স্বপ্ন নিয়ে বিভ্রান্তিকর পোস্ট ভাইরাল
Published on: [post_published]
গুজবের উৎস
ভাইরাল এই পোস্টটি পাওয়া যাবে এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এখানে , এবং এখানে।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান
এবার আসুন তথ্যগুলো একে একে যাচাই করে দেখি।
দাবি- ১
১ নং এ দাবি করা হচ্ছে, “সাইকোলজিষ্টদের মতে রাতে অনিদ্রা হওয়ার অর্থ আপনি হয়ত অন্য কারো স্বপ্নে জীবিত।‘
নির্দিষ্ট কোনো সাইকোলজিস্ট এর নাম কিংবা কোনো গবেষণার কথা এখানে উল্লেখ করা হয়নি। অনুসন্ধান চালিয়েও কোনো মনোবিজ্ঞানীর এমন ধরনের কোনো দাবি খুজে পাওয়া যায়নি।
Mayo Clinic বলছে, রাতে অনিদ্রা হওয়ার অর্থ আপনি অনিদ্রার সমস্যা বা ইনসোমনিয়ায় ভুগছেন।
ইনসোমনিয়া নিয়ে বিস্তারিত পড়তে পারেন এখানে।
বিভিন্ন কারণেই কেউ অনিদ্রাজনিত সমস্যা বা ইনসোমনিয়ায় ভুগতে পারেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ হতে পারে ক্লান্তি, বিষন্নতা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ইত্যাদি।
মানব মস্তিষ্ক প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই স্বতন্ত্রভাবে কাজ করে। অন্য কারো স্বপ্নের সাথে আপনার মস্তিস্কে সেই প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।
দাবি -২
২ নং এ দাবি করা হচ্ছে, আপনি কখনোই একসাথে নাক ডাকতে এবং স্বপ্ন দেখতে পারবেন না।
এই তথ্যটিও সঠিক নয়। স্বপ্ন দেখার সময় অবশ্যই নাক ডাকা সম্ভব। এক্ষেত্রে Goodsomnia বলছে, কিছু জিনিস বিবেচনা করে ব্যাখ্যা করলে কনফিউশান এড়ানো সম্ভব। একজন ব্যক্তি ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় ঘুমের বিভিন্ন স্তর পার করে থাকে। সাধারণত এটি ৫ টি স্তরে সংগঠিত হয়ে থাকে। প্রথম দুইটি স্তর হালকা ঘুমে এবং পরের দুইটি স্তর গাঢ় ঘুমে পার হয় যখন আমাদের শরীর এবং মস্তিস্ক পুরাপুরি বিশ্রামে থাকে। ঘুমের শেষ পর্যায় হলো REM বা Rapid Eye Movement আর এই সময়েই আমাদের স্বপ্নগুলো বেশ তীব্র হয় আর ঘুম ভাঙার আগে হয় বলে স্বপ্ন মনে থাকার সম্ভাবনা বাড়ে।
এখন এখানে দেখার বিষয়টি হলো, মানুষ সাধারণত নাক ডাকে গাঢ় ঘুমে থাকা অবস্থায় আর তার স্বপ্ন দেখে মনে রাখতে প[রে ঘুম হালকা হয়ে আসার শেষ সময়ে। তাই অনেকেই ভাবতে পারেন ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখা আর নাক ডাকা একই সময়ে সম্ভব নয়।
আসলে এটি হয় না। মানুষ হালকা বা ভারি উভয় ধরনের ঘুমের ক্ষেত্রেই স্বপ্ন দেখতে পারে এবং সেই সাথে নাকও ডাকতে পারে।
যাদের স্লিপ এপ্নিয়ার সমস্যা রয়েছে তারা ঘুমিয়ে পড়লেই নাক ডাকতে শুরু করে এবং এক্ষেত্রে অনেক সময়েই তাদের নাক ডাকা তাদের স্বপ্ন দেখার সময়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটিয়ে তাদের জাগিয়ে তোলে। এক্ষেত্রে মনে হতে পারে স্বপ্ন দেখা আর নাক ডাকা বোধহয় একসাথে সম্ভব নয়। তবে এক্ষেত্রে ঘুমে বিঘ্ন ঘটার কারণটি হলো তাদের নাক ডাকার সমস্যা আর ঘুমের মধ্যে নিঃশ্বাস নেওয়া বাধাগ্রস্থ হওয়া। এক্ষেত্রে অবশ্যই স্লিপ এপ্নিয়া প্রতিরোধে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
দাবি-৩
৩ নং এ বলা হয়েছে, “গড়ে একজন মানুষ বছরে ১৪৬০ টি স্বপ্ন দেখে। অর্থাৎ, প্রতি রাতে গড়ে প্রায় ৪টি।
এই পরিসংখ্যানটি প্রায় সঠিক বলা যায়। এই সংখ্যাগুলো সবসময়েই ব্যক্তিভেদে কমবেশি হয় এবং ঘুমের মানের উপর নির্ভর করে থাকে।
Chambers and Blohm উপরিউক্ত উক্তিটি সমর্থন করে বলছে গড়ে একজন মানুষ তিন থেকে পাঁচটি স্বপ্ন দেখে থাকে তবে ব্যাক্তি বিশেষে তা ৭টি পর্যন্ত হতে পারে।
দাবি-৪
৪ নং এ উল্লেখ করা হয়েছে, “আমাদের মস্তিষ্ক কোনো চেহারা তৈরি করতে পারে না। আমরা স্বপ্নে যেসব চেহারা দেখি তার সবগুলাই আমরা আমাদের জীবনে কখনও না কখনোও দেখেছি। আমাদের জীবনে আমরা পথে ঘাটে অসংখ্য চেহারা দেখি যা মনে রাখতে পারি না। কিন্তু আমাদের সাবকনসাস মাইন্ড তা ধরে রাখে এবং স্বপ্নে তা দেখায়।
তথ্যটি পুরোপুরি সঠিক নয় বরং বলা যায় আংশিক সঠিক।
ব্যাখ্যা হিসেবে বলা যায়, এখানে যে বলা হয়েছে আমাদের মস্তিষ্ক নিজ থেকে কোনো চেহারা তৈরি করতে পারে না সেই তথ্যটি সঠিক। কিন্তু আমাদের মস্তিষ্ক শুধু আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দেখা চেহারা সাবকন্সাস মাইন্ডে মনে রেখে শুধু সেটিই স্বপ্নে দেখায় এমন নয়, বরং আমাদের দেখা চেহারাগুলাকে সমন্বয় করে নতুন করে মৌলিক কোনো চেহারাও উদ্ভাবন করতে পারে। তাই আমরা স্বপ্নে দেখা চেহারাগুলো হয়ত আসলেই কখনো দেখি নি এমন হতেই পারে।
Stanford University এর সূত্র উপরোক্ত উক্তিটি সমর্থন করে বলছে, আমরা আসলে স্বপ্ন কখনোই খুব স্পষ্টভাবে দেখি না। ভেবে দেখুন তো, আপনি যখন স্বপ্নে পরিচিত কোনো মানুষের মুখাবয়ব দেখেন তখন কি তার চেহারা স্পষ্টত ই দেখেন নাকি সেই সময় শুধু অনুভব করেন যে এই ব্যক্তিই অমুক? ঠিক এভাবেই মস্তিস্কের কাজ আমাদের চিন্তা এবং মস্তিস্কের কোনো তথ্যকে আগে থেকে জানা থাকা কোনো তথ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে তা দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা। এক্ষেত্রে আগের তথ্যের সমন্বয়ে একটি ভিন্ন তথ্য অর্থাৎ, এক্ষেত্রে একটি নতুন চেহারা তৈরি হতেও পারে।
দাবি-৫
৫ নং এর ফ্যাক্টটি এরকম, “প্রতিটি মানুষই স্বপ্ন দেখে। যদি আপনি মনে করেন আপনি স্বপ্ন দেখেন না তার অর্থ হয় আপনি তা মনে রাখতে পারেন না নয়ত আপনি কোনো জটিল মানসিক রোগে ভুগছেন।
আসলে এই ফ্যাক্টটিকেও আংশিক সত্য বলা যেতে পারে। প্রতি মানুষই স্বপ্ন দেখে এবং তা মনে রাখতে পারে না এই ব্যাপারটি যেমন সত্য তেমনি আপনি স্বপ্ন না দেখলেই যদি বলা হয় আপনি জটিল কোনো মানসিক রোগে ভুগছেন সেটিও সত্য নয়। Healthline এর এই সম্পর্কিত একটি আর্টিকে;ল পাবেন এখানে…
