সম্প্রতি একটি মোটরসাইকেলের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হতে দেখা যাচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে এটি একটি সোনার মোটর সাইকেল এবং এটি ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর জন্য বানানো হয়েছে। কিন্তু, ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যায়, মোটরসাইকেলটির মালিক মূলত সৌদি আরবের ফয়সাল আবু সারা নামের এক ব্যক্তি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নয়। তাছাড়া রোনালদো সৌদি আরব গিয়ে কোনো সোনার বাইক পেয়াছেন কি না এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য মূলধারার সংবাদমাধ্যম কিংবা নির্ভরযোগ্য সোর্স থেকে পাওয়া যায়নি। এ কারণে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া পোস্টটিকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওর মোটরসাইকেলেটি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভিডিওটির বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে টার্বো কিং নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ২০২০ সালের ১৭ মে পোস্ট করা একটি মোটরসাইকেলের ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। যার সাথে ফেসবুকে শেয়ার হওয়া ভিডিওর মোটরসাইকেলের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
এছাড়াও, ভিডিওর ক্যাপশনে এর মালিক বলা হয়েছে @faisal_abu_sara নামের একটি ইনস্টাগ্রাম আইডিকে। এই সূত্র ধরে ইন্সটাগ্রামে @faisal_abu_sara নামের একটি আইডিটি খুঁজে পায় ফ্যাক্টওয়াচ টিম। যেখানে মোটরসাইকেলটির একাধিক ভিডিও ও ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। এই ছবিগুলোতে দেখানো মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেটের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেটেরও মিল পাওয়া যায়।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে যোগদান করেছেন ২০২৩ সালে। কিন্তু, ভাইরাল হওয়া মোটরসাইকেলটির ভিডিও কমপক্ষে ২০২০ সাল থেকে পাওয়া যায়। যার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়, রোনালদোর আল নাসেরে যোগ দেয়ার অনেক বছর আগেই মোটরসাইকেলটি বানানো হয়েছিল।
এছাড়াও, ভাইরাল ভিডিওতে মোটরসাইকেলটির পিছনে খেয়াল করলে একটি সৌদিআরবের পতাকা দেখতে পাওয়া যায় যেখানে, “faisal_abu_sara” নামের ইনস্টাগ্রাম আইডি দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু ভিডিওতে রোনালদোর সাথে সম্পর্কিত কিছু খুঁজে পাওয়া যায়না।
অন্যদিকে, বিভিন্ন ভাবে ভিন্ন ভিন্ন কি-ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করেও রোনালদো সৌদি আরবে কোনো সোনার মোটরসাইকেল উপহার পেয়েছেন কি না এ সংক্রান্ত নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
যদিও মোটরসাইকেলটি সত্যিই সোনা দিয়ে বানানো কি না এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য কোনো মাধ্যম থেকে তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, তবে এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, মোটরসাইকেলটি রোনালদোর জন্য বানানো হয়নি। এ কারণে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া পোস্টটিকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?