এথেন্স বিমানবন্দরের ভিডিও ইসরায়েলের বলে দাবি

33
এথেন্স বিমানবন্দরের ভিডিও ইসরায়েলের বলে দাবি
এথেন্স বিমানবন্দরের ভিডিও ইসরায়েলের বলে দাবি

সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে, ইসরায়েলের সব থেকে বড় শহর তেল আবিব থেকে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে ইউরোপে যাওয়া শুরু করেছে। তবে, ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ইসরায়েলের নয় বরং, গ্রীসের রাজধানী এথেন্স বিমানবন্দরের। সুতরাং, ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় ফেসবুকে শেয়ার হওয়া  ভিডিওর দাবিটি বিভ্রান্তিকর।

রেটিংঃ বিভ্রান্তিকর

ফেসবুকে শেয়ার হওয়া ভিডিওটির উৎস এবং সত্যতা যাচাই করতে শুরুতেই কিছু প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান শুরু করে ফ্যাক্টওয়াচ।  অনুসন্ধানে গত ৩ অক্টোবর ২০২৪ এ ইয়াহু নিউজে (Yahoo News) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবির সাথে ভাইরাল ভিডিওর কয়েকটি দৃশ্যের হুবহু মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তাছাড়া, প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, গ্রীসের রাজধানী এথেন্স শহরের বিমানবন্দরের একটি ছবি রয়েছে। সেখানে লেখা “লাভ এথেন্স (Love Athens)”। পাশাপাশি এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ইউরোপের কিছু জায়গায় আবহাওয়া বেগতিক হওয়ার কারণে গ্রীসে ছুটি উদযাপনের ক্ষেত্রে ঝুঁকির সম্ভাবনা তৈরি হয়। অর্থাৎ, স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, আলোচ্য ভিডিওটি কোনভাবেই তেল আবিব বা ইসরায়েলের কোন বিমানবন্দরের নয়।

ভাইরাল ছবির সাথে এথেন্স বিমানবন্দরের তুলনা

উল্লেখ্য, ইরান-ভিত্তিক আন্তজা‍র্তিক সংবাদ সংস্থা মেহর নিউজ এজেন্সির ওয়েবসাইটে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের প্রকাশিত একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়, নিরাপত্তার কারণে এথেন্স বিমানবন্দর থেকে ইসরায়েল যাওয়ার বিমান বাতিল হলে সেখানে অনেক ইসরায়েলী যাত্রী আটকে পড়ে। কিন্তু সেখানে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া দাবিটি নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি।

অতএব, পরিষ্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে ভাইরাল হওয়া ঘটনাটি প্রকৃতপক্ষে ইসরায়েলের নয়। মূল ঘটনাটি গ্রীসের রাজধানী এথেন্স বিমানবন্দরের ।

তাই, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া পোস্টগুলোকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

ফেসবুকে শেয়ারকৃত এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানেএখানে

 

ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে

এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh