প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কালেমা তাইয়্যিবাহ লেখাটি আগে থেকেই ছিল 

111
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কালেমা তাইয়্যিবাহ লেখাটি আগে থেকেই ছিল 
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কালেমা তাইয়্যিবাহ লেখাটি আগে থেকেই ছিল 

সুবর্ণ রেখা দোলন

Published on: [post_published]

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ প্রথমবারের মতো সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকটি তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৯০ সালর পর থেকে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান যে হয়েছে এই কার্যালয়টি মূলত তাঁর নামেই বরাদ্দ হয়ে আসছে। এই প্রেক্ষিতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কিছু পোস্টে  দাবি করা হচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা তার কার্যালয়ে থাকা ছবি সরিয়ে সেখানে কালেমা তাইয়্যিবাহ লিখেছেন । কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার অনেক আগে থেকে অর্থাৎ, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও একই স্থানে কালেমা লেখা ছিল। সেখানে অন্য কোনো ছবি ছিল না। সুতরাং ফ্যাক্টওয়াচের বিবেচনায় ভাইরাল পোষ্টগুলো বিভ্রান্তিকর।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া পোস্টে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তার কার্যালয়ের একটি সম্মেলন কক্ষে সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করার একটি ছবি দেখা যায়। সেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, বাংলাদেশের নতুন সরকারপ্রধান এই সম্মেলন কক্ষ থেকে ছবি সরিয়ে সেখানে কালেমা তাইয়্যিবাহ লিখেছেন। তাই এই কক্ষটি আগে দেখতে কেমন ছিল এবং সেখানে দেশের অন্য কোনো সরকারপ্রধান বৈঠক করেছিলেন কি না এ ব্যাপারে জানার চেষ্টা করে ফ্যাক্টওয়াচ টিম। এরজন্য শুরুতেই ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিটির উৎস খুঁজে পেতে একে ব্যবহার করে রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধান করা হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবিটি ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি সম্মেলন কক্ষে ধারণ করা হয়েছিল।

পরবর্তীতে, প্রাসঙ্গিক কিছু কি ওয়ার্ড ধরে অনুসন্ধান করে এই সম্মেলন কক্ষে সাবেক সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার বিভিন্ন সময় বৈঠক করার ছবিও খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানেও একই স্থানে কালেমা তাইয়্যিবাহ লেখা দেখতে পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, এই সম্মেলন কক্ষে কালেমা লেখাটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার অনেক আগে থেকেই ছিল। অর্থাৎ তিনি কোনো ছবি সরিয়ে এই লেখাটি যুক্ত করেননি।

সুতরাং সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল পোষ্টগুলোকে বিভ্রান্তিকর হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh