সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলোর আদলে বানানো ফটোকার্ডে হিরো আলমকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুলের একটি উক্তি ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে ফটোকার্ডটি প্রথম আলো বা অন্য কোনো সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায় নি। এছাড়া আসিফ নজরুলের উক্তিটিও প্রথম আলো, অন্য সংবাদমাধ্যম এবং তাঁর নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে খুঁজে পাওয়া যায় নি। প্রথম আলো ইতোমধ্যে এ ছবিকে তাদের নাম ব্যবহার করে মিথ্যা প্রচারণা দাবি করেছে। পূর্বে প্রথম আলোর নামে বানানো বিভিন্ন ফটোকার্ডের মতো এটিও একটি ভুয়া ফটোকার্ড হওয়ায় ফ্যাক্টওয়াচ এ ছবিকে মিথ্যা আখ্যা দিচ্ছে।
ফটোকার্ডে উল্লেখিত আসিফ নজরুলের উক্তিটি হলো – “গণঅধিকার পরিষদের এই সংকটময় মুহূর্তে দলটিকে সামনে এগিয়ে নিতে হিরো আলমের মতো ডিটারমাইন্ড এবং সাহসী নেতৃত্ব প্রয়োজন।” ফটোকার্ডটি প্রকাশের তারিখ লেখা রয়েছে ২০ জুন, ২০২৩।
প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে উক্ত তারিখ এবং সাম্প্রতিক তারিখের সংবাদ সন্ধান করে এমন কোনো ফটোকার্ড বা সংবাদ পাওয়া যায় নি। পরবর্তীতে প্রথম আলোর অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে এই ফটোকার্ডের সন্ধান করা হলে প্রথম আলোর ২২ তারিখের পোস্ট থেকে জানা যাচ্ছে প্রথম আলোর নামে ছড়ানো এ ছবিটি নকল ও মিথ্যা প্রচারণা।
আসিফ নজরুল হিরো আলমকে নিয়ে এমন কোনো উক্তি আসলেই করেছেন কিনা তা জানতে মূলধারার সংবাদমাধ্যমে সন্ধান করা হলে এমন কিছু পাওয়া যায় নি। আসিফ নজরুলের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে গিয়ে দেখা যাচ্ছে তিনি দুদিন আগে গণঅধিকার পরিষদের সাম্প্রতিক সংকট নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন যেখানে তিনি নতুন কাউকে নেতা না বানিয়ে নুরুল হক নূরকে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে বহাল থাকার এবং রেজা কিবরিয়াকে নতুন দল গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন।
গণঅধিকার পরিষদ ইস্যুতে হিরো আলমকে নিয়ে করা কোনো পোস্ট বা উক্তি তার পেইজে খুঁজে পাওয়া যায় নি।
প্রথম আলোর নামে বানানো আরও কিছু ভুয়া ফটোকার্ড সম্পর্কিত ফ্যাক্টওয়াচের রিপোর্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে।
তাই সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এ ছবিকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।