সম্প্রতি “৫৭ টি দেশের ভারত বয়কট” শীর্ষক একটি তথ্য ফেসবুকে ভাইরাল হচ্ছে। কিন্তু অফিসিয়ালি কোনো দেশের ভারতকে বয়কট করার এমন তথ্য দেশি কিংবা বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি মহানবী (সঃ) নিয়ে ভারতের বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার অবমাননাকর মন্তব্যের জেরে এখন পর্যন্ত ১৬ টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা প্রকাশ করেছে। কিন্তু তারা কেউ ভারত বয়কটের কথা বলে নি।
কোনো ধরনের সূত্র উল্লেখ না করে এসব ফেসবুক পোস্টে বলা হচ্ছে,” গোটা বিশ্বের ৫৭টি দেশ ভারতকে বয়কট করেছে”।
উল্লেখিত পোস্টে থাকা প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ডের মাধ্যমে অনুসন্ধান করা হলে এর সপক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে গত ৬ জুন, ২০২২ এ “মহানবীকে নিয়ে মন্তব্যঃ মুসলিম বিশ্বে অগ্নিপরীক্ষায় ভারত” শিরোনামে এই প্রতিবেদনে “৫৭ টি দেশ” এই কথাটির উল্লেখ পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়,” ৫৭ টি দেশের জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কনফারেন্স (ওআইসি) এবং পাকিস্তানও ভারতের সমালোচনা করেছে”। অর্থাৎ, এখানে ৫৭ টি দেশের জোট ওআইসির সমালোচনার কথা বলা হয়েছে। এই প্রতিবেদনকেই ভুল ভাবে উপস্থাপন করা হয়ে থাকতে পারে।
ওআইসির ভ্যারিফাইড টুইটার একাউন্ট থেকে গত ৬ জুন, ২০২২ এ এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়ে একটি টুইট করা হয়। সেখানেও ভারতকে বয়কট করার কোনো উল্লেখ নেই।
The General Secretariat of the Organization of Islamic Cooperation strongly condemned & denounced the recent denigration of Prophet Muhammad by an official of #India‘s ruling party. These cases of defamation are part of a growing spate of hatred & defamation of #Islam in #Indiapic.twitter.com/rFUManLupO
এছাড়া সবশেষ কমপক্ষে ১৬টি দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে। এদের মধ্যে রয়েছে, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব, ওমান, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাহরাইন, মালদ্বীপ, লিবিয়া, তুর্কিয়ে এবং ইন্দোনেশিয়া।
অন্যদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেরসুপারশপ থেকে ভারতীয় পণ্য সরিয়ে নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। এমনই একটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
সুতরাং, বিষয়টি পরিষ্কার যে ভারতে মহানবী (সঃ) কে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রেক্ষিতেকয়েকটি দেশআনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু কোনো দেশ ভারতকে বয়কট করেছে এমন কোনো প্রমাণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এমন তথ্য সংবলিত ফেসবুক পোস্টগুলোকে “মিথ্যা” চিহ্নিত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?