সম্প্রতি অনিল কাপুরসহ বেশ কয়েকজন বলিউড তারকার নামে বন্যাবিধ্বস্ত পাকিস্তানকে আর্থিক সহায়তার একটি খবর ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু অনিল কাপুরের ভ্যারিফাইড সামাজিক মাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। ভারতের একটি তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান অনিল কাপুর ফিল্ম এন্ড কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক প্রাইভেট লিমিটেডের সাথে যাচাই করে জানায় যে, এই তথ্যটি সঠিক নয়। এছাড়া একই দাবি রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাটের নামেও করা হয়। কিন্তু এরও কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশের মূলধারার গণমাধ্যমসহ কয়েকটি ওয়েবপোর্টালের মাধ্যমে খবরটি ছড়াচ্ছে। এমন কয়েকটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
ভাইরাল এসব প্রতিবেদনে বলিউডের বিভিন্ন অভিনেতাদের নিয়ে দুটি দাবি করা হচ্ছে। প্রথমত, অনিল কাপুর পাকিস্তানের বন্যাদুর্গতদের জন্য ৫ কোটি রূপি অনুদান দিয়েছেন এবং দ্বিতীয়ত আলিয়া ভাট এবং রণবীর কাপুরও পাকিস্তানকে অর্থসহায়তা করেছেন।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান
ভাইরাল এসব খবরে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। তাই এমন তথ্যের সত্যতা অনুসন্ধানে অনিল কাপুরের অফিসিয়াল সামাজিক মাধ্যম একাউন্টগুলো পর্যালোচনা করা হলে, এমন কিছু খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পুনরায় অনুসন্ধানে, আইএফসিএন অনুমোদিত তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান “VishvasNews” এর একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেখানে বন্যাদুর্গতদের ৫ কোটি রূপি দেয়ার তথ্যটিকে মিথ্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রতিবেদনে অনিল কাপুর ফিল্ম এন্ড কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক প্রাইভেট লিমিটেডের মুম্বাই অফিসের বরাতে বলা হয়, সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল এই পোস্টটি গুজব। এছাড়া ভারতের বিনোদন জগতের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক পরাগ শেখর বলেন, অনিল কাপুর পাকিস্তানের বন্যাদুর্গতদের কোনো অর্থ সহায়তা দেননি। এটি নিতান্তই একটি গুজব।
ভাইরাল একই খবরে আরো দাবি করা হয়, আলিয়া ভাট এবং রণবীর কাপুরও পাকিস্তানকে অর্থ সহায়তা করেছেন। কিন্তু দ্য কুইন্টের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এটিও ভুয়া সংবাদ। মূলত “বিবিসি নিউজ হিন্দি” এর পরিচয়ে উক্ত দাবিতে একটি ভুয়া টুইট ভাইরাল হয়। বিবিসি নিউজের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও এমন একটি টুইটকে ভুয়া চিহ্নিত করে একটি পোস্ট করা হয়।
FAKE NEWS ALERT
पाकिस्तान की बाढ़ और रणबीर कपूर, आलिया भट्ट की फ़िल्म ‘ब्रह्मास्त्र’ को लेकर एक फे़क ट्वीट सोशल मीडिया पर बीबीसी हिंदी के नाम से शेयर हो रहा है.
সুতরাং বিষয়টি পরিষ্কার যে, ভাইরাল এসব পোস্টে যে দুটি দাবি করা হচ্ছে তার একটিও সঠিক নয়। পাকিস্তানকে অনিল কাপুর, রণবীর কাপুর কিংবা আলিয়া ভাটের আর্থিক সহায়তার কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এমন ফেসবুক পোস্টগুলোকে “মিথ্যা” চিহ্নিত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?