‘সেনাপ্রধান বিএনপির সমাবেশে বাধা না দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন’ – এমন একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। বিস্তারিত অনুসন্ধানে এ ধরনের কোনো সংবাদ মূলধারার সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায় নি। সেনাবাহিনীর ওয়েব সাইট কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন কিছু পাওয়া যায় নি। সংবিধান অনুযায়ী সেনাপ্রধানের পক্ষে চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দেয়ার কোনো বিধান নেই। সবকিছু মিলিয়েই ফ্যাক্টওয়াচ একে মিথ্যা আখ্যা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীপ্রধান বিএনপির সমাবেশে বাধা না দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চিঠি পাঠানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ কোনো গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায় না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে নিউজ অ্যান্ড পাবলিকেশন, মিডিয়া অ্যান্ড অ্যানাউন্সমেন্ট ইত্যাদি সেকশনে এ ধরনের কোনো সংবাদ পাওয়া যায় নি।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (ISPR) ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিএনপির সমাবেশে বাধা না দেওয়া সংক্রান্ত কোনো বিবৃতি পাওয়া যায় নি। উল্লেখ্য, ISPR সশস্ত্র বাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহের যাবতীয় কার্যক্রমের প্রচারণা ও জনসংযোগের কার্যক্রম পালন করে থাকে।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, সেনাপ্রধানের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মারফত পরামর্শ দেয়ার কোনো বিধান নেই। মুলধারার সংবাদমাধ্যমেও এ বিষয়ে কোনো ধরনের তথ্য পাওয়া যায় নি। সেনাবাহিনীর দাপ্তরিক যোগাযোগমাধ্যমেও সেরকম কিছু পাওয়া যায় নি। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এই পোস্টগুলোকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?