চন্দ্রযান-৩ নিয়ে প্রথম সাতদিনে ভাইরাল যত গুজব 

54
চন্দ্রযান-৩ নিয়ে প্রথম সাতদিনে ভাইরাল যত গুজব 
চন্দ্রযান-৩ নিয়ে প্রথম সাতদিনে ভাইরাল যত গুজব 

Published on: [post_published]

Fact-File

সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অন্যতম আলোড়িত বিষয় হচ্ছে ভারতের চন্দ্রাভিযান মিশন চন্দ্রযান-৩। গত ২৩ আগস্ট ২০২৩ এই অভিযানের ল্যান্ডার বিক্রমের সফলভাবে চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করার ঘটনায় ভারত বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে এই তালিকায় নাম লিখিয়েছে। এই ঘটনা গোটা দক্ষিণ এশিয়াতেই আগ্রহ ও আলোচনার কেন্দ্রে ছিল, ফলে বরাবরের মতো নানারকম গুজব ও ভুল সংবাদ ভাইরাল হয়েছে এই ঘটনা ঘিরে। বর্তমান প্রতিবেদনে সেগুলোর সংকলন ও যাচাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছে।

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বানানো ছবি  

(১) চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে চন্দ্রযানএর তোলা পৃথিবীর কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

প্রকৃতপক্ষে ভারতীয় চ্যানেল WION News তাদের সাইট থেকে ২৩ আগস্ট ছবিগুলো দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো। চন্দ্রযান চাঁদ থেকে পৃথিবীর ছবি তুললে সেটি দেখতে কেমন হতে পারে, তাদের প্রতিবেদনে সেটার একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সেখানে তারা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে ছবিগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে বানানো।

 

(২) ভারতের চন্দ্রবিজয়ের প্রতীক হিসেবে একটা রোভারের সাথে সংযুক্ত ভারতের উড়ন্ত পতাকার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

চাঁদে যেহেতু বাতাস নেই তাই সেখানে পতাকা ওড়া সম্ভব নয়। সুতরাং ছবিটি সত্যতা নিয়ে অনেক জায়গায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এই ছবিটিও মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি। অভিযান পরিচালনাকারী সংস্থা ISRO (Indian Space Research Organization) অফিশিয়ালি এমন কোনো ছবি প্রকাশ করে নি। একই ধরনের এআই নির্মিত ছবি ইন্টারনেটে আরও পাওয়া যায়। দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে

 

ফটোশপে তৈরি ছবি

সামাজিক মাধ্যমে এমন একটি ছবি পাওয়া যায় যেখানে দেখা যাচ্ছে চাঁদের মাটিতে ভারতের এবং ইসরোর প্রতীক খোদাই করা। দাবি করা হচ্ছে চন্দ্রযান এর রোভার প্রজ্ঞান তার চাকার সাহায্যে চাঁদের মাটিতে প্রতীক এঁকেছে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

ছবিটি প্রথমে ভারতের লক্ষ্ণৌর কৃষাংশু গর্গ নামক ব্যক্তি অ্যাডোবি ফটোশপে তৈরি করে তার টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করেছিলেন। পরবর্তীতে এ ছবিকে আসল দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। কৃষাংশু গর্গ ভারতীয় মিডিয়া  ও ফ্যাক্টচেকারদের এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন।  

 

ভিজুয়াল ইফেক্ট দ্বারা তৈরি ভিডিও

পৃথিবী থেকে ক্যামেরায় চন্দ্রযান-৩ ধরা পড়ার দাবিতে একটি ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যেখানে চাঁদের গায়ে ভারতের পতাকা নিয়ে একটি স্যাটেলাইটকে উড়তে দেখা যাচ্ছে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

ভিডিওটি ভারতের কেরালার অখিল নামক একজন সিজিআই আর্টিস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস ১৫ আগস্টে তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেছিলেন। ভিডিওটি তিনি ভিজুয়াল ইফেক্টের সাহায্যে তৈরি করেছেন বলে ভারতীয় ফ্যাক্টচেকারদের জানিয়েছেন।

 

