আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিকাশ সকল গ্রাহককে ২৫ হাজার টাকা সালামি দিচ্ছে – এমন একটি পোস্ট ঘুরে বেড়াচ্ছে ফেসবুকে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, বিকাশ কর্তৃপক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা আসে নি। এটি একটি প্রতারণামূলক ফাঁদ বা স্ক্যাম। পোস্টে সংযুক্ত ওয়েবসাইটটি সাম্প্রতিক কয়েকটি বিকাশ সংক্রান্ত স্ক্যামে ব্যবহৃত হয়েছে। এই ভুয়া ওয়েবসাইটে বিকাশের লোগো ব্যবহার করে একে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে, যেখানে বরাবরের মতো ফিশিং(phishing) লিংকের মাধ্যমে বিকাশ গ্রাহকদের টাকা ও তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “মিথ্যা” আখ্যা দিচ্ছে।
বিকাশের ওয়েবসাইট এবং অফিশিয়াল ফেইসবুক পেইজের সাম্প্রতিক বিভিন্ন পোস্ট এবং অফার পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে তারা আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সকল গ্রাহককে কোনো প্রকার সালামি বা উপহার অফার করেনি। বিকাশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সেবার ওপর নিয়মিত যেসব অফার দেওয়া হয় সেসব ছাড়া গ্রাহককে কোনো ত্ সালামি বা উপহার প্রদান-সংক্রান্ত কোনো ঘোষণা দেওয়া হয় নি। বিকাশের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
ভুয়া ওয়েবসাইটগুলোর কার্যপ্রক্রিয়া থেকে স্পষ্ট যে, এর সাথে প্রতারণামূলক ফিশিং লিঙ্ক সংযুক্ত রয়েছে যাতে ক্লিক করলে গ্রাহকদের তথ্য ও টাকা প্রতারকদের হাতে চলে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও আরেকটি পোস্ট পাওয়া যাচ্ছে যেখানে একই স্ক্যামকে একটু ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংযুক্ত করে দাবি করা হচ্ছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সবাইকে সরকার বিকাশে ২৫ হাজার টাকা করে দিচ্ছে। এই স্ক্যামের ধরণটির সাথে পূর্ববর্তী দেশের সবাইকে বিকাশে ৫ হাজার টাকা করে উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীস্ক্যামটির মিল রয়েছে এবং উভয় ক্ষেত্রে একই ওয়েবসাইট ব্যবহৃত হয়েছে।
সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “মিথ্যা” সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।