যা দাবি করা হচ্ছে: বিকাশের ১৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে নির্দিষ্ট একটি লিংকে প্রবেশ করে ১৬,৯৯৯ টাকা উপহার পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে যা পাওয়া যাচ্ছে: উক্ত লিংকটি বিকাশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত নয়, বরং এটি একটি ফিশিং লিংক, যেখানে অসতর্ক কোনো ব্যবহারকারী নিজের বিকাশ একাউন্টের টাকা পয়সা খোয়াতে পারেন। এছাড়া বিকাশের ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইটে এমন কোনো অফারের কথা পাওয়া যাচ্ছে না।
গুজবের উৎস
মূলত ‘কথা১০’ নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে ৩টি আলাদা পোস্টের মাধ্যমে এই দাবিটি ছড়িয়ে পড়ে। এই পোস্টগুলো দেখতে পাবেন এখানে ,এখানে এবং এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান
এসব পোস্টের ক্যাপশনে বলা হয়েছে, বিকাশে নিয়ে নিন বোনাস। এই সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য।
পোস্টে শেয়ার করা লিংকের শিরোনামে দেখা যাচ্ছে, মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশের গোলাপী রঙের মত করে সাজানো একটি ওয়েবসাইটে বড় করে লেখা রয়েছে-বিকাশের ১৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিকাশ দিচ্ছে সবাইকে ১৬,৯৯৯ টাকা বোনাস।
এই লিংকের নাম bkash.com লেখা থাকলেও এখানে ক্লিক করলে সেটি ব্যবহারকারীকে 159.223.42.8 আইপি এ্যাড্ড্রেসের একটি ফিশিং সাইটে নিয়ে যাচ্ছে। মূল বিকাশের অনুরূপ রঙ এবং ডিজাইনে সাজানো এই সাইটে ব্যবহারকারীকে প্রলুব্ধ করে তাঁর বিকাশ একাউন্ট নাম্বার এবং পাসওয়ার্ড সরবরাহ করে কিছু টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
এই ওয়েবসাইটের কয়েকটি পেজের স্ক্রিনশট ধারাবাহিকচাবে দেখানোর চেষ্টা করা হল।
সর্বশেষ ধাপে ব্যবহারকারী নিজের বিকাশ একাউন্ট পাসওয়ার্ড সরবরাহ করলেই নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা তাঁর একাউন্ট থেকে “সেলিম স্টোর” নামক এই বিকাশ মার্চেন্ট এর একাউন্টে চলে যাবে। এভাবেই একটু কম সচেতন অনলাইন ব্যবহারকারীকে ‘বোনাস’ এর লোভ দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে যথাসাধ্য টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এই সাইট থেকে।
বিকাশ এর ওয়েবসাইট থেকে জানা যাচ্ছে যে এই সার্ভিসটি শুরু হয়েছিল ২০১১ সালে। কাজেই ২০২৪ সালে এসে এর ১৪তম বর্ষপূর্তি হবে। ১৬তম বর্ষপূর্তির দাবিটিও ভিত্তিহীন।
এছাড়া বিকাশের ওয়েবসাইট বা ফেসবুকে পেজ ঘেটে বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিশেষ কোনো অফার পাওয়া যায়নি।
সঙ্গত কারণে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ‘বিকাশের ১৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ বোনাস’ এর দাবিটিকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।
‘বিকাশ’ সম্পর্কিত আরো কয়েকটি গুজব দেখতে পাবেন এখানে-
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।