যাদাবীকরাহচ্ছে: যমুনা টিভির লোগো সম্বলিত একটি ফটোকার্ড থেকে দাবি করা হচ্ছে ব্লগার আসাদ নুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।
যাপাওয়াযাচ্ছে: আসাদ নুর তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছেন তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হননি।তাছাড়া ব্লগার আসাদ নুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এমন কোন তথ্য যমুনা টিভির অফিশিয়াল কোন ফটোকার্ডে পাওয়া যায়নি। তাই ফ্যাক্টওয়াচ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া উক্ত দাবি সম্বলিত ফটোকার্ডগুলোকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।
“কেন্সারে আক্রান্ত ব্লগার আসাদ নুর” এই শিরোনামে যমুনা টিভির যে ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে প্রকাশের তারিখ হিসেবে ৫ জুন, ২০২৪ উল্লেখ করা হয়েছে।
কিন্তু যমুনা টিভির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ব্লগার আসাদ নুর ক্যান্সারে আক্রান্ত এমন কোন ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি। যমুনা টিভি ছাড়াও বাংলাদেশের কোন স্বীকৃত গণমাধ্যমে এমন কোন সংবাদ পাওয়া যায়নি।
যমুনা টিভির মূল ফটোকার্ডের সাথে তুলনা করে দেখা যাচ্ছে, ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কার্ডে যমুনা টিভির লোগো ,জলছাপ এবং পেছনের তারিখটা অস্পষ্ট। মূল কার্ডে ব্যবহৃত ফন্টেও অমিল দেখা যাচ্ছে।
এছাড়া, ছড়িয়ে পড়া ফটোকার্ডটিতে, ক্যান্সারের বানান ‘কেন্সার’ হিসেবে লেখা হয়েছে, যা যমুনা টিভির মতো পেশাদার একটা গণমাধ্যমের কাজের সাথে মেলেনা। তাই বলা যেতে পারে যে, এই ফটোকার্ডটি যমুনা টিভিতে প্রকাশিত ফটোকার্ড না।
৬ জুন, ২০২৪ তারিখে আসাদ নুর তার ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন তার ক্যান্সার হয়নি। আসাদ নুর যমুনা টিভির ফটোকার্ড সম্বলিত Hafej Md Younus Ali ‘র শেয়ার করা পোস্টের স্ক্রিনশট পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন ‘আমার ‘কেন্সার’/ক্যান্সার কোনটাই হয়নি, আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। কিছু ধর্মান্ধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমার ছবি ব্যবহার করে ভুয়া ফটোকার্ড বানিয়ে তাদের বিকৃত মানসিকতার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে।’
সিধান্ত:
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে আসাদ নুর নিজে নিশ্চিত করেছেন তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হননি। তাছাড়া যমুনা টিভির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে ৫ই জুন ব্লগার আসাদ নুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন এমন কোন ফটোকার্ড পাওয়া যায়নি। ফটোকার্ডটিতে দেখা যাচ্ছে ক্যান্সার বানানও ভুলভাবে লেখা হয়েছে, যে ভুল একটি পেশাদার সংবাদ মাধ্যমে হওয়ার কথা না। সার্বিক দিক বিবেচনা করে বলা যায় ফটোকার্ডটি ভুয়া। তাই ফ্যাক্টওয়াচ উক্ত ফটোকার্ড সম্বলিত পোস্টগুলোকে “মিথ্যা তথ্য” হিসেবে চিহ্নিত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।