অ্যাপোলো-১৩ মিশনে তোলা ছবিকে চন্দ্রযান-৩ এর তোলা ছবি দাবিতে গুজব  

চাঁদের উপরিভাগ প্রদর্শন করছে এমন একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে এটি চন্দ্রযান-৩ এর ধারণ করা ভিডিও। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

একই ভিডিও নাসার অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যাচ্ছে যা ২০২০ সালের ২ মার্চ প্রকাশিত হয়েছিলো। ভিডিওর বর্ণনা থেকে জানা যাচ্ছে  এটি ১৯৭০ সালের অ্যাপোলো-১৩ মিশনে নভোচারীদের ধারণ করা চাঁদের উপরিপৃষ্ঠের ভিডিও, যাকে হাই-ডেফিনিশন ভিডিওতে পরিণত করা হয়েছে।  

 

এখানে উল্লেখ্য, চন্দ্রযান-৩ পৃথিবী থেকে চাঁদের উদ্দেশ্যে এ বছর ১৪ জুলাই রওনা দেয়, ৫ আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে, ২৩ আগস্ট চাঁদের মাটি স্পর্শ করে।

 

পুরোনো ইউটিউব ভিডিওকে নাসার ধারণকৃত চন্দ্রযান-৩ এর চাঁদে অবতরণের ভিডিও দাবি

চাঁদের পৃষ্ঠে একটি স্পেস মডিউল বা নভোযান অবতরণের ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে এটি নাসা কর্তৃক ধারণকৃত চন্দ্রযান-৩ এর চাঁদে অবতরণের ভিডিও। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

এই ভিডিওর মূল উৎস হিসেবে পাওয়া যায় Hazegrayart নামক ইউটিউব চ্যানেলের ২০২১ সালের ৮ জুন ‘The Apollo 11 Moon Landing: A Historic Moment in Space Exploration’ ক্যাপশনে প্রকাশিত একটি ভিডিও। তবে ভিডিওর বর্ণনায় উল্লেখ করা হয় নি এটি আসল নাকি কম্পিউটারে তৈরি করা।

 

বিমান থেকে ধারণকৃত ফ্যালকন-৯ রকেট উড্ডয়নের ভিডিওকে চন্দ্রযান-৩ বলে দাবি  

বিমানের জানালা থেকে ধারণকৃত রকেট উড্ডয়নের একটি ভিডিও পাওয়া যায় সামাজিক মাধ্যমে যেখানে দাবি করা হচ্ছে চেন্নাই থেকে ঢাকাগামী ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একজন যাত্রী চন্দ্রযান-৩ এর উড্ডয়নের এই ভিডিও ধারণ করেছেন। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের চেন্নাই থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটে একজন যাত্রী চন্দ্রযান-৩ এর উড্ডয়নের ভিডিও করেছেন ঠিকই, দেখুন এখানে, এখানে। কিন্তু অনেক পোস্টে সঠিক ভিডিওটি ব্যবহার না করে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে বিমান থেকে ধারণকৃত স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেট উড্ডয়নের ভিডিও ব্যবহার করে একে চন্দ্রযান-৩ এর ভিডিও বলে দাবি করা হয়েছে।

চন্দ্রযান-৩ উড্ডয়নের আসল ভিডিও

 

ফ্যালকন-৯ রকেট উড্ডয়নের ২০২২ সালের ভিডিও

 

মঙ্গলে নাসার ধারণকৃত ভিডিওকে চন্দ্রযান-৩ এর পাঠানো প্রথম ভিডিও দাবি 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্যামেরায় ধারণকৃত একটি এবড়োথেবড়ো পৃষ্ঠের ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে এবং একে চাঁদে অবতরণের পর চন্দ্রযান-৩ এর পাঠানো সর্বপ্রথম ভিডিও বলে দাবি করা হচ্ছে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

তবে মূলধারার গণমাধ্যম এবং ISRO-এর ওয়েবসাইটে চাঁদ থেকে পাঠানো প্রথম যে ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেখুন এখানে, এখানে

চাঁদে ISRO এর প্রকাশিত প্রথম ভিডিও

 

