বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ধর্মালম্বীদের উপর হামলা সংক্রান্ত যেসব গুজব ছড়িয়েছে, ফ্যাক্টওয়াচ এই প্রতিবেদনে শুধুমাত্র সেসব গুজবগুলোকে চিহ্নিত করেছে। এই প্রতিবেদনটি পরিবর্তনশীল। নতুন কোনো গুজব পাওয়া গেলে এখানে যুক্ত করা হবে।
হিন্দু শিক্ষককে জুতার মালা পরানোর ভিডিও নয় এটি
যা দাবি করা হচ্ছে : বাংলাদেশের একজন হিন্দু মহিলা শিক্ষককে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে এবং তাকে জুতোর মালা পরিয়ে রাস্তায় বের করা হয়েছে -এমন দাবি যুক্ত পোস্টের সাথে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে এক মহিলাকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে উল্লাসরত জনতা মিছিল করে এগিয়ে যাচ্ছে।
যা পাওয়া যাচ্ছে: ভাইরাল ভিডিওতে উপস্থিত মহিলার ধর্ম পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি শিক্ষকতার সাথে জড়িত নন, বরং অসামাজিক কাজের অভিযোগে গত ১৭ই আগস্ট গাজীপুরে স্থানীয় ছাত্র-জনতা তাকে আটক করে গলার জুতার মালা পরিয়ে এভাবে মিছিল করেছিল। (সৌজন্যে- ফ্যাক্ট ওয়াচ)
মুসলিম শিশুকে হিন্দু দাবি করে সাম্প্রদায়িক অপপ্রচারসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হয়েছে, হিন্দু ছেলের গলা থেকে তুলসীর মালা বা ধর্মীয় মালা খুলে নিয়েছে মুসলিম লোকেরা।বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। ভিডিওর ছেলেটির নাম সোহেল, ছেলেটি হিন্দু নয় বরং মুসলিম ধর্মাবলম্বী এবং মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। তাঁর গলা থেকে তাবিজ কাটা হয়েছিল, তুলসীর মালা নয়। ( সৌজন্যে-বুম বিডি)
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অফিসে সিগারেট থাকার অভিযোগে লাঞ্ছনার শিকার ব্যক্তি হিন্দু নন
সম্প্রতি অফিসে সিগারেটের প্যাকেট থাকায় এক শিক্ষককে হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ায় পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে শীর্ষক দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যায়, সিগারেটের কারণে যে ব্যক্তিকে পদত্যাগের চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিনি হিন্দু নন এবং শিক্ষকও নন বরং তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: তৌফিকুল ইসলাম, যিনি একজন মুসলিম ধর্মাবলম্বী। (সৌজন্যে-রিউমর স্ক্যানার)
পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি অফিস) এ ভাংচুরকে হিন্দুদের বাড়িতে হামলা দাবীতে প্রচার হিন্দু মালিকানাধীন বাড়িঘরে উন্মত্ত জনতা ভাংচুর করছে, এমন দাবীতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে।
তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এটি ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি কার্যালয়। (সৌজন্য- দ্য কুইন্ট)
কান ধরে উঠবস করানো এই নারী কোনো হিন্দু নন, বরং ছাত্রলীগ নেত্রীএক তরুণীকে ছোটখাটো একটি জনতা ঘিরে রেখেছে এবং তাকে নানাভাবে হেনস্থা করছে, এমন একটা ভিডিওতে দাবি করা হচ্ছে, হিন্দু এই তরুণীকে মুসলিমরা হেনস্থা করছে। ভিডিওর এক পর্যায়ে তাকে কানধরে উঠবস করতেও দেখা যায়। অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এই তরুণী ব্রাহ্মনবাড়িয়ার একটি কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রী এবং তিনি মুসলিম। (সৌজন্য-দ্য কুইন্ট)
বেঁধে রাখা নারীটি অধ্যক্ষ গীতাঞ্জলি বড়ুয়া নয়
