সম্প্রতি “মুসলিমদের পোশাক পরে ক্রিস গেইল বললেন, পবিত্র ভালবাসা” শীর্ষক একটি খবর ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে। বাস্তবে খবরটি ৩ বছর আগের। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে ক্রিস গেইল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে আফ্রিকার মুসলিমদের মতো পোশাক পরে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। কিন্তু তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন, এমন কোন নির্ভরযোগ্য তথ্য তখন পাওয়া যায়নি। বর্তমানেও এই তারকা ক্রিকেটার এ ধরণের কোন বিবৃতি দেন নি। তাই এই পুরানো খবরটি নতুন করে ছড়িয়ে পড়ায় ফ্যাক্টওয়াচ এটিকে “বিভ্রান্তিকর” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া “মুসলিমদের পোশাক পরে ক্রিস গেইল বললেন, পবিত্র ভালবাসা” শীর্ষক পোস্টগুলো দেখুন এখানেএখানেএখানেএখানেএখানে ও এখানে
খবরের বিস্তারিত অংশে বলা হয়েছে, খ্রীষ্টধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করছেন ক্যারাবিয়ান তারকা ক্রিস গেইল। সোশ্যাল সাইটে তাঁর পোস্ট করা এক ছবি ঘিরে এমনই জল্পনা ছড়িয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে আফ্রিকার মুসলিমদের মতো পোশাক পরে দাঁড়িয়ে আছেন ক্রিস গেইল। মাথায় রয়েছে টুপি, হাত দিয়ে বানিয়েছেন ‘লভ সাইন’। ছবির ক্যাপশনে গেইল লিখেছেন, ‘পবিত্র ভালবাসা।’
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে খবরটি সঠিক হলেও ৩ বছর পুরনো। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে প্রকাশিত ‘Zee২৪ঘণ্টা’র “তবে কি ইসলাম গ্রহণ করলেন ক্রিস গেইল?” শীর্ষক প্রতিবেদনটি হুবহু কপি করে ‘asianbarta.net’, ‘jagoronnews.com’সহ একাধিক পোর্টাল খবরটি নতুন করে প্রচার করছে সামাজিক মাধ্যমে। এতে করে সাধারণ পাঠক খবরটিকে সাম্প্রতিক ঘটনা ভেবে বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
সাধারণ পাঠকের বিভ্রান্ত হবার নমুনা।
উল্লেখ্য, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে গেইল নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার মুসলমানদের মতো মাথায় টুপি ও গায়ে জোব্বা পরা একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। গেইলের এহেন ছবি ঘিরে নেটিজেনদের মাঝে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে তিনি হয়তো ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তার ধর্মান্তরের বিষয়টি নিয়ে নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। গেইল নিজেও এ ধরণের কোন বিবৃতি দেন নি। ধারণা করা হচ্ছে, বিভিন্ন ধর্মের মতো ইসলাম ধর্মের প্রতি ভালোবাসা রেখেই তিনি ছবিটি প্রকাশ করেছিলেন, এর সঙ্গে ধর্ম গ্রহণের কোনো সম্পর্ক নেই। বিস্তারিত পড়ুন এখানে।
মুসলিমদের পোশাক পরলেই কেউ মুসলমান হয়ে যায় না। ক্রিস গেইল বা তার পক্ষ থেকে তার ইসলাম গ্রহণের ব্যাপারে কোনো বিবৃতি আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। ফলে, পোশাক পরাকে কেন্দ্র করে গেইলের মুসলমান হয়ে যাওয়ার জল্পনাকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিভ্রান্তিকর” হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে। তার ওপর, ৩ বছর আগের পোস্টটি নতুন করে ভাইরাল হওয়ায় পাঠকমহলে বিভ্রান্তি আরো বাড়বে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?