এদিকে একটি ইউটিউব চ্যানেল এ বছর আগস্টের ৮ তারিখ একই ভিডিও পোস্ট করেছে। তাদের বর্ণনা থেকে জানা যায়, এটি নাসার মঙ্গল অভিযান মিশনের রোভার কিউরিওসিটি দ্বারা ধারণকৃত মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠের ভিডিও।

 

নাসা প্রকাশিত ফিচারড ছবিকে চন্দ্রযান-৩ এর ধারণকৃত ছবি দাবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মালায়লাম ভাষায় লেখা হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি পৃষ্ঠার ছবি এবং চাঁদ থেকে মঙ্গলগ্রহ দেখা যাচ্ছে এমন একটি ছবি পাশপাশি দিয়ে দাবি করা হচ্ছে চন্দ্রযান-৩ থেকে চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহের এ ছবিটি তোলা হয়েছে যা হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী ২১ আগস্টের পর চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহের একই রেখায় থাকবে এই জ্ঞানকে প্রমাণ করে। কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহের এ ছবিটি চন্দ্রযান-৩ এর ধারণকৃত নয়। ISRO-এর ওয়েবসাইট অফিশিয়ালি নিয়মিতভাবে চন্দ্রযান-৩ এর তোলা ছবিগুলো আপলোড করছে যেখানে এমন কোনো ছবি পাওয়া যায় না। ছবিটির মূল উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখা যায় এটি নাসা তাদের ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট প্রকাশ করেছিলো। চাঁদ মঙ্গলগ্রহকে ঢেকে ফেলছে – স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে এই ঘটনার ছবি ধারণ করা হয়েছিলো আর্জেন্টিনা থেকে।

 

চন্দ্রযান-৩ রোভারের চাঁদে এলিয়েন খুঁজে পাওয়ার গুজব

চন্দ্রযান-৩ এর রোভার চাঁদে এলিয়েনের সন্ধান পেয়েছে এমন উদ্ভট দাবিও উঠেছে সামাজিক মাধ্যমে। এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

তবে এমন চাঞ্চল্যকর সংবাদ মূলধারার গণমাধ্যম এবং অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া যায় না। অভিযান পরিচালনাকারী ISRO-এর ওয়েবসাইট, ভেরিফাইড টুইটার অ্যাকাউন্টেও নেই এমন কোনো তথ্য। ভারতীয় ফ্যাক্টচেকাররা এ দাবিকে ইতোমধ্যে মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে।

 

বিবিসি কি চন্দ্রযান-৩ মিশন নিয়ে সমালোচনা করেছে? 

চন্দ্রযান-৩ এর চাঁদে সফল অবতরণের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিবিসি নিউজের একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়ায় যেখানে উপস্থাপককে প্রশ্ন করতে দেখা যাচ্ছে যে দারিদ্র্যপীড়িত ভারতের মহাকাশ অভিযানের পেছনে এতো অর্থ খরচ করা উচিত কি না। দাবি করা হয়েছে এ প্রশ্নটি চন্দ্রযান-৩ অভিযান সম্পর্কে করা হয়েছে। দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

বিবিসি ইতোমধ্যে পরিষ্কার করেছে এটি তাদের ২০১৯ সালের পুরোনো ক্লিপ। এছাড়া এই ভিডিও একটি ইউটিউব চ্যানেলে পাওয়া যাচ্ছে যেটি ২০১৯ সালের ২২ জুলাই প্রকাশিত হয়েছিলো। সেখান থেকে দেখা যাচ্ছে, এই আলোচনাটি চন্দ্রযান-২ এর ব্যর্থ মিশন নিয়ে।

 

পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রী কি চন্দ্রযান-৩ মিশন নিয়ে ঠাট্টা করেছেন? 