মানুষ স্বপ্ন দেখে তখনই যখন সে কোনো একটা ঘুমের স্তরের শেষ পর্যায়ে REM বা Rapid Eye Movement এ উপনীত হয়। এটি ঘটার পরপরই যদি কারো ঘুম ভেঙে যায় তাহলে তার স্বপ্নটি মনে থাকার সম্ভাবনা বাড়ে। REM পর্যায় থেকে বেশি দেরিতে ঘুম ভাঙলে মানুষ স্বপ্ন মনে রাখতে পারে না।
এখন এর সাথে জটিল মানসিক রোগের যে সম্পর্কটির কথা বলা হচ্ছে সেটি ব্যাখ্যা করাও আসলে কিছুতা জটিল। হুট করেই কাউকে আপনি জটিল মানসিক রোগে আক্রান্ত এটি বলে দেওয়া যায় না। কিছু কিছু মানসিক সমস্যা যেমন বিষন্নতা বা দুশ্চিন্তার কারণে পরিপূর্ণ ঘুম হয় না। সেক্ষেত্রে ঘুমের অসম্পূর্ণ চক্রের কারণে আপনি স্বপ্ন দেখতে না পারেন কিংবা ভুলে যেতে পারেন। স্বপ্ন ভুলে যাওয়াটাও কোনো অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। আগেই বলা হয়েছে ঘুমের একটি পরিপূর্ণ চক্রের শেষে REM পর্যায়ে মানুষ স্বপ্ন দেখে। এই পর্যায়ের শেষ হবার যত কম সময়ের মধ্যে ঘুম ভাঙবে ততই স্বপ্ন মনে থাকার সম্ভাবনা বেশি হবে।
তাই আপনার দৈনন্দিন জীবনে মানসিক কোন কারণে যদি কোনো প্রতিবন্ধকতা বা অসুবিধা সৃষ্টি না হয় তাহলে শুধু স্বপ্ন না দেখার কারণে চিন্তিত হবার কোনো কারণ নেই।
মানসিক সমস্যা চিহ্নিত করার জন্য অবশ্যই একজন পেশাদার মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। নিজে নিজে কখনোই মানসিক সমস্যা নির্ণয় করা উচিত নয়।
দাবি-৬
৬ নং ফ্যাক্টটিতে বলা হয়, “ মানুষ তার জীবনের প্রায় ৬ বছর স্বপ্ন দেখে কাটায়।“ এটিও ওই মানুষের গড় আয়ু আর স্লিপ সাইকেল হিসাব করে একটি গড় হিসাব। এবং এই ফ্যাক্টটি সঠিক।
হেলথলাইন এর এই নিবন্ধে জানিয়েছে, একজন মানুষ প্রতিরাতে গড়ে ২ ঘন্টা স্বপ্নের দেশে থাকে। এই হিসাবে ,বাংলাদেশের গড় আয়ু (৭৩ বছর ) অনুযায়ী, একজন মানুষ সারাবছর ২২২০ দিন বা ৬.০৮ বছর স্বপ্ন দেখে কাটায়।
দাবি-৭
৭ নং ফ্যাক্টটি ছিলো, “সাধারণত গর্ভবতী মহিলারা অন্যান্যদের চেয়ে বেশী স্বপ্ন মনে রাখতে পারে। তার কারণ, গর্ভকালীন সময়ে তাদের অতিমাত্রায় হরমোনের পরিবর্তন হয়।“
এই ফ্যাক্টটিও শুধু একটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল নয়। তাই বলা যায় ফ্যাক্টটির আংশিক কারণ বলা হয়েছে। হরমোনের অতিরিক্ত হারে পরিবর্তনের কারণে গর্ভবতী মহিলারা স্বপ্ন মনে রাখতে পারে কারণ এর সাথে সাধারণত কিছু কার্যকরণ যুক্ত থাকে। হরমোনাল পরিবর্তনের কারণে গর্ভবতী নারীদের আবেগ অনুভূতিতে অনেক পরিবর্তন আসে। যার ফলে স্বপ্নের সংখ্যাও বাড়ে।
সাধারণত প্রথমবার গর্ভবতী নারীদের প্রথমবার সন্তান জন্মদান সম্পর্কিত নানা দুশ্চিন্তার ফলে ঘন ঘন স্বপ্ন বা দুঃস্বপ্ন দেখার হার বাড়ে। সেইসাথে গর্ভধারণকালে রাতের বিভিন্ন সময়ে ঘন ঘন প্রস্রাব ও অন্যান্য অস্বস্তির কারণে বার বার ঘুম ভেঙে যায়। এই বিঘ্ন ঘটার কারণে স্বপ্ন মনে রাখার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় বলে মনে করা হয়।
বিস্তারিত পড়ুন Sleep Foundation এর এই আর্টিকেলটিতে।
দাবি-৮
