এটা কি দুবাইয়ের সুপারশপে বন্যার পানির সাথে মাছ ঢুকে পড়ার ভিডিও? 

71
এটা কি দুবাইয়ের সুপারশপে বন্যার পানির সাথে মাছ ঢুকে পড়ার ভিডিও? 
এটা কি দুবাইয়ের সুপারশপে বন্যার পানির সাথে মাছ ঢুকে পড়ার ভিডিও? 

Published on: [post_published]

যা দাবি করা হচ্ছেঃ এটা দুবাইয়ে বন্যার সময় সুপারশপের ভিতরে পানির সাথে মাছ ঢুকে পড়ার ভিডিও।

অনুসন্ধানে যা পাওয়া যাচ্ছেঃ দাবিটি মিথ্যা। বাস্তবে এটা জর্জিয়ার রাজধানী তাবলিসিতে অবস্থিত একটি সুপারশপের অ্যাকুয়ারিয়াম ভেঙে মাছ মেঝেতে পড়ে যাওয়ার ভিডিও। দুবাইয়ে বন্যার সাথে এর কোনো সম্পর্ক নেই।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোষ্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানঃ

সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত ১৫ এপ্রিল গভীর রাত থেকে ১৬ এপ্রিল রাত পর্যন্ত ৭৫ বছরের মধ্যে রেকর্ড ভঙ্গকারী বৃষ্টিপাত ঘটেছিল। আল আইনের খাতম আল শাকলা সহ কিছু এলাকায় মাত্র একদিনে ১০ ইঞ্চিরও বেশি বৃষ্টি হয়। এই বৃষ্টিপাতের ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাতটি আমিরাত জুড়েই ব্যাপক বন্যা দেখা দেয়। এই সাতটি আমিরাতের একটি হচ্ছে দুবাই। বন্যায় সেখানকার বেশ কিছু বিমানবন্দর, শপিং মল, রাস্তাঘাট এবং ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। সেখানে দাবি করা হয় যে, বন্যার সময় দুবাইয়ের মার্কেটে পানির সাথে মাছ ঢুকে গিয়েছিল।

তাই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য শুরুতেই ভিডিওটি ব্যবহার করে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮-এ ViralHog নামের একটি ভেরিফাইড ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপলোড হওয়া ভাইরাল ভিডিওটির অনুরূপ একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। মূল ভিডিওর সাথে যুক্ত বর্ণনায় উল্লেখ করা হয় যে, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮-এ জর্জিয়ার তিবিলিসিতে অবস্থিত একটি সুপার শপের অ্যাকুয়ারিয়াম ভেঙে মাছ মেঝেতে পড়ে যাওয়ার সময়কার ভিডিও এটা।

পরবর্তিতে, প্রাসঙ্গিক কিছু কি-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করে ডেইলি মেইলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনেও এই একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।  সেখানেও উল্লেখ করা হয় যে, ঘটনাটি জর্জিয়ার।

মূলধারার সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত আরও কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে

যেহেতু, ভাইরাল ভিডিওটি দুবাইয়ে ঘটে যাওয়া বন্যার অনেক আগের, সুতরাং ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় ভাইরাল পোষ্টগুলো মিথ্যা।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.