ভারতের মহররম পালনের ভিডিওকে গাজীপুরে সংঘর্ষের ঘটনা দাবিতে প্রচার

64
ভারতের মহররম পালনের ভিডিওকে গাজীপুরে সংঘর্ষের ঘটনা দাবিতে প্রচার
ভারতের মহররম পালনের ভিডিওকে গাজীপুরে সংঘর্ষের ঘটনা দাবিতে প্রচার

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে সারা দেশে যৌথ অভিযান “অপারেশন ডেভিল হান্ট” শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয় । এ প্রেক্ষিতে সম্প্রতি গাজীপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও দাবিতে একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দুপক্ষকে লাঠি নিয়ে একে অপরের প্রতি আক্রমণাত্মক অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যাচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, এটি ভারতের বিহার রাজ্যের বাস্তাওয়ারা গ্রামে পবিত্র মহররম পালনের সময় লাঠিখেলার দৃশ্য, যাকে বাংলাদেশের গাজীপুরের সংঘর্ষের ঘটনা হিসেবে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। 

গুজবের উৎস

৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ফেসবুকে এমন পোস্ট ছড়াতে থাকে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।  

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান 

আলোচ্য ভিডিও থেকে কিছু কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখা যাচ্ছে, fahad ansari নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে ২০২৪ সালের ১৮ জুলাই একই ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিলো “Bastawara Muharram 2024” শিরোনামে। বাস্তাওয়ারা মহররম শিরোনামে আরো অনেকগুলো ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে এ চ্যানেল থেকে। 

গুগলে অনুসন্ধান করে জানা যায়, ভারতের বিহার রাজ্যের একটি গ্রামের নাম বাস্তাওয়ারা। এদিকে Mr Irshad নামক একটি ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৯ সালে প্রকাশিত ভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে ধারণকৃত একই জায়গার একটি ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে। সেখানেও দু পক্ষকে লাঠি ঘোরাতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওর শিরোনাম থেকে জানা যাচ্ছে, এটি ২০১৯ সালের বাস্তাওয়ারা মহররমের দৃশ্য। 

ভিডিওটিতে একটি ভবনের সামনের ফটকে Firoz A. Khan Manzil লেখা দেখতে পাওয়া যায়। গুগল ম্যাপের ছবি থেকে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে এই ভবনটি বিহার রাজ্যের বাস্তাওয়ারা গ্রামে অবস্থিত। 

তাই সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে।

Claim:
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে সারা দেশে যৌথ অভিযান “অপারেশন ডেভিল হান্ট” শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয় । এ প্রেক্ষিতে সম্প্রতি গাজীপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও দাবিতে একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দুপক্ষকে লাঠি নিয়ে একে অপরের প্রতি আক্রমণাত্নক অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যাচ্ছে।

Claimed By:
Facebook Users

Rating:
False

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে

এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে
ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh