সম্প্রতি “পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি থেকে পুঁতে রাখা ১০ তরুণীর লাশ উদ্ধার!” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে কয়েকটি অনলাইন পোর্টাল থেকে যেখানে বাংলাদেশ পুলিশের ছবি ব্যবহৃত হয়েছে। অথচ সংবাদের বিস্তারিত অংশে গিয়ে দেখা যায় ঘটনাটি বাংলাদেশের নয়, মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদরের সাবেক এক পুলিশ কর্মকর্তার বাড়িতে পুঁতে রাখা ১০ নারী ও শিশুর লাশ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে। এল সালভাদরের এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার ঘটনার সাথে বাংলাদেশের পুলিশের ছবি যুক্ত করে সংবাদ প্রচার করায়, ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংবাদটি বিভ্রান্তিকর।
২২ এবং ২৩ আগস্ট ২০২১ তারিখে বাংলাদেশের পুলিশের ছবি যুক্ত সংবাদটি ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজে শেয়ার হয়েছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে,এখানে,এখানে,এখানে এবং এখানে।
উক্ত ভাইরাল সংবাদের বিস্তারিত অংশ ধরে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, এটি ১৬ মে ২০২১ তারিখে “এল সালভাদরে পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি থেকে পুঁতে রাখা ১০ লাশ উদ্ধার” শিরোনামে যুগান্তর থেকে প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে হুবহু কপি করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, যুগান্তর তাদের প্রতিবেদনটিতে ঘটনার মূল আসামীর ছবি ব্যবহার করেছে এবং শিরোনামে ঘটনার স্থান “এল সালভাদর” উল্লেখ করেছে।
এ বিষয়ে দেশী ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে,এখানে,এখানে এবং এখানে।
গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ প্রযুক্তির সাহায্যে অনুসন্ধান চালিয়ে দেখা যায়, সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া সংবাদগুলোতে যে ছবিটি ব্যবহৃত হয়েছে, সেটি ১১ আগস্ট ২০২১ তারিখে এনটিভি,দৈনিক জনকন্ঠ সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে ছবিটি প্রকাশিত হয়েছে।
অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, ভাইরাল সংবাদে ব্যবহৃত মূল ছবিটি চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল কান্তি দাসের কাছ থেকে ২০টি স্বর্ণের বার লুটের মামলায় ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ছয় কর্মকর্তার রিমান্ডের ঘটনার। আর ছবির ডানপাশের কোনায় ব্যবহৃত পুলিশ কর্মকর্তার ছবিটি ফেনী ডিবির পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলামের।
এদিকে ভুল ছবিযুক্ত ভাইরাল সংবাদটি সম্পর্কে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীদের বিভ্রান্ত হতে দেখা গেছে। ফেসবুকের কমেন্টবক্সে এমন কিছু বিভ্রান্তির নমুনা নীচে দেয়া হল:
উপরোক্ত তথ্য-প্রমাণ মোতাবেক, উক্ত ভাইরাল সংবাদগুলোতে এল সালভাদরের এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার ঘটনার সাথে বাংলাদেশের পুলিশের ছবি যুক্ত করে সংবাদ প্রচার করায়, ফ্যাক্টওয়াচের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংবাদটি বিভ্রান্তিকর।
আপনি কি এমন কোন খবর দেখেছেন যার সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন? কোন বিভ্রান্তিকর ছবি/ভিডিও পেয়েছেন? নেটে ছড়িয়ে পড়া কোন গুজব কি চোখে পড়েছে?