নোবেল বিজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন মৃত্যুবরণ করেছেন মর্মে কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকে একই দাবি করছেন৷ তবে অমর্ত্য সেন এর পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করেছেন, অমর্ত্য সেন সুস্থ আছেন। ছড়িয়ে পড়া সংবাদটি সম্পূর্ণ গুজব।
ক্লডিয়া গোল্ডিন নামক একটি আনভেরিফাইড এক্স (সাবেক টুইটার) একাউন্ট থেকে আজ বিকেলে অমর্ত্য সেনের মৃত্যুর এই খবরটি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, এ বছর অর্থনীতিতে নোবেল স্মারক পুরষ্কার পেয়েছেন ক্লডিয়া গোল্ডিন। তবে তাঁর আসল এক্স একাউন্ট ছিল এটা।
তবে এই নকল ক্লডিয়া গোল্ডিনকেই আসল ক্লডিয়া গোল্ডিন এর একাউন্ট ধরে নিয়ে অনেকে অমর্ত্য সেনের মৃত্যু সংবাদ প্রচার করা শুরু করে। ঘন্টাখানেক পরে এই একাউন্ট থেকে জানানো হয়,এটি একটি ভুয়া একাউন্ট । জনৈক ইটালিয়ান সাংবাদিক তমাসো ডেবেনেডেটি এই একাউন্ট তৈরি করেছেন।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় দেখা যাচ্ছে, ক্লডিয়া গোল্ডিন একাউন্টটির ইউজার নেম পরিবর্তন করে Gatto fi pino নামটি রাখা হয়েছে । অর্থাৎ, এটা নিশ্চিত যে এই একাউন্ট থেকে প্রকাশিত তথ্যের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই ।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
অমর্ত্য সেন তনয়া নন্দনা সেন সন্ধ্যা ৬ টা ১১ মিনিটে একটি এক্স ( সাবেক টুইট) পোস্টে জানান, অমর্ত্য সেনের মৃত্যুর খবরটি ভুয়া খবর। এসময় তিনি সদ্য তোলা একটি পারিবারিক ছবিও শেয়ার করেন, যেখানে অমর্ত্য সেনও রয়েছেন।
বন্ধুরা, আপনাদের উৎকণ্ঠার জন্য ধন্যবাদ কিন্তু, এটা ভুয়া খবর: বাবা পুরোপুরি ভালো আছেন। আমরা সবেমাত্র কেমব্রিজে পরিবারের সাথে একসাথে একটি চমৎকার সপ্তাহ কাটিয়েছি। গত রাতে যখন আমরা বিদায় বলেছিলাম তখন তিনি বরাবরের মতোই শক্তিশালী আলিঙ্গন দিয়ে বিদায় জানিয়েছেন! তিনি হার্ভার্ডে সপ্তাহে 2টি কোর্স পড়াচ্ছেন, তার ‘জেন্ডার’ নামক বই নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বরাবরের মতোই ব্যস্ত!
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার কে দেওয়া অপর একটি সাক্ষাতকারেও তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি অনুরোধ করছি, এ সব গুজব ছড়ানো বন্ধ রাখুন। বাবা ভাল আছেন। সুস্থ আছেন।
অমর্ত্য সেন এর আরেক কন্যা অন্তরা সেন ভারতীয় ফ্যাক্টচেকিং সংস্থা নিউজচেকার কে জানিয়েছেন, আমি বাবার সাথে কেম্ব্রিজে আছি। প্রফেসর সেন ভাল আছেন, সূস্থ আছেন।
অমর্ত্য সেন এর প্রতিষ্ঠিত প্রতীচী ট্রাস্ট এর এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার সৌমিক মুখার্জি নিউজচেকারকে নিশ্চিত করেছেন যে এই খবরটির কোনো সত্যতা নেই।
সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এই খবরটিকে ‘মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে ।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।