সম্প্রতি দৈনিক প্রথম আলোর লোগো এবং সোশ্যাল মিডিয়া টেম্পলেট ব্যবহার করে সামাজিক মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের একটি অভিজাত হোটেলে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে পুলিশ এর কাছে ধরা খেলেন বিএনপি নেত্রী রওশন হক। এই বিষয়ে অনুসন্ধান করে দেখা যায় যে প্রথম আলোর ভ্যারিফাইড ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজে এই সম্পর্কিত কোন তথ্য প্রকাশিত হয় নি এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম পর্যালোচনা করেও এই সম্পর্কিত কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। কোন তথ্যসূত্র ছাড়াই এসব গুজব শেয়ার করা হচ্ছে। সঙ্গত কারণেই ফ্যাক্টওয়াচ এই পোস্টগুলোকে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান করলে দেখা যায় যে, বাংলাদেশ বা আন্তর্জাতিক কোন গণমাধ্যমে এই বিষয়ে কোন তথ্য নেই।
প্রথম আলোর যে টেম্পলেটটি ব্যবহার করা হয়েছে তা ১৬জুন ২০২৩ এর। প্রথম আলোর ভ্যারিফাইড ফেসবুক পেজ বা ওয়েবসাইটে উক্ত তারিখে এই বিষয়ক কোন তথ্য প্রকাশ করা হয় নি। এই শিরোনামে গুগল সার্চ করে আন্তর্জাতিক কোন গণমাধ্যমেও এই বিষয়ক কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।
প্রথম আলোতে ১৬ জুন এর আগে বা পরে এই ধরনের কোন তথ্য প্রকাশ করা হয় নি। বিএনপির পক্ষ থেকে বা তাদের কোন ওয়েবসাইটে ও এই ধরনের কোন তথ্য প্রকাশ করা হয় নি। রওশন হক এর নিজস্ব ফেসবুক এ্যাকাউন্ট থেকেও তিনি এই গুজব এর ব্যাপার এ মন্তব্য করেন।
তাই সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারকৃত পোস্টগুলোর দাবিকে “মিথ্যা” বলে সাব্যস্ত করেছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।