যাদাবিকরাহচ্ছে: একজন নারীকে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে এমন একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে ছবিতে থাকা ব্যক্তিটি ঢাকার আজিমপুর গভঃমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গীতাঞ্জলি বড়ুয়া । যাপাওয়াযাচ্ছে: একজন নারীকে গাছে বেঁধে রাখার ছবিটি আজিমপুর গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গীতাঞ্জলি বড়ুয়ার নয়, বরং ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীর। তাই অধ্যক্ষ গীতাঞ্জলি বড়ুয়াকে গাছের সাথে বেঁধে রেখেছে — এমন দাবি-সম্বলিত সকল পোস্টকে ফ্যাক্টওয়াচ মিথ্যা হিসেবে চিহ্নিত করছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদত্যাগকারী অধ্যাপক আবদুল বাছির হিন্দু ননযা দাবি করা হচ্ছে :ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন হিন্দু অধ্যাপককে পদত্যাগে বাধ্য করেছে জামাতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন। প্রথমে হিন্দু অধ্যাপক কে কুরআনের আয়াত পাঠ করে শোনানো হয়েছে তারপর উনার পদত্যাগ নেওয়া হয়েছে।
যা পাওয়া যাচ্ছে : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন (অনুষদের প্রধান) ড.আব্দুল বাছিরের পদত্যাগের দাবিতে গত ১৯শে আগস্ট একদল শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেন। এই শিক্ষার্থীদের সুনির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। বিক্ষোভের মুখে ড.আব্দুল বাছির পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। এসময়ে শিক্ষার্থীদের কোরআন এর একটি অংশ তেলাওয়াত করতে এবং মোনাজাত করতে দেখা যায়।(সৌজন্যে- ফ্যাক্ট ওয়াচ)
কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের এই শিক্ষিকা হিন্দু নন, মুসলিমসোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে কয়েকজন পুরুষের দ্বারা একজন মহিলাকে হেনস্তা ও মারধর করার একটি ভিডিয়ো। সেটি শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিয়োতে আক্রান্ত যে মহিলাকে দেখা যাচ্ছে তিনি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের একজন হিন্দু শিক্ষিকা। হাসিনা সরকারের পতনের পর তাকে মারধর ও হেনস্তা করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, ভাইরাল ভিডিওতে যে মহিলাকে দেখা যাচ্ছে তিনি কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের উপাধ্যক্ষ। তাঁর নাম সাবিনা ইয়াসমিন এবং তিনি হিন্দু নন বরং মুসলিম।(সৌজন্যে- ইন্ডিয়া টুডে)
হিন্দু নয়, বাংলাদেশে মুসলিম শিক্ষিকাকে পরানো হয়েছিল জুতোর মালা
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে কিছু ছাত্র-ছাত্রীর দ্বারা একজনকে ঘিরে রেখে জুতোর মালা পরানোর একটি ভিডিয়ো। সেটি শেয়ার করে ইঙ্গিত করা হচ্ছে, ভিডিয়োতে যাকে জুতোর মালা পরানো হচ্ছে তিনি বাংলাদেশের একজন হিন্দু শিক্ষিক। হাসিনা সরকারের পতনের পর পড়ুয়াদের তরফে তাঁকে এভাবে হেনস্থা করা হয়েছে।ইন্ডিয়া টুডে ফ্যাক্ট চেক অনুসন্ধান করে দেখেছে যে, ভাইরাল ভিডিওতে যে শিক্ষিকাকে দেখা যাচ্ছে তিনি রংপুর কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীন। তিনি হিন্দু নন বরং মুসলিম।( সৌজন্যে-ইন্ডিয়া টুডে)
মন্দিরে ভাঙচুরের পরিকল্পনাকারী “হিন্দু দুর্বৃত্তদের“ হাতেনাতে ধরার দাবিটি বিভ্রান্তিকর সম্প্রতি “হিন্দুদের বাসায় ও মন্দিরে ভাঙচুর করার পরিকল্পনাকারী কিছু হিন্দু দুর্বৃত্তদের হাতেনাতে ধরা হয়েছে” দাবিতে একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৩৫ মিনিট দীর্ঘ এই ভিডিও পর্যালোচনা করে মন্দির কিংবা বাসা ভাংচুরের পরিকল্পনা করেছেন এমন হিন্দুদের হাতেনাতে ধরার কোনো প্রমাণ মেলেনি। কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ হবে বলে একটি গুজব ছড়িয়েছিলেন এমন একজন হিন্দুকে ধরা হয়। এই গুজবটি যারা ছড়িয়েছে মূলত তাদের নিয়ে সালিশের ভিডিও এটি। কিন্তু পোস্টদাতা এবং ক্যামেরার পিছনে যে ব্যক্তি কথা বলছিলেন তারা এই বিভ্রান্তিটি ছড়ান। (সৌজন্যে-ফ্যাক্টওয়াচ)
