গত ১৬ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র আন্দোলন ঘিরে আঁকা শিক্ষার্থীদের দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি ঘুরে দেখতে যান। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। ‘চিফ অ্যাডভাইজর জিওবি’ নামক ফেসবুক পেজ থেকে এই পরিদর্শনের ১৭টি ছবি প্রকাশ করা হয়। এসব ছবি পোস্ট করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফেসবুকে লেখেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-অভ্যুত্থানের সময় তরুণ বিপ্লবীদের আঁকা গ্রাফিতি দেখতে প্রধান উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিদর্শন করেন। এই সতেরোটি ছবির একটি ছবির সব ঠিক রেখে শুধু দেওয়ালের লেখা বদলে দিয়ে থ্রেডসে শেয়ার করা হচ্ছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আলোচিত ছবিটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় তৈরি করা হয়েছে। ফলে, অনেকেই এটিকে আসল ছবি ভেবে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। সঙ্গত কারণে ফ্যাক্টওয়াচ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিটিকে “বিকৃত” বলে সাব্যস্ত করছে।
দেওয়ালে বাংলাদেশ লেখা এই ছবিটি আসল ছবি। প্রধান উপদেষ্টার ফেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করা ছবিগুলির মধ্যে এটি আছে। ছবিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম ও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে দেখা যাছে। এই ছবিটি দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুগান্তর। এছাড়া ১৬ তারিখের ওই পরিদর্শন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কালবেলা, বনিকবার্তাসহ কয়েকটি পত্রিকা।
এডিটেড ছবিটি থ্রেডসে “আজ থেকে বাংলাদেশে সুদ হালাল?”- এই ক্যাপশনসহ শেয়ার হচ্ছে। এর কিছু নমুনা দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
কাজেই এটা স্পষ্ট যে, ছবিটির দেওয়ালে লেখা অংশটুকু পরে এডিট করে বসানো হয়েছে। সঙ্গত কারণে এটিকে ‘বিকৃত’ সাব্যস্ত করা হল।
No Factcheck schema data available.
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের
নীতি মেনে লেখা হয়েছে। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে।
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।
কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@fact-watch.org অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh