যা ছড়িয়েছে: ২০২৪ সালের ডিভি লটারিতে ৫৫ হাজার ভিসা দিচ্ছে আমেরিকা। ভাগ্য ভাল হলে আপনিও সুযোগ পেতে পারেন। আবেদনের জন্য একটি লিংক দেয়া হলো।
যে ধারণা দেয়া হচ্ছে: বাংলাদেশিদের জন্যও আবেদনের সুযোগ রয়েছে।
ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত: দাবিটি “মিথ্যা”। ডিভি লটারির বিষয়ে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ স্টেটের নির্দেশিকা থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সহ ২০ টি দেশ ২০২৪ সালের ডিভি লটারি কর্মসূচির আওতার বাইরে।প্রকৃতপক্ষে, বাংলাদেশিরা ২০১২ সাল থেকে ডিভি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। ডাইভারসিটি ভিসা প্রোগ্রাম (ডিভি লটারি) এর মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের প্রায় ৫৫ হাজার নাগরিককে অভিবাসী ভিসায় দেশটিতে বসবাসের সুযোগ দিয়ে থাকে। উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ডিভি লটারির জন্য ৪ অক্টোবর ২০২৩ তারিখ থেকে আবেদন শুরু হয় এবং ৭ নভেম্বর আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে। ৪ মে ২০২৪ তারিখে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
ফেসবুক ভাইরাল এমন কিছু লিংক বাছাই করা হয়েছে। যা দেখতে পাবেন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
ডিভি লটারি বলতে বোঝায় যুক্তরাষ্ট্রের বৈধভাবে অভিবাসী প্রহণবিষয়ক একটি কর্মসূচি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় যা পরিচালিত হয়। এই লটারি গ্রিন কার্ড লটারি হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর লক্ষাধিক বা তার কমবেশি অভিবাসন প্রত্যাশী উক্ত ভিসার জন্য আবেদন করেন। তবে এরমধ্যে ৫৫ হাজার ব্যক্তিকে এ সুবিধা দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশ বাদে সারা বিশ্বের নাগরিকরা এটির জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করতে না পারা দেশগুলো হলো: বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, কলোম্বিয়া, ডোমিনিকান রিপাবলিক, এল সালভাদর, হাইতি, হন্ডুরাস, ভারত, জ্যামাইকা, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপিন্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ভেনেজুয়েলা ও ভিয়েতনাম।
বাংলাদেশের নাগরিকরা যে কারণে ডিভি লটারির জন্য আবেদন করতে পারবেন না সে বিষয়ে বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে বলা হচ্ছে, ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে এ কর্মসূচির আওতায় ৫০ হাজারের বেশি বাংলাদেশী যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হওয়ায় ২০১২ সাল থেকে বাংলাদে শীদের জন্য ডিভি ডিভি কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। তা সত্বেও বিভিন্ন সময়ে আবারো ডিভি লটারি কর্মসূচিতে বাংলাদেশিদের আবেদনের জন্য এসব প্রচারণা চালানো হয়ে থাকে। ফেসবুকে বিভিন্ন পেজ বা একাউন্ট থেকে আবেদনের জন্য লিংক প্রদান করা হয়। তাই বাংলাদেশিরা ডিভি লটারি বিষয়ে যেন প্রতারণার শিকার না হোন, সে বিষয়ে বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস থেকে সচেতন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এপ্রিল ৩০, ২০২২ তারিখে বণিকবার্তা থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে অন্তত ২০ হাজার অভিবাসন প্রার্থীর কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে একটি ভিসা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস। কারণ লটারি ভিসা নামে একধরণের ফরম পূরণ করিয়ে আমেরিকার ভিসা করে দেবার নাম করে টাকা নিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
তাইপ্রমাণসাপেক্ষেফ্যাক্টওয়াচডিভি লটারি নিয়ে ২০২৪ সালে যে পোস্ট ছড়িয়েছে সেগুলোকেমিথ্যাসাব্যস্তকরছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।