সম্প্রতি “শেষ হবে নান্নু-বাশার অধ্যায়, আসবে নতুন মুখ, সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত” শিরোনামে একটি খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। খবরটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকদের নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। তবে উক্ত খবরের বিস্তারিত অংশ লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে, সেখানে এমন কোনো সিদ্ধান্তের কথা নেই বরং সেখানে নির্বাচকদের সমালোচনা করে তাদের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর একটা আবেদন রয়েছে। এছাড়া মূলধারার গণমাধ্যমেও এমন সিদ্ধান্তের প্রমাণ মেলেনি।
ভাইরাল এই প্রতিবেদনের বিস্তারিত অংশটি লক্ষ্য করলে দেখা যাচ্ছে, সেখানে নির্বাচকদের বিদায় সংক্রান্ত কোনো “চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের” উল্লেখ নেই। প্রতিবেদনের শুরু হয় কয়েকটি প্রশ্ন সামনে রেখে। বলা হয়, “প্রায় একযুগ ধরে নির্বাচক পদে থাকা নান্নু-বাশারদের পরিবর্তন আসবে কবে? নির্বাচক প্যানেলে নতুন মুখ আসবে কবে? এমনটিই প্রশ্ন সবার, সবাই চায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত?” অন্যদিকে, একই প্রতিবেদনের শেষের লাইনে বলা হচ্ছে,”কোন শক্তিতে নান্নু বাসার আকরাম খানরা এক যুগ ধরে একই পদে আছেন। আসবে কি পরিবর্তন নাকি যা আছে তাই ভালো এই নীতিতেই চলবে বিসিবি”।
অর্থ্যাৎ, পরিষ্কারভাবেই দেখা যাচ্ছে পুরো প্রতিবেদনে নির্বাচকদের সমালোচনা করা হয়েছে এবং তাদের পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সেখানে অফিসিয়াল কোনো সিদ্ধান্তের প্রমাণ মেলেনি।
অন্যদিকে, মূলধারার গণমাধ্যমেও নির্বাচকদের নিয়ে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উইকিপিডিয়া পেজ থেকে দেখা যাচ্ছে, নির্বাচক হিসেবে হাবিবুল বাশার, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং আব্দুর রাজ্জাকই রয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন সম্প্রতি টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২ এর দল ঘোষণা করেন।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনেও প্রধান নির্বাচক হিসেব মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকেই চিহ্নিত করা হয়েছে।
অর্থ্যাৎ, পরিষ্কারভাবেই দেখা যাচ্ছে নির্বাচকদের পরিবর্তন নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি। প্রতিবেদনের শিরোনামের সাথে এর বিস্তারিত অংশের মিল নেই। তাই ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় উক্ত দাবিটি “মিথ্যা”।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?