জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডক্টর মামুন কি বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী নির্বাচিত হয়েছেন?
Published on: [August 9,2021]
বিভ্রান্তির উৎস
মূলত, বেকার জীবন এবং গাজী টুয়েন্টি ফোর নামের দুটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন শেয়ারের মাধ্যমে এই খবরটি ভাইরাল হয়। বিসিএস প্রিলিমিনারি প্রস্তুতি সহ কয়েকটি সাধারণ জ্ঞানের পেজ থেকে এই খবর শেয়ার করা হলে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। এমন কিছু ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে, এখানে ।
কি বলা হচ্ছে খবরে ?
১৪ই নভেম্বর ২০২০ তারিখে বেকার জীবনে প্রকাশিত এই নিবন্ধে বলা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপে বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান লাভ করেছেন ঢাকার ধামরাই উপজেলার কৃতী সন্তান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এ মামুন। …… ২০২০ সালে বিশ্বব্যাপী সেরা বিজ্ঞানীদের মধ্যে শতকরা দুইভাগ (টু পার্সেন্ট) বিজ্ঞানীদের নিয়ে প্রকাশিত তালিকায় অধ্যাপক ড. এ এ মামুন স্থান লাভ করায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের বরাত দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক ড. এ এ মামুন কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে ইংল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ডরুস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জামার্নির হোমবোল্ট পোস্টডক ফেলো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স কর্তৃক জুনিয়র ও সিনিয়র গ্রুপে স্বর্ণপদক লাভ করেন। এ ছাড়া তিনি জার্মানি থেকে অতি সম্মানজনক ‘ব্যাসেল রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
লক্ষনীয়, এই প্রতিবেদনে ‘বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান লাভ’ করার কথা বলা হলেও শিরোনাম এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থাৎ ‘বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী’ এর কথা কোথাও উল্লেখ নেই।
এছাড়া, আমেরিকায় Stanford University থাকলেও, স্ট্যামফোর্ড নামে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকায় নেই। এই প্রতিবেদনে সম্ভবত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সামান্য ভুল করেছে। তাছাড়া, পোস্টডক কোনো ডিগ্রি প্রোগ্রাম নয়, অথচ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তিনি পোস্টডক ফেলো হিসেবে “ডিগ্রি” লাভ করেন।
একই নিবন্ধ ৪ সপ্তাহ আগে গাজী টুয়েন্টিফোর নামক অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হতে দেখা যায়। পূর্বের বেকার জীবন এ প্রকাশিত নিবন্ধের সাথে এর হুবহু মিল দেখা যায়। অর্থাৎ ২০২০ সালের পুরনো খবর গাজী টুয়েন্টি ফোর নতুন করে প্রকাশ করেছে।
গতবছর ১২ই নভেম্বর দৈনিক যুগান্তর একই শিরোনামে খবর প্রকাশ করলেও, এ বছর নতুন করে সেটা ভাইরাল হয়নি।
যুগান্তরের প্রতিবেদনেও বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় স্থান লাভ করার কথা বলা হয়েছে, অর্থাৎ ,যুগান্তরের শিরোনামটাও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
একদিন পরে, অর্থাৎ ,২০২০ সালের ১৩ই নভেম্বর দৈনিক যুগান্তর অন্য একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ছিল বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় ধামরাইয়ের মামুন।
