“ওরা তোমায় আমায় ভয় দেখাচ্ছে গায়ের জোরে এসো আজ বোঝাও তোমার আগুন যায়নি মরে.” — এমন শিরোনামে অস্ত্র হাতে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার চেহারা সম্বলিত একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু, ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায় বাস্তবে এটা খালেদা জিয়ার ছবি নয়। বীরপ্রতীক তারামন বিবির একটি ছবি এডিট করে এটি বানানো হয়েছে। এ কারণে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া পোস্টটিকে “বিকৃত”হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ভাইরাল হওয়া ছবিটির মাধ্যমে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেশীয় মূলধারার কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ফেসবুকে শেয়ার হওয়া ছবিটির পূর্ব সংস্করণের ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনগুলো থেকে আরও জানা যায়, এটি মূলত বীরপ্রতীক তারামন বিবির ছবি। প্রতিবেদনগুলো দেখুন এখানে এবং এখানে।
ছবি দুটি মনোযোগ দিয়ে দেখলে অনেকগুলো মিল খুঁজে পাওয়া যাবে।
ভাইরাল হওয়া ছবিতে অস্ত্র নেয়ার ধরন, বন্দুকের নাম্বার, পায়ের জুতো, দুই হাতের চুড়ি, হাতের গঠন, শাড়ীর ভাঁজ, পেছনের দৃশ্য, সিঁড়ি ইত্যাদির সাথে মূল ছবিটির হুবহু মিল পাওয়া যায়। সুতরাং এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে যে, মূল রঙ্গিন ছবটিকে সাদা- কালোতে রূপান্তর করে তারামন বিবির মুখমণ্ডলের স্থানে খালেদা জিয়ার ছবি যুক্ত করে এভাবে বিকৃত করা হয়েছে।
পরবর্তিতে, ভাইরাল হওয়া পোস্টে খালেদা জিয়ার কোন ছবিটি ব্যবহার করা হয়েছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য কেবল মুখমণ্ডলের অংশটুকুর সাহায্যে আবার রিভার্স ইমেজ সার্চ করা হয়। ফলস্বরূপ ফটো শেয়ারিং ওয়েবসাইট অ্যালামিতে খালেদা জিয়ার একটি ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। যার সাথে আলোচিত ছবিটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
ছবি দুটি মনোযোগ দিয়ে দেখলে মিল গুলো খুঁজে পাওয়া যাবে।
তবে, এই একই ছবি ভিন্ন ক্যাপশনে বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে প্রচার হয়ে আসতে দেখা যায়। এ নিয়ে বাংলাদেশের অন্য একটি তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
অতএব, তারামন বিবির ছবিতে বেগম খালেদা জিয়ার মুখ বসিয়ে দাবি করা হচ্ছে এটি তারই ছবি। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি বিকৃত ছবি।
সঙ্গত কারণে, ছবিটিকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিকৃত” হিসেবে সাব্যস্ত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?