ছাত্রলীগ কর্তৃক শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করার ঘটনাকে জিহাদী কর্তৃক হিন্দু মেয়েদের হত্যার ভিডিও দাবি
বাংলাদেশে ‘জিহাদী’রা হিন্দু মেয়েদের ধাওয়া করে হত্যা করছে- এমন দাবিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এসব পোস্টে সংযুক্ত ভিডিওতে একদল তরুণকে লাঠি হাতে অপর কিছু তরুণ-তরুণীকে মারধর করতে দেখা যাচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, গত ১৫ই জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সেদিন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করেছিল, যার কিছু দৃশ্য এবং ফুটেজ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এদিনের সংঘর্ষে অনেকে আহত হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেউ নিহত হননি। তাছাড়া, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের মধ্যে সকল ধর্মের সদস্যই ছিলেন, আর হামলাটি করেছিল সরকার-সমর্থিত ছাত্রলীগ। সুতরাং, ‘হিন্দু মেয়েদের ধাওয়া করে হত্যা করা’র দাবিটি মিথ্যা। (সৌজন্যে-ফ্যাক্টওয়াচ)
চট্টগ্রামে নবগ্রহ মন্দিরে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি
যাদাবিকরাহচ্ছে: বেশ কিছু ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হচ্ছে চট্টগ্রামের লালদিঘি পাড়ের নবগ্রহ মন্দিরে হামলা হয়েছে। এসব পোস্টে মন্দিরের পাশে আগুন জ্বলতে থাকা একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়।
যাপাওয়াযাচ্ছে: চট্টগ্রামের লালদিঘিতে নবগ্রহ মন্দিরে কোন হামলা হয়নি। হামলা হয়েছে মন্দিরের পাশে থাকা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ মন্দিরে হামলার দাবিটিকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করছে। (সৌজন্যে-ফ্যাক্টওয়াচ)
জীবন বাঁচাতে পানিতে সাঁতরানে লোকটি হিন্দু নন, মুসলিম রাজনীতিবিদ
যা দাবি করা হচ্ছে: একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একজন লোক সাঁতার কেঁটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। পাড় থেকে উন্মত্ত জনতা তার উপর ঢিল ছুড়ে মারছে। ইংরেজি ক্যাপশনে ছড়িয়ে পড়া কিছু পোস্টে এই ভিডিওটিকে একজন হিন্দু ব্যক্তির উপর হামলা বলে প্রচার করা হচ্ছে।
যা পাওয়া যাচ্ছে: এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের উপর গত ৫ই আগস্ট হামলার ঘটনার ভিডিও। ধর্মবিশ্বসের দিক দিয়ে এই মেয়র একজন মুসলিম। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ “হিন্দু লোকের উপর আক্রমণ” বলে দাবি করা এই ভিডিওযুক্ত পোস্টগুলোকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করছে। (সৌজন্যে-ফ্যাক্টওয়াচ)
রংপুরে মন্দিরে হামলা এবং কাউন্সিলর হত্যার দাবিটি আংশিক মিথ্যা
যা দাবি করা হচ্ছে :রংপুরে ইসকন মন্দিরে এবং করুণাময়ী কালী মন্দিরে হামলা করা হয়েছে। এছাড়া রংপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কাজল রায় কে হত্যা করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে যা পাওয়া যাচ্ছে : ৪ই আগস্ট তারিখে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সভাপতি হারাধন রায় সহ কয়েকজন নিহত হয়। তবে কাজল রায় নামে কারো নিহতের তথ্য জানা যায়নি। তাছাড়া, কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডটি সরকার পতনের আগেই ঘটেছিল, ফলে এর সাথে আওয়ামী লীগ-পরবর্তী নাশকতার ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।