কাছাকাছি সময়ে, অর্থাৎ ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে অন্য আরো কয়েকটি পত্রিকায় ডক্টর মামুনকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যেমন- মানিকগঞ্জ বার্তার সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় ধামরাইয়ের সন্তান ড. মামুন ।
আগামীর সংবাদ এর শিরোনাম ছিল, বিশ্বসেরা পদার্থবিজ্ঞানীর তালিকায় ধামরাইয়ের কৃতি সন্তান জাবি অধ্যাপক এ এ মামুন।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান
২০২০ সালের ১৪ই নভেম্বর বনিকবার্তায় এ সংক্রান্ত একটি গোছালো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। শিরোনাম ছিল, বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীর তালিকায় দেশের ২৬ গবেষক । প্রতিবেদনে বলা হয় , বিষয়ভিত্তিক গবেষণা কার্যক্রমে অবদানের ভিত্তিতে গবেষকদের এক বৈশ্বিক ডাটাবেজ তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা থেকে সারা বিশ্বের দেড় লাখেরও বেশি গবেষক বিষয়ভিত্তিক এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। বিশ্বসেরা গবেষকদের এ তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন দেশের ২৬ জন শিক্ষক ও গবেষক। অন্যদিকে প্রতিবেশী ভারতের প্রায় দেড় হাজার গবেষক এ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএলওএস বায়োলজি জার্নালে সম্প্রতি এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ডিপার্টমেন্ট অব বায়োমেডিকেল ডাটা সায়েন্সের গবেষক জন আইওয়ান্নিডিস, নিউমেক্সিকো ভিত্তিক সাইটেক স্ট্র্যাটেজিসের বিশেষজ্ঞ কেভিন ডব্লিউ বয়াক ও নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামভিত্তিক এলসেভিয়ারবিভির রিসার্চ ইন্টেলিজেন্সের গবেষক জেরোয়েন বাস বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় অবদান রাখা ১ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮৩ জন বিজ্ঞানীর এ বিষয়ভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করেন। প্রত্যেক বিজ্ঞানীকে তাদের নিজস্ব গবেষণাকাজের সংখ্যা ও সাইটেশনের ভিত্তিতে এ তালিকায় স্থান দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে তালিকায় স্থান করে নেয়া ২৬ জনের মধ্যে রয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এ এ মামুন, বাংলাদেশী চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. ফিরদৌসী কাদরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. সৈয়দ সাদ আন্দালিব , ব্রিটিশ বাংলাদেশী বিজ্ঞানী সালিমুল হক, আইসিডিডিআর,বির গবেষক মুহম্মদ ইউনুস, জন ডি ক্লেমেনস, রশিদুল হক, আমিনুর রহমান সহ অনেকে।
একই খবর অন্য কয়েকটি পত্রিকাতেও ছাপা হয়েছিল। আবার কয়েকটি পত্রিকায় বিচ্ছিন্নভাবে এক বা একাধিক বাংলাদেশী বিজ্ঞানীকে হাইলাইট করে এই তালিকায় স্থান পাওয়ার খবর বলা হয়েছে। যেমন-ইনকিলাব , যুগান্তর, জাগোনিউজ , ভোরের কাগজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট ইত্যাদি । তবে কোথাও কাউকে ‘বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী’ উল্লেখ করা হয়নি। বরং সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকার কথাই বলা হয়েছে।
মূল গবেষনাপত্রে কি বলা হচ্ছে ?
২০২০ সালের ১৬ই অক্টোবর মূল গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয় Plos Biology নামক জার্নালে। এটি ৮.০২ ইমপ্যক্ট ফ্যাক্টরবিশিষ্ট একটি পিয়ার রিভিউড জার্নাল, অর্থাৎ একটি ভাল মানের জার্নাল। আলোচ্য গবেষণাপত্রটির শিরোনাম ছিল Updated science-wide author databases of standardized citation indicators।
প্লস বায়োলজি ছাড়াও এটি National Center for Biotechnology Information
Search database এর জার্নালে পুনঃপ্রকাশিত হয়।
এই গবেষণাপত্রে, সাইটেশনের ভিত্তিতে বিজ্ঞানী/গবেষকদের তালিকাভুক্ত করার পদ্ধতি আলোচনা করা হয়েছে, বিভিন্ন পেপার এবং সাইটেশনের সংখ্যার ভিত্তিতে কিভাবে স্কোর এবং র্যাংকিং করা হল, সেই সূত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, এবং সবশেষে ১ লাখ ৫৯ হাজার বিজ্ঞানীর আর্কাইভ এর লিংক সরবরাহ করা হয়েছে। (তালিকাটি আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারেন এই ঠিকানা থেকে)
ফ্যাক্টওয়াচের পাঠকদের জন্য মূল এক্সেল শিট থেকে কয়েকটি নির্বাচিত কলাম এবং কয়েকটি রো উপস্থাপন করে দেখানো হল । ( যে কোনো বিভ্রান্তি এড়ানোর জন্য পূর্ণাঙ্গ ফাইল দেখতে অনুরোধ করা হচ্ছে । এখানে কেবলমাত্র র্যাংকিং এর প্রথম ৯ জন এবং ফ্লুইড এন্ড প্লাজমা ফিল্ড এর ২ জন গবেষক এর উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে)
এই ফাইল থেকে দেখা যাচ্ছে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এ এ মামুন ফ্লুইড এন্ড প্লাজমা ফিল্ডে ৪৩,২১৮ জন গবেষকের মধ্যে ১৩০ তম অবস্থানে আছেন। সকল ফিল্ডে, সকল বিজ্ঞানীদের মধ্যে তার ওভারঅল র্যাংকিং ২৮,৭৮১। তিনি ১৯৯১ থেকে ২০২০ এর মধ্যে মোট ৪১৬ টা পেপার (গবেষনাপত্র) প্রকাশ করেছেন। এসব পেপারকে সাইট (উদ্ধৃত) করা হয়েছে মোট ৮৮১০ বার। তবে এসব সাইটেশনের মধ্যে তিনি নিজেই ৪০.৯৭% সাইট করেছেন। নিজের সাইটেশন গুলো বাদ দিলে ,অন্যরা তার পেপার সাইট করেছে ৪,৭৮৭ বার। সেলফ সাইটেশনকে গন্য করলে তার স্কোর ৪.১০৫ , এবং র্যাংকিং ১৪,৩৩৮ তম। তবে সেলফ সাইটেশনগুলো বাদ দিলে তার স্কোর আসে ৩.৮৫ এবং র্যাংকিং ২৮,৭৮০।
এই লিস্টে, বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানী হিসেবে র্যাংকিং এ দেখানো হয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রের, Michael Grätzel কে, যিনি ন্যানোটেকনোলজি নিয়ে ১৫৬৭ টা পেপার লিখেছেন, ২ লাখ ৯৯ হাজার বার তার পেপার সাইট করা হয়েছে , এসব সাইটের মধ্যে মাত্র ৭% সেলফ সাইটেশন এবং তিনি ৭৫ হাজার ন্যানোটেকনোলজি গবেষকের মধ্যে ৫.৩১ স্কোর নিয়ে শ্রীর্ষস্থান দখল করেছেন।
ডক্টর মামুনের সংশ্লিষ্ট ফ্লুইড এন্ড প্লাজমা ডিপার্টমেন্ট এর র্যাংকিং এ শীর্ষস্থান দখল করেছেন আমেরিকার নিউম্যান। তার ১৮৮ টা পেপার সাইটেড হয়েছে ৯৭ হাজার বার। এর মধ্যে তার সেলফ সাইটেশন মাত্র ১.১৫% । সকল ফিল্ডের সকল গবেষকদের মধ্যে তার ওভারল র্যাংকিং ২৪ তম।
এখানে, স্কোর ,c , গননা করার সংশ্লিষ্ট সূত্রটি হল-
এই পদ্ধতি অনুযায়ী, যার স্কোর ( c ) এর মান যত বেশি , সে তত ভাল বিজ্ঞানী। বিভিন্ন বিজ্ঞানীর ক্ষেত্রে এই স্কোর সর্বোচ্চ ৫.৬৪ থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন ১.৬১ দেখা যাচ্ছে। ডক্টর মামুনের স্কোর এক্ষেত্রে ৩.৮৫।
এছাড়া, শুধুমাত্র ২০১৯ সালের সাইটেশনের নির্ভর করে তৈরি করা পৃথক আরেকটি সারণী ( Table -S7) থেকে দেখা যাচ্ছে, ডক্টর মামুন এর ফ্লুইড এন্ড প্লাজমা ফিল্ডে অবস্থান ২৪০ তম । সকল বিজ্ঞানীদের মধ্যে ২৬ হাজার তম (সেলফ সাইটেশন ধরে) কিংবা ৩৯ হাজার তম (সেলফ সাইটেশন বাদ দিয়ে)।
অর্থাৎ, এই হিসাবনিকাশ থেকে কোনোভাবেই ডক্টর মামুন কে বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানী বলা যাচ্ছে না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটেও ডক্টর মামুন এর পরিচয় এ বলা হয়েছে, আলোচ্য গবেষণাপত্রে ডক্টর মামুনকে বিশ্বের ১,৫৯,৬২৪ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে ২৮,৭৮১ তম অবস্থানে আছেন। এবং শুধুমাত্র ফ্লুইড এন্ড প্লাজমা ফিল্ডে ৪৩,২১৮ জন বিজ্ঞানীর মধ্যে তিনি ১৩০ তম অবস্থানে আছেন।
ডক্টর মামুন এর পরিচয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট এবং উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায় , ডক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন ১৯৬৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানের উপর বিএসসি ও এমএসসি করেন ।তার থিসিস এর বিষয় ছিল প্লাজমা ফিজিক্স। ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশনে যোগ দেন। ১৯৯৩ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। কমনওয়েলথ স্কলারশিপ এবং ফেলোশিপ প্ল্যানের অংশ হিসেবে, তিনি ইউনিভার্সিটিঅব সেন্ট এন্ড্রুস থেকে প্লাজমা ফিজিক্সের উপর পিএইচডি লাভ করেন।
ডক্টর মামুন পরবর্তীতে জার্মানি (রুর ইউনিভার্সিটি) এবং যুক্তরাজ্য (ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট এন্ড্রুস) থেকে পোস্টডক্টরাল অধ্যয়ন করেন। গুগল স্কলারে বিভিন্ন বিষয়ে বর্তমানে তার ৪৭৪ টা গবেষণামূলক নিবন্ধ রয়েছে। Introduction to Dusty Plasma Physics নামে তার লেখা একটি বই আমেরিকা,ইংল্যান্ড এবং জার্মানির কয়েকটি ইউনিভার্সিটিতে পাঠ্যবই হিসেবে পড়ানো হয় ।
২০০৪ এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী স্বর্ণপদক , ২০০৬ সালে দি ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্স থেকে তরুণ পদার্থবিজ্ঞানী পদক, ২০০৮ সালে ইউজিসি এওয়ার্ড, ২০০৯ সালে জার্মানির আলেক্সান্ডার ভন হামবোল্ডট ফাউন্ডেশন থেকে ফ্রেডরিখ উইলহেম বিসেল রিসার্চ সম্মাননা সহ দেশ-বিদেশে অনেক সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
বর্তমানে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
সিদ্ধান্ত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ডক্টর এ এ মামুন বেশ কিছু গবেষণার মাধ্যমে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করলেও, কোনো গবেষণায় কিংবা কোনো র্যাংকিং এ তাকে ‘বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী’ ঘোষণা করা হয়নি।মূলধারার কোনো সংবাদমাধ্যমে তাকে ‘বিশ্বসেরা বিজ্ঞানী’ বলা না হলেও, কয়েকটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম এবং ফেসবুক পেজ থেকে এমন দাবি করা হচ্ছে। এটি অধ্যাপক মামুনের মত কৃতি মানুষের জন্যও বিব্রতকর। তাই এ সংক্রান্ত খবর এবং ফেসবুক পোস্টগুলো ফ্যাক্টওয়াচ বিভ্রান্তিকর হিসেবে সাব্যস্ত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
|
No Factcheck schema data available.