মাদকের ছবিসহ মহিলাকে নিয়ে ভূয়া দাবি

64
মাদকের ছবিসহ মহিলাকে নিয়ে ভূয়া দাবি
মাদকের ছবিসহ মহিলাকে নিয়ে ভূয়া দাবি

Published on: [post_published]

“এবার সুন্দরবনের খাঁটি মধু নিয়ে লাইভে আসছে উপজেলা যুবলীগের স্ত্রী শিলা“– এমন শিরোনামে একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভাইরাল হওয়া ছবিতে যেই মহিলাটিকে দেখানো হয়েছে তার নাম টুম্পা, শিলা নয়। তাছাড়া, তিনি কোনো যুবলীগ নেতার স্ত্রী নয় বরং, একজন মাদক ব্যবসায়ীর স্ত্রী। এবং সে সরাসরি মাদক ব্যবসার সাথে যুক্তও নয়। এ কারণে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল হওয়া তথ্যটিকে “মিথ্যা” হিসেবে চিহ্নিত করেছে।   

ফেসবুকে ভাইরাল এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান:

ভাইরাল হওয়া ছবিটির মাধ্যমে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে জানা যায়, মহিলাটির আসল নাম টুম্পা। যিনি ফতুল্লার কাশিপুরে অবস্থিত নরসিংপুর এলাকার নাজির মিয়ার মেয়ে ও মাদক ব্যবসায়ী রুবেলের স্ত্রী। টুম্পাকে নরসিংপুরের নিজ বাড়ি থেকে গত ২২ এপ্রিল ৯১ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করেছে পুলিশ। তবে ফেনসিডিলগুলো মূলত তার ছিল না এবং তিনি সরাসরি মাদক ব্যবসার সাথে যুক্তও ছিলেন না। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে

মূলত, গত ২২ এপ্রিল স্থানীয় লোকজন মাদক ব্যবসায়ী রুবেলের বাড়িতে হানা দেয়। তখন তারা রুবেল ও তার মাদক ব্যবসার পার্টনার নাসিরকে আটক করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই তারা পালিয়ে যায়। তবে, রুবেলের স্ত্রী টুম্পা সেখানে উপস্থিত ছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ৯১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। মাদকগুলো টুম্পার বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছিল বলে পুলিশ মাদকসহ তাকে আটক করে। স্থানীয় অনলাইন সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে এবং এখানে

অন্যদিকে, মূলধারার কোনো সংবাদমাধ্যমে শিলা নামের কোনো যুবলীগ নেতা বা কর্মীর স্ত্রীর মাদকসহ গ্রেফতার হওয়া সংক্রান্ত কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া, ভাইরাল হওয়া পোস্ট গুলোতে কেবল উল্লেখ আছে “উপজেলা যুবলীগের স্ত্রী”, কিন্তু উপজেলার নাম, নির্দিষ্ট কোনো পদ এবং ব্যক্তির নাম নির্দিষ্ট করে বলা নেই।

উপরের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বলা যায় যে, ফেসবুকে মাদকসহ যেই মহিলাটির ছবি দেখা যাচ্ছে, তার নাম নাম শিলা নয়, টুম্পা। তার স্বামী রুবেল একজন মাদক ব্যবসায়ী। কিন্তু কোনো সংবাদমাধ্যমই রুবেলকে যুবলীগের নেতা উল্লেখ করে নি। এরকম হলে মূলধারার গণমাধ্যমে সেটার উল্লেখ থাকত। যেমন, ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতাদের মাদক মামলায় গ্রেফতার সংক্রান্ত কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে




সঙ্গত কারণে, ভিত্তিহীন এই দাবিটিকে ফ্যাক্টওয়াচ “মিথ্যা” হিসেবে সাব্যস্ত করছে।

আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন?
কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন?
নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?

এসবের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকে জানান।
আমাদেরকে ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

 

No Factcheck schema data available.