৮ নং এ ছিলো, “স্বপ্ন দেখার ৫ মিনিটের মধ্যে আমরা তার ৫০ শতাংশ ভুলে যাই, ১০ মিনিটের মধ্যে ভুলে যাই প্রায় ৯০ শতাংশ।“
এরকম নির্দিষ্ট কোনো সময় স্বপ্ন মনে রাখার জন্য আসলে কাজ করে না। ব্যক্তি বিশেষে এই সময় এবং স্থায়িত্ব বরাবরই ভিন্ন হয়ে থাকে। কোনো গবেষণায় এই সংখ্যাটি প্রমাণিত নয়। বরং এই উক্তিটি মানুষের স্বপ্ন ভুলে যাবার প্রবণতা প্রকাশের জন্য একটি কথিত উক্তি। How Stuff Works এর আর্টিকেলে পড়ুন বিস্তারিত।
দাবি-৯
৯ নং ফ্যাক্টটিতে বলা হয়,আমরা সাধারণত প্রায় ৯০ থেকে ৮০ মিনিট স্বপ্ন দেখি যেখানে , গড়ে একটি স্বপ্নের স্থায়িত্ব হয় ১০ থেকে ১৫ মিনিট। সবচেয়ে লম্বা সময় স্বপ্ন দেখি সকালে যার স্থায়িত্ব ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট।“
এক্ষেত্রে বলা যায়, কে কতক্ষণ কি ধরনের স্বপ্ন দেখবে সেটি পুরোটাই নির্ভর করে থাকে তার চিন্তা, জীবনাচরণ, ঘুমের অভ্যাস ও মানের উপর। আমরা ঘুমিয়ে যাওয়ার পর ঘুমের এক একটি চক্রে একেক রকম প্রতিক্রিয়া হতে থাকে আর এরকম একেকটি চক্রের সময়কাল হয়ে থাকে সাধারণত ৯০ থেকে ৮০ মিনিট। যেহেতু REM পর্যায়ে মানুষের স্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা বেশি সেই হিসেবে গড়ে মানুষ দুই ঘন্টার মতো স্বপ্ন দেখে থাকে।
বিস্তারিত পড়ুন Sleep Foundation এর আর্টিকেলে।
আর সকালের স্বপ্নের স্থায়িত্ব বেশি — এটি ভাববার কারণ সম্ভবত সকালে ঘুম থেকে ওঠার আগের স্বপ্নটি ভালোভাবে মনে রাখার প্রবণতা। আমাদের ঘুম ভাঙে সাধার্যণত ঘুমের পরিপূর্ণ চক্রগুলো শেষ হওয়ার পর। এক্ষেত্রে সাধারণত আমরা REM স্তরে স্বপ্ন দেখি যেটি ঘুমের শেষ স্তর এবং এরপরই আমাদের ঘুম ভাঙে তাই স্বপ্নটিও বেশি মনে থাকে। আদতে সকালের স্বপ্ন দীর্ঘ হয় এরকম কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায় নি।
দাবি-১০
১০ নং এ বলা হয়, “সাধারণত শিশুরা দুঃস্বপ্ন বেশি দেখে।“
গবেষণার ক্ষেত্রে কিছু কিছু ফলাফল বিশ্লেষণে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।
কেন এটি ঘটে তার কিছু কারণ ও ব্যাখ্যা পাবেন এখানে।
সারমর্ম
১০ টি তথ্যের মধ্যে ১ম তথ্যটি মিথ্যা,
২য় তথ্যটি কিছু শর্ত সাপেক্ষে মিথ্যা,
৩য় তথ্যটি ব্যক্তিভেদে গড় বিচার করলে সত্য,
৪ নং তথ্যটি আংশিক সত্য,
৫ নং তথ্যটি বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে আংশিক সত্য,
৬ নং তথ্যটি ৩ নং এর মতোই ব্যক্তিভেদে গড় বিচার করলে সত্য,
৭ নং তথ্যটি সত্য তবে শুধু হরমোনাল কারণ এর একমাত্র কারণ নয়।
৮ নং তথ্যটি সত্য নয়
৯ নং তথ্যটি সত্য নয়
১০ নং তথ্যটি সত্য।
অর্থাৎ, ১০ টি তথ্যের মধ্যে কেবল ৩ টি সত্য , ৩ টি মিথ্যা, এবং অবশিষ্ট ৪ টি তথ্য আংশিক সত্য।
তাই সামগ্রিক বিবেচনায় ফ্যাক্টওয়াচ এই ভাইরাল পোস্টকে ‘আংশিক মিথ্যা’ সাব্যস্ত করছে।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
|
No Factcheck schema data available.