উল্লেখিত দুইটি মন্দিরে হামলার কোনো খবরও পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া রংপুরের হিন্দু সম্প্রদায়ের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা গণমাধ্যমে বলছেন যে রংপুরে কোনো সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেনি। (সৌজন্যে-ফ্যাক্টওয়াচ)
অগ্নিকাণ্ডের পুরানো ভিডিওকে হিন্দুদের দোকানে আগুন দেয়ার ঘটনা বলে দাবি
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও দেখিয়ে দাবি করা হচ্ছে, লক্ষ্মীপুরে মজু চৌধুরীর হাটে হিন্দুদের দোকানে আগুন দেয়া হয়েছে। ভিডিওর সাথে সংশ্লিষ্ট ক্যাপশন পড়ে মনে হচ্ছে এটি সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনা। তবে ফ্যাক্টওয়াচ টিম অনুসন্ধান করে দেখেছে, এটি গত ১১ জুলাই ২০২৪ এ লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাটে আগুন লাগার ঘটনার ভিডিও। সেই সময় প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম মারফত জানা গেছে গত ১১ জুলাই ২০২৪ এ লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাটে আগুন লেগেছিল। ইউটিউব থেকে প্রাপ্ত একটি ভিডিও এবং আমাদের আলোচিত ভিডিওটি ভালোভাবে পর্যালোচনা করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। উল্লেখ্য, আমাদের আলোচিত ভিডিওটির অনুরূপ অনেকগুলো ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া গেছে যেগুলো ১১ জুলাই বা তারপরে প্রকাশিত হয়েছিল। ১১ জুলাইয়ের আগে এরকম ভিডিওর কোন অস্তিত্ব ইন্টারনেটে পাওয়া যায়নি। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে শেয়ারকৃত ভিডিওটিকে “বিভ্রান্তিকর” বলে সাব্যস্ত করছে। (সৌজন্যে-ফ্যাক্টওয়াচ)
নোয়াখালীতে মুসলিম ছেলেদের হিন্দু তরুণী অপহরণের বিভ্রান্তিকর দাবি
“নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় দিনে দুপুরে হিন্দু মেয়েকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে মুসলিম ছেলেরা” – এমন দাবিযুক্ত একটি ফেসবুক পোস্ট ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, উক্ত তরুণী বিবাহিত ছিল এবং পারিবারিক কলহের কারণে স্বামীর কাছ থেকে পৃথকভাবে বসবাস করছিল। ৮ই আগস্ট উক্ত তরুণীর স্বামী (যে হিন্দু সম্প্রদায়েরই সদস্য) কয়েকজন সহযোগীকে (যারা মুসলিম ধর্মের নিয়ে উক্ত তরুণীকে বলপূর্বক অপহরণের চেষ্টা করেছিল। কাজেই ‘মুসলিম ছেলেরা হিন্দু তরুণীকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে’ এমন দাবি বিভ্রান্তিকর। (সৌজন্যে-ফ্যাক্টওয়াচ)
মন্দিরে-গীর্জায় সাম্প্রতিক হামলার এই দুটি দাবি মিথ্যা
বাংলাদেশ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ডামাডোলে দেশের ২৯টি জেলায় বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বসতবাড়ি ও উপাসনালয়ে হামলার একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ দাবি করেছে। এসব ঘটনার অনেক ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া কমপক্ষে ২ টি ঘটনার ক্ষেত্রে, ফ্যাক্টওয়াচ দেখতে পাচ্ছে যে সেখানে আদৌ এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি, এবং হামলার দাবিতে ব্যবহৃত ছবিগুলো প্রকৃতপক্ষে পুরনো অন্য কোনো ঘটনার ছবি। (সৌজন্যে-ফ্যাক্টওয়াচ)
লিটন দাস নয় মাশরাফির বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে
যা দাবি করা হয়েছে: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় (এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য) লিটন দাসের বাড়িতে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে।
