বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ইন্তেকাল করেছেন মর্মে একটি গুজব ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন এর পরিবারের বরাতে বিএনপি এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, এটি সম্পূর্ণ অপপ্রচার। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আছেন। সঙ্গত কারণে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এই পোস্টগুলোকে ফ্যাক্টওয়াচ মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি – বিএনপি’র ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এই পোস্টে জানানো হচ্ছে,
বিএনপির জাতীয় কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন আলহামদুলিল্লাহ আগের থেকে অনেক সুস্থ আছেন, ভাল আছেন। কোন ধরনের গুজবে কান দেবেন না।
এ ধরনের গুজব আজকের মহাসমাবেশকে নিরুৎসাহিত করার অপচেষ্টা মাত্র।
কোন অচেষ্টা আজকের জনসমুদ্র রুখতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
ছবিঃ ২৮ জুলাই, ২০২৩, সকাল ১০টা (সিঙ্গাপুর সময়)
এছাড়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এর বরাতে একাধিক সংবাদমাধ্যম এই খবরটাকে গুজব হিসেবে সনাক্ত করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব এর এই খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মধ্যরাতে শামসুদ্দিন দিদার জানান, ড. মোশাররফ হোসেনের ইন্তেকাল মর্মে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে কতিপয় ব্যক্তি তাদের ফেসবুক আইডি এবং বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অধ্যাপক ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ইন্তেকাল করেছেন মর্মে গুজব ছড়াচ্ছে। তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, এ ধরণের অপপ্রচার দেখে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বড় ছেলে খন্দকার মাহবুব হোসেন তুষারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি যে, ড. মোশাররফ হোসেন আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। তাই এ ধরণের অপপ্রচার বা গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করছি।
উল্লেখ্য, খন্দকার মোশাররফ হোসেন গত ২৮শে জুন উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গমন করেন। ৩রা জুলাই তার ব্রেইনে টিউমার ধরা পড়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়৷ বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরেই চিকিৎসাধীন আছেন।
তাই, সার্বিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এই পোস্টগুলোকে মিথ্যা সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।