পাকিস্তানের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী চন্দ্রযান-৩ মিশন নিয়ে ঠাট্টা করেছেন – গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ভিডিও পাওয়া যায়। দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

পৃথিবী থেকে চন্দ্রযান-৩ এর সফল উড্ডয়নের পরপর এ ভিডিও ভাইরাল হয়। তবে ভিডিওর মূল উৎস থেকে জানা যায় ভারতের চন্দ্র অভিযানের প্রচেষ্টাকে ঠাট্টা করে ARY News-কে ফাওয়াদ চৌধুরী এ সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ২০১৯ সালের ২৭ মে। স্পষ্টতই সেটি চন্দ্রযান-৩ কে নিয়ে হওয়া সম্ভব নয়।

 

চন্দ্রযান-৩ এর মিশন পরিচালকের নাম নিয়ে বিভ্রান্তি 

গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অনেক জায়গায় চন্দ্রযান-৩ এর মিশন পরিচালক হিসেবে নাম নেওয়া হচ্ছে ভারতের রকেট-মানবী খ্যাত রিতু করিধালের। দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

বিজ্ঞানী এবং অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার রিতু করিধাল প্রকৃতপক্ষে চন্দ্রযান-২ এর মিশন পরিচালক ছিলেন। চন্দ্রযান-৩ এর মিশন পরিচালক হলেন এস মোহন কুমার। চন্দ্রযান-৩ নিয়ে মোহন কুমারের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার দেখুন এখানে

 

চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যে নারী বিজ্ঞানীদের উল্লাস প্রকাশের ছবি হিসেবে মার্স অরবিটার স্পেসক্রাফট-এর সাফল্যের পুরোনো ছবি প্রচার 

চাঁদে চন্দ্রযান-৩ এর সফল অবতরণের পরপরই গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে এ অভিযানের সাথে সম্পৃক্ত দাবিতে ভারতীয় নারী বিজ্ঞানী ও ইঞ্জিনিয়ারদের উল্লাস প্রকাশের একটি ছবি প্রচারিত হয়। দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

ছবিটি ISRO-এর নারী বিজ্ঞানীদের ঠিকই, তবে চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যে উল্লাস প্রকাশের নয়, বরং ২০১৪ সালে মার্স অরবিটার স্পেসক্র্যাফটের সফলভাবে মঙ্গলগ্রহের কক্ষপথে প্রবেশ করার সাফল্যের দরুন। এ বিষয়ে বিবিসি নিউজের প্রতিবেদন দেখুন এখানে

 

ইসরো চেয়ারম্যানের নাচের পুরোনো ভিডিওকে চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য উদযাপনের ভিডিও হিসেবে প্রচার 

চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য উদযাপনে ইসরোর চেয়ারম্যান ডক্টর সোমনাথ নাচছেন এমন একটি ভিডিও প্রচারিত হয়েছে গণমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে। দেখুন এখানে, এখানে, এখানে

 

ভিডিওটি সর্বপ্রথম টুইটারে শেয়ার করেছিলেন সিদ্ধার্থ নামক একজন সাংবাদিক। তিনি সেই টুইটে কমেন্ট করে জানিয়েছেন এটি একটি পুরোনো অনুষ্ঠানের ভিডিও যেখানে তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং ডক্টর সোমনাথের নাচের ভিডিও করেছিলেন। পরবর্তীতে ভারতের একটি সংবাদসংস্থাকে তিনি নিশ্চিত করেন যে, এটি চন্দ্রযান-৩ এর অবতরণ পরবর্তী নয়, এ বছরের জুলাইতে বেঙ্গালুরুর একটি অনুষ্ঠানে তার ধারণকৃত ডক্টর সোমনাথের নাচের ভিডিও।

 

চাঁদে চন্দ্রযান-৩ এর অভিযান এখনো চলমান রয়েছে, সেই সাথে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গুজব তৈরি হচ্ছে। এই ফ্যাক্ট-ফাইলে চন্দ্রযান-৩ এর চাঁদে অবতরণের দিন থেকে প্রথম সাত দিন ব্যাপী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ভাইরাল গুজব এবং গণমাধ্যমের ভুল সংবাদ লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

এই নিবন্ধটি ফেসবুকের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রোগ্রামের নীতি মেনে লেখা হয়েছে।।
এর উপর ভিত্তি করে ফেসবুক যে ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
এছাড়া এই নিবন্ধ সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন, সম্পাদনা কিংবা আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার জন্য আবেদন করতে এই লিঙ্কের সাহায্য নিন।

কোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে আমাদেরকেঃ
ইমেইল করুনঃ contact@factwatch.org
অথবা ফেইসবুকে মেসেজ দিনঃ facebook.com/fwatch.bangladesh

No Factcheck schema data available.