছেলেমেয়ে ছিল, তাদের মারছিল। বদিউল স্যার আগে ছেলেদের মারে। এক সপ্তাহ আগে বদিউল স্যার স্কুলড্রেস পরে আসতে হবে বলছিল। মেয়েদেরকেও তা বলা হইছে।

‘কিছু ছেলেমেয়ে ওইভাবে আসেনি বলে শাসন করছে। সারিবদ্ধ করে দাঁড় করায় তাদের মারছে। বদিউল স্যার ছাত্রদের মারছে, তারপর ম্যাডাম (আমোদিনী পাল) মেয়েদের মারছে। তবে জোরে মারে নাই, একটু মারছে। হালকা, খালি শাসন করার জন্য আরকি।’

হিজাবের কারণে কাউকে মারা হয়নি জানিয়ে মোক্তাদির বলে, ‘স্কুলড্রেস তারা ঠিকমতো পরে আসে নাই। আর যারা মার খাইছে তাদের সবার মাথায় তো হিজাব ছিল না। হিজাবের জন্য তো মারে নাই। হিজাব নাই এমন মেয়েদেরও তো মারছে। ছেলেদেরও মারা হইছে।’

ওই দিন স্কুলড্রেসে না যাওয়ায় আমোদিনী পালের বেত্রাঘাত খেয়েছে প্রমি রাণী পাল নামে এক শিক্ষার্থী।

প্রমি নিউজবাংলাকে বলে, ‘আমরা কয়েকজন আনড্রেস (স্কুল ড্রেস না পরা) ছিলাম। তাই আমোদিনি ম্যাডাম মেরেছিল। কঞ্চি দিয়ে একটু মারছে। আমি সেদিন এমনিই স্কুলড্রেস পরে যাইনি।’

হিজাবের কারণে শাস্তির অভিযোগে বিস্মিত প্রমি নিউজবাংলাকে বলে, ‘এটা কীভাবে আসল আমি তো জানি না। আমি তো হিন্দু, হিজাব করি না, আমিও মার খাইছি। অন্য মেয়েরা যারা মার খেয়েছে তাদের কেউ কেউ মাথায় ওড়না দিয়ে ছিল, ওগুলাও তো হিজাব না। তারাও আনড্রেসে ছিল। ছেলেদের মেরেছিল বদিউল স্যার।

ভাইরাল ভিডিওর সুমাইয়াকে চেনে জানিয়ে প্রমি বলে, ‘সে তো ওই দিন আনড্রেসে ছিল। হিজাব তো পরা ছিল না। ওড়না দেয় মাথায়, তাও মাঝে মাঝে। ম্যাডাম তো ওগুলো নিয়ে বলে নাই, আমিও তো মাথায় ওড়না দিয়ে ছিলাম। হিজাব নিয়ে কোনো কথা হয় নাই।’

নিউজ বাংলা ছাড়াও আরো একাধিক মূলধারার মিডিয়ার অনুসন্ধানী  রিপোর্টে জানা যায় এই ঘটনার সাথে হিজাবের কোনো সম্পর্ক নেই।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক , এবং দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী সাবরিনা পুথি এই ঘটনার বিভিন্ন তথ্য ও বিশ্লেষণ নিয়ে একাধিক পোস্ট করেছেন নিজের ফেসবুক প্রফাইল থেকে। এই পোস্টে তিনি আলোচ্য ঘটনা সম্পর্কে জানিয়েছেন-

৬ এপ্রিল ২০২২ বুধবার, সকাল ৯.৩০মিনিট।

বরাবরের মতো শিক্ষকগণ অ‌্যাসেম্বলি শুরু করলে লাইনে দেখতে পান অনেকেই স্কুল ড্রেস পরেন নি। তাদের বেশিরভাগই ক্লাস নাইন ও টেন এর। তাদের এর আগেও কয়েকবার স্কুলের পক্ষ থেকে শিক্ষকরা সতর্ক করেছেন স্কুল ড্রেস পরে অ‌্যাসেম্বলিতে দাঁড়ানোর জন‌্য । তারা সেদিনও না পরে আসায় সমাবেশেই পিটি ( শরীরচর্চা) শিক্ষক বদিউল আলম ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পাল শিক্ষার্থীদের শাসন করেন। বদিউল আলম ছেলেদের লাইনে দাঁড়িয়েই বেত দিয়ে সবাইকে ১ বার করে মারেন এবং আমোদিনী পাল মেয়েদের। তাদের মধ‌্য হিন্দু ২/১ জন শিক্ষার্থীও ছিলো। যারা ভিডিওগুলোতে অভিযোগ করছে তারা কোন ধরনেরই হিজাব পরা ছিলো না, স্কুল ড্রেসও পরা ছিলো না, বোরকা কিংবা হিজাব কোনটাই পরাও ছিলো না। নরমাল ড্রেসে সালোয়ার কামিজ পরা ছিলো শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষিকা আমোদিনী পাল খোলা মাঠের সেই সমাবেশে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমরা দেখো …স্কুলো ড্রেস পরে আসলে তোমাদের কত সুন্দর লাগে, অন‌্য স্কুলে দেখো, তারা সুন্দর করে স্কুল ড্রেস পরে তোমরা কেন পরো না??”

পরে, সমাবেশ বা অ‌্যাসেম্বলি শেষে সেইদিন আর কোন ঘটনা ঘটে নি, নরমালি সবাই যে যার ক্লাসে চলে যায়, শিক্ষকরা ক্লাস শুরু করেন।


৭ এপ্রিল  , বহস্পতিবার সকালে পরিকল্পিতভাবে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে স্কুল ড্রেসের সাথে হিজাব পরিয়ে এনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ‌্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। অভিযোগ তোলা হয় ‘হিজাব না পরায় শিক্ষার্থীদের মেরেছেন শিক্ষিকা আমোদিনী পাল’ যেহেতু তিনি হিন্দু র্ধমাবলম্বী তাই একটি গোষ্ঠি পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতিয়ার বানাচ্ছে পরিবেশ অস্থিতিশীল করার জন‌্য।

দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয় এর সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল ৭ই এপ্রিল নিজের আনভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি ভিডিও আপলোড করেন। এখানে তাকে একটি লিখিত বিবৃতি পাঠ করতে দেখা যায়। এখানে তিনি দাবি করেন, আমাকে বিনা দোষে অপরাধী করা হচ্ছে। আমি হিজাব  বা ধর্মীয় সম্পর্কে কোনো কথা বলিনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।


নওগাঁর স্থানীয় সাংবাদিক রনি রাশিদুজ্জামান গত ৮ই এপ্রিল শিক্ষক আমোদিনী পাল এর বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে ,আমোদিনী পাল, কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং প্রতিবেশী সহ একটি সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন। এই সাক্ষাৎকারেও সবাই একবাক্যে দাবি করেন, হিজাব এর কারনে এখানে মারধোর এর মত কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং  সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পাল চক্রান্তের শিকার ।

সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ শিক্ষার্থীদের হিজাব পরার কারণে ৬ই এপ্রিল তারিখে শিক্ষক আমোদিনী পাল কর্তৃক মারধোরের ঘটনাকে গুজব হিসেবে চিহ্নিত করছে।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.