যা পাওয়া যাচ্ছে: লিটন দাস নয়,বরং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় মাশরাফি বিন মোর্তাজার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তিনি ধর্মীয়ভাবে মুসলিম এবং আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। অর্থাত,তার বাড়িতে হামলার এই ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক হামলা নয়, বরং রাজনৈতিক কারণে হামলা বলা যেতে পারে। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ লিটন দাসের বাড়িতে আগুন দেওয়ার তথ্যটিকে “বিভ্রান্তিকর” হিসেবে চিহ্নিত করছে। (সৌজন্যে-ফ্যাক্টওয়াচ)
রবীন্দ্রনাথের ভাস্কর্য ভাঙার এই ছবিটি ২০২৩ সালের
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি ভাস্কর্যের ছিন্ন মস্তকের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সরাসরি,কিংবা ইঙ্গিতে দাবি করা হচ্ছে যে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পালাবদলের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই ভাস্কর্যটা ভাংচুর করে ফেলে রাখা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে,২০২৩ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি ঢাকার সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে এই ছিন্ন-মস্তক পাওয়া গিয়েছিল। ভাংচুরের জন্য সরাসরি দায়ী কাউকে সনাক্ত করা যায় নি। যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামীলীগ সরকারের পদত্যাগের পরে এই ঘটনা ঘটেনি, তাই এ সংক্রান্ত পোস্টগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ ‘বিভ্রান্তিকর’ সাব্যস্ত করছে। (সৌজন্যে-ফ্যাক্টওয়াচ)
ভারতবিরোধী এই স্লোগানগুলো চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নয় যা দাবি করা হচ্ছে : ‘ভারত যাদের মামাবাড়ি,বাংলা ছাড়ো তাড়াতাড়ি’ এমন স্লোগানসহ ভাইরাল মিছিলটি চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিল।
অনুসন্ধানে যা পাওয়া যাচ্ছে : উক্ত মিছিলটি কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নয়, বরং ভারতের সাথে ট্রানজিট চুক্তি বাতিলের দাবিতে গণ অধিকার পরিষদের একটি মিছিল যা গত ২৮শে জুন তারিখে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। (সৌজন্যে-ফ্যাক্টওয়াচ)
ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার ভিডিওটি হিন্দু হোস্টেলের নয় দাবি করা হচ্ছে, ঢাকার একটি হিন্দু হোস্টেলে আক্রমণ চালিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। প্রান বাঁচাতে শিক্ষার্থীরা কার্নিশে ঝুলে আছেন। কিন্তু যাচাইয়ে দেখা যায়, ভিডিওটি পুরোনো। ঘটনাটি ঘটেছিল গত ১৬ জুলাই, চট্টগ্রাম শহরের মুরাদপুর এলাকায়। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন (১, ২, ৩) থেকে জানা যায়, সেদিন সেখানে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা এই ভবনটির ছাদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তারপর ওই ভবনের ছাদে উঠে আন্দোলনকারীরা ছাত্রলীগ কর্মীদের ছাদ থেকে ফেলে দেন। অনেকে ভবনটির পানির পাইপ ও কার্নিশ বেয়ে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা ছাদ থেকে তাদের দিকে পাথর ছুড়তে থাকেন এবং এসময় কয়েকজন নিচে পড়ে যান। এ ঘটনায় পরবর্তীতে একটি মামলাও হয়েছিল। এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, এর সঙ্গে ঢাকার কোনো হিন্দু হোস্টেলের সংশ্লিষ্টতা নেই। (সৌজন্যে-ডিসমিসল্যাব)
পিলারের সঙ্গে নারীদের বেঁধে রাখা ভিডিওটি হিন্দু নির্যাতনের নয়
