১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিকাশ সকল গ্রাহককে ১২,৯৯৯ টাকা করে বোনাস দিচ্ছে – এমন একটি পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এটি একটি প্রতারণামূলক ফাঁদ বা স্ক্যাম। বিকাশ কর্তৃপক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা আসে নি। পোস্টের ধরন পর্যালোচনা করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, প্রতি বছরই একটি নির্দিষ্ট দিবস বা উপলক্ষকে কেন্দ্র করে বিকাশের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে সরাসরি গ্রাহকদের পিন নাম্বার অথবা ফিশিং(phishing) লিংকের মাধ্যমে গ্রাহকদের টাকা ও তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার আরেকটা প্রচেষ্টা এটি। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে।
গুজবের উৎস
জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে পোস্টটি ফেসবুকে বিভিন্ন ভুয়া প্রোফাইল ও পেইজে আবির্ভূত হতে থাকে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
বিকাশের ওয়েবসাইট এবং অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজের সাম্প্রতিক বিভিন্ন পোস্ট এবং অফার পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে তারা ১২ বছর পূর্তি উপলক্ষে সকল গ্রাহককে কোনো প্রকার বোনাস বা উপহার অফার করেনি। বিকাশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সেবার ওপর নিয়মিত যেসব অফার দেওয়া হয় সেসব ব্যতীত সকল গ্রাহককে কোনো লেনদেন ছাড়াই বোনাস প্রদান-সংক্রান্ত কোনো ঘোষণা দেওয়া হয় নি। বিকাশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে যোগাযোগ করেও এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়।
এদিকে বিকাশ বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছিলো ২০১১ সালের জুলাই মাসে, সে হিসেবে বিকাশের ১২ বছর পূর্তি পেরিয়ে গেছে ২০২৩ সালে।
ভুয়া পোস্টের কয়েকটিতে ইউটিউব লিংক সংযুক্ত করা হয়েছে। লিংকে ক্লিক করলে ইউটিউবের ওয়েবসাইটে না ঢুকে একটি অনিরাপদ আইপিযুক্ত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করছে যেটি অকার্যকর। অর্থাৎফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে ইউটিউব জনপ্রিয় হওয়ায় স্ক্যামাররা ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে ইউটিউবের নামে তৈরি একটি ভুয়া ওয়েবসাইটের লিংক পোস্টে সংযুক্ত করেছে। এ ধরনের স্ক্যামে বিকাশের নামে ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে গ্রাহকের পিন নাম্বার অথবা ফিশিং লিংকের মাধ্যমে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।