সম্প্রতি নোবেল বিজয়ী ড মুহাম্মদ ইউনূসের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে তিনজন নারীর সঙ্গে তাকে দেখা যাচ্ছে এবং দাবি করা হচ্ছে, এটি তার গোপন জীবনের ছবি। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ছবিটি ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্যে বিকৃত করা হয়েছে। মূলত প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা হিউ হ্যাফনারের (Hugh Hefner) ছবি এটি। হ্যাফনারের চেহারায় মুহাম্মদ ইউনূসের চেহারা বসিয়ে দেয়া হয়েছে।
উপরোক্ত ছবি ব্যবহার করে দাবি করা হচ্ছে, “সুদখোর ইউনূসের গোপন জীবনের ছবি”।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান
ভাইরাল এই ছবির সাহায্যে অনুসন্ধান করা হলে, আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যম দ্য লস এঞ্জেলসে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়। সেখানে ছবি সম্পর্কে বিস্তারিত না পাওয়ায় পুনরায় অনুসন্ধান করা হলে, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৭ এ বিজনেস ইনসাইডার প্রকাশিত একটি নিবন্ধ পাওয়া যায়। “A guide to Hugh Hefner’s many gorgeous wives and girlfriends through the years“- শিরোনামে প্রকাশিত এই নিবন্ধে থাকা ছবির সাথে সম্প্রতি ভাইরাল ছবির প্রায় শতভাগ মিল পাওয়া যাচ্ছে। শুধু সেখানে মুহাম্মদ ইউনূসকে দেখা যাচ্ছে না।
মূল ছবি
ভাইরাল ছবি
জানা যায়, মূল ছবিটি এপি’র ফটোগ্রাফার ডেনি মলোসক (Danny Moloshok) তুলেছিলেন। ছবিতে প্লে-বয় ম্যাগাজিনের প্রতিষ্ঠাতা হিউ হ্যাফনারকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ছবিতে তার সাথে “দ্য গার্ল নেক্সট ডোর” নামে একটি রিয়েলিটি টিভি সিরিজের কলা-কুশলীদের দেখা যাচ্ছে। ৯১ বছর বয়সে ২০১৭ সালে হ্যাফনার মৃত্যুবরণ করেন। মূলত তার বিভিন্ন স্ত্রী এবং প্রেমিকারদের তথ্য দিয়ে এই নিবন্ধটি সাজানো হয়েছিলো।
অর্থ্যাৎ বিষয়টি পরিষ্কার যে, হ্যাফনারের মুখের জায়গায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চেহারা বসিয়ে দেয়া হয়েছে এবং ভিত্তিহীন দাবিটি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মুহাম্মদ ইউনূস নিয়ে সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া আরেকটি দাবি নিয়ে ফ্যাক্টওয়াচের একটি প্রতিবেদন পড়ুন এখানে।
অতএব, সার্বিক বিবেচনায় ভাইরাল এই ছবিটিকে ফ্যাক্টওয়াচ “বিকৃত” বলে চিহ্নিত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।