দাবি করা হয়েছে, “মুসলিম নারী হিন্দু নারীদের বেঁধে রেখেছে”। যদিও ভিডিওটির সঙ্গে সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব-হিংসার কোনো সম্পর্ক নেই।যাচাইয়ে দেখা যায়, ভিডিওর ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ জুলাই, ঢাকার বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন (১, ২) থেকে জানা যায়, পিলারের সঙ্গে বেঁধে রাখা দুই শিক্ষার্থী ছিলেন ছাত্রলীগের কর্মী। (সৌজন্যে-ডিসমিসল্যাব)
একজন বাংলাদেশি হিন্দু ব্যক্তিকে মেরে একটি ভাস্কর্যের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে পোস্টের দাবিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর জঙ্গিরা একজন হিন্দুকে এভাবে হত্যা করেছে। তবে ডিসমিসল্যাবের একটি প্রতিবেদনে যুক্ত ভিডিওতে দেখা যায়, মরদেহটি কোনো হিন্দু ব্যক্তির নয়। এটি ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা ৯নং পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণের। (সৌজন্যে- ডিসমিসল্যাব)
বাংলাদেশে হিন্দু নারীরা মুসলিমদের থেকে বাঁচতে সঙ্গে মরিচের গুঁড়া রাখছেন।
যাচাইয়ে দেখা গেছে এই দাবিটি ভুয়া । মূলত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নিজেদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে মরিচের গুঁড়া মিশ্রিত পানি নিয়ে নেমেছিলেন আন্দোলনকারী নারীরা। (সৌজন্যে-ডিসমিসল্যাব)
গুমের শিকার হওয়া সন্তানের খোজে বিক্ষোভরত মুসলিম পিতাকে হিন্দু দাবি
(সৌজন্যে- দ্য কুইন্ট)
পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের ভিডিওকে বাংলাদেশী মুসলিম কর্তৃক হিন্দুদের হুমকি দেওয়ার দাবীতে প্রচার
(সৌজনে-এবিপিলাইভ)
বাংলাদেশের দুটি বাচ্চা মেয়ের কান্নার যে ছবি তা AI দিয়ে তৈরি
অভিনেত্রী বাঁধন কে নির্যাতিত হিন্দু নারী দাবি করে এক্সে গুজব ( সৌজন্যে –আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক)
বিভ্রান্তিকর দাবিসহ ভাইরাল হিন্দু পরিবারের উপর নিপীড়নের ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু মানুষের এক অজ্ঞান হিন্দু মহিলার (unconscious Hindu woman) জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টার একটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।ব্যবহারকারীরা ভাইরাল ক্লিপটি শেয়ার করে বিভ্রান্তিকর দাবি করেছেন যে বাংলাদেশের (Bangladesh) ওই মহিলা গর্ভবতী (pregnant) এবং তাকে হামলাকারীরা পা দিয়ে আঘাত করার ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেছেন। বুম ভাইরাল ভিডিওতে আক্রান্ত বাংলাদেশী হিন্দু মহিলার মেয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি নিশ্চিত করে জানান তার মা গর্ভবতী নন। (সৌজন্যে- বুম লাইভ)
বাংলাদেশে হিন্দুদের ধর্ষণ দাবিতে ছড়াল ভারতে পুরনো যৌন নির্যাতনের দৃশ্য সম্প্রতি এক টেলিগ্রাম চ্যানেলের স্ক্রিনশটে একজন মহিলার যৌন নির্যাতনের দৃশ্যের ছবি পোস্ট করে দাবি করা হয় বাংলাদেশে (Bangladesh) কোটা আন্দোলন চলাকালীন এক হিন্দু মহিলাকে সংবদ্ধভাবে ধর্ষণ (Gangrape) করেছেন উগ্র মৌলবাদী সন্ত্রাসীরা। বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল ওই দৃশ্যের সাথে বাংলাদেশের কোনও সম্পর্ক নেই। ঘটনাটি ২০২১ সালে বেঙ্গালুরুতে এক মহিলার উপরে হওয়া যৌন নির্যাতনের, যার সাথে জড়িত থাকার কারণে সেসময় ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
(সৌজন্যে-বুম লাইভ)
বাংলাদেশে হিন্দু নারীদের কান ধরে ওঠ-বস করানো হচ্ছে? না, ভিডিও-র এই মহিলারা মুসলিম
