সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ‘sharenews24.com’ নামক একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে “ব্যাংকে ৩০ হাজারের বেশি টাকা থাকলেই বন্ধ হবে অ্যাকাউন্ট” শীর্ষক শিরোনাম সংবলিত একটি সংবাদের লিংক শেয়ার করা হয়েছে। মূল সংবাদে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধের খবরটিকে ভুয়া বলে স্বীকার করা হলেও শিরোনামে তা উল্লেখ করা হয়নি বিধায় মানুষ সেটা ভুলভাবে উপস্থাপন করে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করছেন। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা গেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা দিয়েছেন যে যাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০ হাজারের বেশি রুপি আছে তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা দেওয়া হবে – এরকম একটি দাবি উঠেছিলো এবং ভারতের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) এর ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রাম উক্ত দাবিটিকে মিথ্যা বলেছে এবং জানিয়েছে যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এরকম কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভুল শিরোনাম সংবলিত পোস্টকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
ত্রিশ হাজারের বেশি টাকা থাকলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট – এই দাবিটির যথাযথতা যাচাই করতে প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে গুগল সার্চ করা হয় এবং ইন্ডিয়া.কম এ প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) এর তৈরি একটি ফ্যাক্ট-চেকিং রিপোর্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত রিপোর্টটি পড়ে জানা গেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (RBI) এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের বরাতে প্রচারিত হয়েছে যে, যাদের অ্যাকাউন্টে ৩০ হাজারের বেশি রুপি আছে তাদের অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে, প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো এর ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রাম জানিয়েছে যে, অ্যাকাউন্ট বন্ধের খবর সঠিক নয় এবং রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (RBI) এরকম কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো ফ্যাক্ট চেক এর টুইটার পোস্টটি দেখুন এখানে।
एक ख़बर में दावा किया जा रहा है कि भारतीय रिजर्व बैंक के गवर्नर ने बैंक खातों को लेकर एक अहम ऐलान किया है कि अगर किसी भी खाताधारक के खाते में 30,000 रुपये से ज्यादा है तो उसका खाता बंद कर दिया जाएगा#PIBFactCheck
মূলত ‘sharenews24.com’ এর সংবাদটিতে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধের খবরটিকে ভুয়া বলে স্বীকার করা হলেও সংবাদটির শিরোনামে সেটা উল্লেখ করা হয়নি। ফলে অনেকেই মূল সংবাদটি না পড়ে বিষয়টিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, একটা ভুয়া খবরকে রূখে দিতে গিয়ে বানানো প্রতিবেদনে বিভ্রান্তিকর শিরোনামের কারণে সেটি উল্টো গুজবটিকেই ছড়াচ্ছে।
সুতরাং, মূল সংবাদের সাথে শিরোনামের কোন মিল না থাকায় সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত উক্ত শিরোনাম সংবলিত পোস্টকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।