ফ্রিজে রাখা দুধ পান করে একই পরিবারের দুই শিশুমৃত্যর একটি খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এসব খবরে দাবি করা হচ্ছে, ফ্রিজের মধ্যে বেঁচে থাকা ক্ষুদ্রাকৃতির সাপ দুধের পাত্রে আশ্রয় নেয় এবং সেই দুধ খেয়েই শিশু দুটির মৃত্যু হয়েছে। এসব পোস্টে ঘটনার স্থান, কাল, পাত্র কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। মূলধারার সংবাদমাধ্যমেও দুধপান করে একসাথে ২ শিশু মৃত্যুর সাম্প্রতিক কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু ফ্যাক্টওয়াচেরঅনুসন্ধানেজানাযাচ্ছে , প্রচারিত ছবিটি একটি নির্বিষ সাপের ছবি। তাছাড়া সাপের বিষ পান করলে মৃত্যু হবার সম্ভাবনা নাই, বিষ কেবল রক্তের সাথে মিশলেই মানুষের মৃত্যু হতে পারে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ এই পোস্টগুলোকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।
ফ্যাক্টওয়াচেরঅনুসন্ধান: ফেসবুকেভাইরালপোস্টেরছোটসাপহাতেধরেরাখাছবিটিগুগলইমেজসার্চদিলে Deviant art নামকএকটিওয়েবসাইটেউক্তছবিটিপাওয়াযায়। Deviant art ওয়েবসাইটথেকেজানাযায়উক্তছবিরফটোগ্রাফারছিলেনRobert Kemmerer।সাপেরছবিটিআপলোডকরে Robert Kemmerer ক্যাপশনেলেখেন “রাতেবাইরেব্লাইন্ডস্নেকেরছবিক্যামেরাবন্দী।ছবিটিপর্যালোচনাকরারপরেআমিবুঝতেপেরেছিলামযেসাপটিযখনআমারআঙুলটিকামড়াতেচাইছিলতখনদেখতেমনেহচ্ছিলএটাহাসছে।ফটোশুটেরসময়কোনপ্রাণীআহতহয়নিএবংসাপটিকেএকজনপ্রতিনিধিদ্বারাউপস্থাপনকরাহয়েছিল।” Robert Kemmererছবিরবিবরণওক্যাপশনেদিয়েছেন।
সাপের বিষ পান করার পরে মানুষের তখনই ক্ষতি হতে পারে, যদি পাকস্থলিতে বাঁ খাদ্যনালিতে কোন ক্ষত থাকে। ক্ষত না থাকলে কোনো বিপদের আশংকা নেই। অর্থাৎ, সাপেরবিষরক্তেরসাথেনামিশলেকোনক্ষতিনেই।মানুষেরপাকস্থলিরএসিডসাপেরবিষকেধ্বংসকরেদিতেপারে।
সিদ্ধান্ত: যেহেতু ব্লাইন্ড স্নেকের সব প্রজাতিই নির্বিষ, এবং সাপের বিষ খেলে মানুষের মৃত্যু হয় না, তাইফ্যাক্টওয়াচফেসবুকেভাইরালপোস্টগুলোকে “মিথ্যা” হিসেবেচিহ্নিতকরছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?