(সৌজন্যে- আজতক বাংলা ফ্যাক্টচেক)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ভিডিওকে জগন্নাথ হলের দাবিতে প্রচার কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং পরবর্তী সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জগন্নাথ হল থেকে হিন্দু শিক্ষার্থীদের জিনিসপত্র ফেলে দেওয়া হয়েছে দাবি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও প্রচার করা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রলীগ কর্মীদের জিনিসপত্র ফেলে দেওয়ার ভিডিও। (সৌজন্যে-রিউমর স্ক্যানার)
লক্ষ্মীপুরে দোকানে অগ্নিকাণ্ডের পুরোনো ভিডিও সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক ঘটনা দাবিতে প্রচার
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি ১১ জুলাইয়ের এবং পুড়ে যাওয়া দোকানগুলো হিন্দু সম্প্রদায়ের কারো নয় বরং দুর্ঘটনাজনিত কারণে পুড়ে যাওয়া এসব দোকানের মালিক সকলেই মুসলিম।
(সৌজন্য-রিউমর স্ক্যানার)
রেস্টুরেন্টে আগুনের ভিডিওকে মন্দিরে আগুন দেয়ার ঘটনা বলে প্রচার । সাতক্ষীরার ‘রাজ প্রাসাদ’ রেস্টুরেন্টের আগুনের ভিডিওকে মন্দিরে আগুন দেয়ার বলে প্রচার করা হচ্ছে। (সৌজন্যে-বুম বাংলাদেশ)
১৪০ জন মিলে বাংলাদেশে এক দলিত হিন্দু নারীকে ধর্ষণ করেছে -গুজব ( সৌজন্যে- ডিসমিসল্যাব)
ঠাকুরগাঁওয়ের মন্দির নয়, এটি যশোরের মাজারে হামলার ভিডিও ( সৌজন্যে- ডিসমিসল্যাব)
ভিডিওটি বিক্ষোভকারী হিন্দুদের উপর সেনাহামলার নয়, বরং বগুড়ার রথযাত্রার দুর্ঘটনার ভিডিও ( সৌজন্যে- ডিসমিসল্যাব)
পদত্যাগকারী মুসলিম শিক্ষকদের সংখ্যালঘু হিসেবে দাবি ( সৌজন্যে- ডিসমিসল্যাব)
ভিডিওটি সিরাজগঞ্জে প্রদীপ ভৌমিক হত্যার নয় , বরং ঢাকার রবিউল লিমন হত্যার (সৌজন্যে- ডিসমিসল্যাব)
গণপিটুনির শিকার ব্যক্তি কোনো হিন্দু নন, বরং চাঁদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান উত্তেজিত জনতার গণপিটুনির শিকার এক ব্যক্তির ভিডিও শেয়ার করে তাকে হিন্দু বলে দাবি করা হচ্ছে। যাচাইয়ে দেখা গেছে ভিডিওটি চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খানের। (সৌজন্যে- ডিসমিসল্যাব)
নির্মাণাধীন প্রতিমার ছবি শেয়ার করে প্রতিমা ভাঙচুরের ভুয়া দাবি
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে যে, গত ৩১ আগস্ট ২০২৪ এ শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বাজারের জয় দুর্গা বারোয়ারী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে শেরপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা এই প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাটিকে নাকচ করে দিয়েছেন। পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা বলছেন, পূজার আগে নির্মাণাধীন অসম্পন্ন প্রতিমার ছবি দিয়ে ভাঙচুরের গুজব ছড়ানো হয়েছে। তাছাড়া, পূজার মন্ডপ নির্মাণকে কেন্দ্র করে পূজা উদযাপন কমিটির দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে এই গুজব ছড়ানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। অতএব, পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য এবং স্থানীয়দের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে বুঝা যাচ্ছে জয় দুর্গা বারোয়ারী মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। (সৌজন্যে ফ্যাক্টওয়াচ)
৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে হামলার খবর আসতে থাকে। এর মাঝে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল যে, কয়েকশো অত্যাচারিত বাংলাদেশি হিন্দু ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভিডিওটি গত মে মাসে ভারতের ওড়িশার কেন্দুঝার জেলার চম্পুয়া বিধানসভা এলাকায় বিজেপি প্রার্থী মুরলি শর্মার ভোট প্রচারের সময় ধারণ করা হয়েছিল। (সৌজন্যে – আজ তক বাংলা ফ্যাক্টচেক)