সম্প্রতি ফেসবুকে মিসাইল-সজ্জিত সামরিকযানের ভিডিও দেখিয়ে দাবি করা হচ্ছে এটি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের যুদ্ধের প্রস্তুতিমূলক ভিডিও। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে পাওয়া যাচ্ছে, ভিডিওটি ২০২৩ সালে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লীর ইন্ডিয়া গেটে অনুষ্ঠিত ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ মহড়ার অংশ। Defence Creation নামক চ্যানেলের সমসাময়িক ইউটিউব ভিডিও এবং ভারতের রাষ্ট্রপতির অফিশিয়াল চ্যানেলের সরাসরি সম্প্রচারিত কুচকাওয়াজের সাথে এই ভিডিওর মিল পাওয়া যায়। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে।
গুজবের উৎস
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ফেসবুকে এ পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
রিভার্স ইমেজ সার্চ করে Defence Creation নামক চ্যানেল থেকে ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি ইউটিউব শর্ট পাওয়া যাচ্ছে। এর বিবরণীতে হ্যাশট্যাগ দিয়ে বলা হয়েছে এটি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লীর ইন্ডিয়া গেটে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ মহড়ার দৃশ্য। সামরিকযানের নাম প্ল্যাকার্ড, মিসাইলের নাম, সজ্জা, রাস্তার দৃশ্য এবং ভিডিওতে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের চেহারা নিরীক্ষণ করে এই শর্টের সাথে আলোচ্য ভিডিওর হুবহু মিল পাওয়া যায়।
একই চ্যানেল থেকে ওই বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ৬ তারিখ সাধারণ ইউটিউব ভিডিও আকারে “Republic Day Parade Rehearsal at India Gate” শিরোনামে উক্ত ক্লিপ প্রকাশ করা হয়।
পরবর্তী অনুসন্ধানে ভারতের রাষ্ট্রপতির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের সরাসরি প্রচারণার ১:১২ ঘণ্টায় একইরকম সজ্জায় মূল কুচকাওয়াজের এই অংশটি দেখতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ মহড়ার সাথে মূল পরিবেশনা্র অংশ মিলে যাচ্ছে। এখানেও কুচকাওয়াজের স্থান হিসেবে দিল্লীর ইন্ডিয়া গেট বলা হয়েছে।
এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতি নয়, বরং ২০২৩ সালে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের মহড়ার অংশবিশেষের ভিডিও এটি। ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওতে এর স্থান বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে দাবি করা হয়েছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি দিল্লীর ইন্ডিয়া গেটে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।
No Factcheck schema data available.
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh