ক্রিকেট বোর্ড বিলুপ্ত করে এর সাথে জড়িতদের ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে গ্রামে গিয়ে কৃষিকাজ করতে বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদ্য নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস – এই মর্মে যমুনা টিভির আদলে বানানো একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, যমুনা টিভির নামে প্রচারিত ফটোকার্ডটি ভুয়া। যমুনা টিভি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এছাড়া পোস্টগুলো নিরীক্ষা করে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্স এবং ক্রিকেট বোর্ডের ওপর ক্ষোভ প্রকাশস্বরূপ ব্যঙ্গাত্মক অর্থে ফটোকার্ডটি বানানো হয়েছে। তাই ফ্যাক্টওয়াচ এ পোস্টকে “স্যাটায়ার” আখ্যা দিচ্ছে।
গুজবের উৎস
৮ আগস্ট থেকে ফেসবুকে ফটোকার্ডটি ছড়াতে থাকে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
যমুনা টিভির ওয়েবসাইট এবং ফেসবুক পেইজ সন্ধান করে এমন কোনো ফটোকার্ড খুঁজে পাওয়া যায় না। বরং যমুনা টিভি তাদের ফেসবুকে পেইজে পোস্ট করে জানাচ্ছে যে তাদের নাম ব্যবহার করে ভূয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে।
উক্ত ফটোকার্ডের দাবিকে সমর্থন করে এমন কোনো সংবাদ মূলধারার গণমাধ্যমে এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায় নি। এছাড়া বানোয়াট ফটোকার্ডের ফন্টের সাথে যমুনা টিভির ফটোকার্ডের ফন্টের পার্থক্য লক্ষণীয়। ফটোকার্ডটির বক্তব্য, প্রতিক্রিয়া এবং ফেসবুক ট্রেন্ড নিরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের হতাশাজনক পারফরম্যান্স এবং ক্রিকেট বোর্ডের ওপর ক্ষোভ প্রকাশস্বরূপ ব্যঙ্গাক অর্থে ফটোকার্ডটি বানানো হয়েছে।
সুতরাং, সবকিছু বিবেচনা করে ফ্যাক্টওয়াচ এই বানোয়াট ফটোকার্ডকে স্যাটায়ার সাব্যস্ত করছে।
এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।। এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে। এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।