ঈদ উপলক্ষে বিকাশ দিচ্ছে ৭,৯৯৯ টাকা ঈদ বোনাস – এমন চটকদার দাবির সাথে একটি লিঙ্ক ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। বিকাশ এর ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজে এমন বোনাসের কোনো ঘোষণা দেখা যাচ্ছে না। তদুপরি, ছড়িয়ে পড়া এই ওয়েবসাইটের লিঙ্ক থেকে দেখা যাচ্ছে, এখান থেকে বিকাশে টাকা দেওয়ার কোনো অপশন নেই, বরং টাকা গ্রহণ করার অপশন রয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এই পোস্টগুলোকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।
এসব লিংকের নামে বিকাশ ডট কম থাকলেও , এখানে প্রবেশ করার পরে দেখা গেল, এটি http://34.94.223.249/ ঠিকানায় নিয়ে যাচ্ছে । বিকাশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মতই ডিজাইন ও করা হয়েছে এই ওয়েবসাইটে।
এই ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীকে উপহার দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। পরবর্তীতে বিকাশ পেমেন্ট এর একটি গেটওয়ে থেকে গ্রাহকের বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা পয়সা নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এই ওয়েবসাইটে। প্রযুক্তিতে স্বল্পশিক্ষিত ব্যবহারকারীরা বিকাশ থেকে বোনাস পাওয়ার আশায় নিজের বিকাশ নাম্বার ,পিন এবং ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড জানিয়ে দিলে তাদের একাউন্ট থেকে টাকা চলে যাবে এই গেটওয়েতে।
এই পেমেন্ট গেটওয়ের কার্যক্রম ধাপে ধাপে পরবর্তী স্ক্রিনশট গুলোতে দেখানো হল। উদাহরণস্বরুপ, ফ্যাক্টওয়াচের প্রতিবেদক একটি বিকাশ নাম্বার দিয়ে সেই একাউন্টে ১৩৮০ টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিল। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে তাঁর কাছে ট্রানজেকশনের জন্য ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড এবং সেই একাউন্টের পিন চাওয়া হয়।
প্রযুক্তিতে স্বল্পশিক্ষিত যে কেউ এই পেমেন্ট গেটওয়ের বিস্তারিত না বুঝেই টাকা পাওয়ার আশায় নিজের বিকাশ একাউন্ট এর নাম্বার বা পিন শেয়ার করার মাধ্যমে একাউন্টের টাকা হারাতে পারেন।
বিকাশ এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে ঈদ উপলক্ষে এমন কোনো অফারের ঘোষণা দেখা যাচ্ছে না। অর্থাৎ, এই অফারটি যে ভুয়া সেটা শতভাগ নিশ্চিত।
ফ্যাক্টওয়াচ তাই এই সকল পোস্টকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।