ডিসকভারি চ্যানেল দেখে উৎসাহিত তিন শিশু বাড়ি ছাড়লো, দ্বীপে থাকার জন্য — পুরনো খবর আবারো ভাইরাল

7
ডিসকভারি চ্যানেল দেখে উৎসাহিত তিন শিশু বাড়ি ছাড়লো, দ্বীপে থাকার জন্য — পুরনো খবর আবারো ভাইরাল ডিসকভারি চ্যানেল দেখে উৎসাহিত তিন শিশু বাড়ি ছাড়লো, দ্বীপে থাকার জন্য — পুরনো খবর আবারো ভাইরাল

Published on:[September 5,2021]

সম্প্রতি “ডিসকভারী দেখে পোকা-মাকড় খেয়ে জঙ্গলে বাস করার উদ্দেশ্যে বাড়ি ছেড়েছিল তিন শিশু!” শিরোনামে একটি খবর ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে। বাস্তবে সংবাদটি প্রায় ৩ বছর আগের। ২০১৮ সালের জুন মাসে খবরটি বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। বর্তমানে ভাইরাল হওয়া সংবাদে মূলত সেই খবরটিই প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে, ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় নতুন করে এর প্রচার বিভ্রান্তিকর।

 

ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপের বরাত দিয়ে ছড়িয়ে পড়া “ডিসকভারী দেখে পোকা-মাকড় খেয়ে জঙ্গলে বাস করার উদ্দেশ্যে বাড়ি ছেড়েছিল তিন শিশু” শীর্ষক পোস্টগুলো দেখুন এখানে এখানে এখানে এখানে এখানে এখানে

 

 

 

 

 

 

 

সূত্রপাত

ফ্যাক্টওয়াচ টিম অনুসন্ধান চালিয়ে দেখে, জনপ্রিয় টিভি চ্যানেল ‘ডিসকভারি’র অ্যাডভেঞ্চার সিরিজগুলো দেখে উৎসাহী তিন শিশুর দ্বীপে বসবাসের উদ্দেশ্যে বাড়ি ছাড়ার খবরটি সাম্প্রতিক কোন ঘটনা নয়। প্রায় ৩ বছর আগে, ২০১৮ সালের জুন মাসে দেশীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল।

ভাইরাল খবরটির বিস্তারিত কিছু অংশ গুগল সার্চ করে আমরা ২০ জুন ২০১৮ সালে প্রকাশিত দৈনিক যুগান্তরের “ডিসকভারি চ্যানেল দেখে দ্বীপে বসবাসের পরিকল্পনা ৩ শিশুর, অতঃপর…” শীর্ষক প্রতিবেদনটি খুঁজে বের করি। ধারণা করা হচ্ছে, উক্ত প্রতিবেদনটির ‘কপিরাইট’ এড়াতে ঘটনার বিষয়বস্তু অপরিবর্তিত রেখে কিছু বাক্যের অবস্থান্তর করা হয়েছে। এছাড়া বাক্য এবং শব্দের মাঝে অযাচিত কিছু যতি চিহ্নও যুক্ত করা হয়।

দেখুন এখানে

 

যুগান্তর ছাড়াও, বিষয় নিয়ে ২১ জুন ২০১৮ তারিখে প্রকাশিত কালের কণ্ঠের “ডিসকভারি চ্যানেল দেখে দ্বীপে বসবাস করতে ঘর পালানো ৩ শিশু উদ্ধার” শীর্ষক প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে

 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৯ জুন বরগুনায় ডিসকভারি চ্যানেল দেখে দ্বীপে বসবাসের উদ্দেশ্যে পালানো তিন শিশুকে রাত ৮টায় সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা যাওয়ার পথে আমতলী লঞ্চঘাট থেকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ। এরপর অভিভাবকদের খবর দেয়া হলে তারা এসে বুধবার শিশুদের বাড়ি নিয়ে যান। বিস্তারিত পড়ুন এখানে

 

অর্থাৎ, ডিসকভারি চ্যানেল দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে দ্বীপে বসবাস করার উদ্দেশ্যে তিন শিশুর বাড়ি থেকে পালানোর খবরটি প্রায় ৩ বছর পুরনো। তাই ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় উক্ত খবরের সম্প্রতি ভাইরাল পোস্টগুলো অপ্রাসঙ্গিক এবং বিভ্রান্তিকর।

 

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

 

No Factcheck schema data available.