৯৭ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত যাদের – এ বার্তা নিয়ে সম্প্রতি একটি পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। পোস্টের সাথে ৯৭ জনের একটি তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। তবে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যে, এ ধরণের কোনো তালিকা আওয়ামী লীগ থেকে প্রকাশ করা হয়নি। আওয়ামী লীগের তরফ থেকে এমন ধরনের দাবিকে ভিত্তিহীন দাবি করা হয়েছে। সঙ্গত কারণে এমন দাবিগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করছে।
ভাইরাল পোস্টটির উৎপত্তি জানতে গুগলে একাধিক কি ওয়ার্ড ধরে সার্চ করা হয়। সেখান থেকে বাংলা ইনসাইডার পত্রিকার একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। “৯৭ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত যাদের” শিরোনামে পত্রিকাটি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনের বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছে,
“আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি আওয়ামী লীগ শুরু করেছে বহু আগে থেকেই। ৩০০ আসনেই চালানো হয়েছে একাধিক জরিপ। সবগুলো জরিপেই ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপিদের মধ্যে ৯৭ জন সংসদ সদস্যের নিরঙ্কুশ জনপ্রিয়তা পাওয়া গেছে। যেকোন পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলেও এই ৯৭ জনের মনোনয়ন নিশ্চিত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই সব সংসদ সদস্যরা আবার দলীয় মনোনয়ন পাবেন। এই সব প্রার্থীদের ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত দেয়া হয়েছে। কোন বড় রকমের নাটকীয়তা না হলে, ২০২৪ এর সংসদ নির্বাচনে তারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন। বিভিন্ন জরিপের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষন করে বাংলা ইনসাইডার এই ৯৭ জনের তালিকা তৈরী করেছে”।
উল্লেখ্য, উক্ত শিরোনামের সাথে তালিকাটি পরবর্তীতে ফেসবুকে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্যকে নেতাকর্মীরা অভিনন্দন জানাতে শুরু করেন। এ বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এ ধরনের খবর কোথায় ছড়িয়েছে, কীভাবে ছড়িয়েছে তার জানা নেই। তিনিও তালিকাটি দেখতে চান। আরটিভির প্রতিবেদনে আরও বিস্তারিত দেখুন এখানে।
প্রসঙ্গত, বাংলা ইনসাইডারের প্রতিবেদনে কোনো তথ্যসূত্রের উল্লেখ নেই। প্রতিবেদনটিতে তারা উল্লেখ করেছেন এটি তাদের নিজস্ব জরিপ।
এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে খবরটি ‘গুজব ও বিভ্রান্তিকর’ হিসেবে উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এধরনের কোনো তালিকা প্রকাশ করেনি। যারা বার বার এধরনের তালিকা বা মনোনয়ন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য অসৎ”। দেখুন এখানে।
সুতরাং, সুনিদিষ্ট তথ্য-প্রমাণের উপরে ভিত্তি করে এমন দাবিগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” সাব্যস্ত করেছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।